Better Life With Steem | | The Diary Game | | 17 July, 2024
1 comment
আশা করি সবাই ভালো আছেন। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পর আজকে আপনাদের মাঝে চলে এসেছি। জানি না এই কয়েকদিন কিভাবে পার করেছি। সত্যি গত কয়েকদিনে আমাদের বাংলাদেশের যে অবস্থা হয়েছে যা বলার মত নয়। এখন আলহামদুলিল্লাহ অবস্থা অনেকটাই ভালো। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি। আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব গত ১৭ ই জুলাইয়ের কার্যলিপি নিয়ে। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মত সেদিনের সকালবেলাটাও স্বাভাবিক ছিল। সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। ঘুম থেকে উঠে বাইরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করেছি। তখনও আমাদের আম গাছে অনেকগুলা আম ছিল। প্রতিদিনের মতই গাছে উঠে আম পেরেছিলাম। সত্যি সিজনের শেষ সময়ে এরকম গাছ থেকে আম পেড়ে খাওয়ার স্বাদ অন্যরকম।
এদিকে মা সকালবেলা রান্নাবান্না নিয়ে বেশ ব্যস্ত ছিল। আমি আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি। পরে গাছ থেকে যে আম পেরেছিলাম সেগুলো খেয়েছি। সিজনের শেষ সময়ে আমগুলো খেতে আরো বেশি মিষ্টি লাগে। বলতে গেলে পুরো আমের সিজনে আমি সকালবেলা আম খেয়েছি।আলহামদুলিল্লাহ সকালের নাস্তা খাওয়া শেষ করেই ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।
আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে ল্যাবে পৌঁছে গিয়েছি। ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ সেগুলো আগে সেরেছিলাম। সেদিন বুধবার দিন ছিল। বুধবার দিনে কোন ডাক্তার থাকে না। এজন্য কাজেরও কোন প্রেসার থাকে না। সকালবেলা মোটামুটি অবসর সময় কাটিয়েছি।
এর মাঝে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সামনে দেখলাম ছোট ছোট বাচ্চারা জমিতে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের এসব দেখে আমারও সেই ছোটবেলার কথাগুলো মনে পড়ে গেছিল। আমি নিজেও ছোটবেলায় এরকম অনেক মাছ ধরেছি। এখন চাইলেও আর সেই দিনগুলোতে কোনদিনও ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। মোটামুটি দুপুর পর্যন্ত তাদের মাছধরা দেখেছি।
দুপুরে খাওয়ার সময় হয়ে গেলে খেয়ে নিয়েছি। খাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মতোই বিকেল পর্যন্ত শুয়ে রেস্ট করেছি। সেদিনের গরমের তাপমাত্রা এতটাই বেশি ছিল যা বলার মত নয়। জানিনা, ঘরে থেকেই আমাদের যে অবস্থা হয়েছিল। তাহলে, যারা মাঠে কাজ করতেছিল তাদের কি অবস্থা হয়েছে।
বিকেলের দিকে পানির পিপাসায় গলা একদম শুকিয়ে গেছিল। পরে আমি ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি বের করে সবার জন্য শরবত বানিয়েছিলাম। সত্যিই শরবত'টা খেয়ে একদম মন জুড়িয়ে গেছিল। এটা অবশ্য সেদিন প্রথম নয়, আমি মাঝে মাঝেই আমি সবাইকে শরবত বানিয়ে খাওয়াই।
বুধবার দিনে আমাদের কমিউনিটির আর্ট ক্লাস হওয়ার কথা ছিল। তাই সঠিক সময়ে আর্ট ক্লাস করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আর্ট ক্লাস শুরু হওয়ার পর, আর্ট ম্যাম খুব সুন্দরভাবে বিষয়গুলো আমাদের বুঝিয়ে দিত। সত্যিই এরকম শিক্ষক পাওয়া খুব ভাগ্যের বিষয়। আলহামদুলিল্লাহ ভালো ভাবে আর্ট ক্লাস শেষ করতে পেরেছি। ক্লাস শেষ হওয়ার পর মোটামুটি রাত ৮:০০টা পর্যন্ত ফার্মেসিতে ছিলাম। পরে আর তেমন কাজ না থাকায় তাড়াতাড়ি ল্যাব বন্ধ করে দিয়েছি। ল্যাব বন্ধ করে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।
বাসায় যাওয়ার পথে মাঝ রাস্তায় দেখলাম আকাশে অনেক সুন্দর চাঁদ উঠেছে। আর আপনারা হয়তো জানেন, চাঁদের ছবি তুলতে আমার অনেক ভালো লাগে। আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে বাসায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। আজকে এই পর্যন্তই ছিল।
Comments