ফটোগ্রাফি পোস্ট -- 🥰 " দারুন স্বাদের কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি "
25 comments
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয় "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।আর প্রতিনিয়ত ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশাকরি আপনারা ও এমনটাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভালো থাকার।
আমি @shimulakter,"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু নিয়ে পোস্ট শেয়ার করতে।তার ই ধারাবাহিকতায় আজ আমি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করতে চলে এলাম।
দারুন স্বাদের কিছু খাবারের ফটোগ্রাফিঃ
বন্ধুরা,আমি একজন ফটোগ্রাফার নই।তবে ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে।বাইরে খুব একটা যাওয়া না হলেও ঘরে বসেও আমি ফটোগ্রাফি করি।আর বাইরের ব্যাপারে যদি বলি তবে বলতে হয় আমার ফটোগ্রাফি করা দেখে বাইরের মানুষ গুলো যেমন আগ্রহ সুলভ দৃষ্টি নিয়ে আমার ফটোগ্রাফি করা দেখে।তেমনি আমার পরিবারের মানুষ গুলো মাঝে মাঝেই বিরক্ত প্রকাশ করে দেখে।আসলে তারা চায় না আমি বাইরে এতো ফটোগ্রাফি করি।কিন্তু আমি আমার কাজের প্রতি খুবই যত্নশীল।কেননা আপনাদের কাছে আমার পরিচিতি কিন্তু এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ই।আমি সরাসরি তো কোন খাবার কিংবা প্রকৃতির সৌন্দর্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে পারছি না।সবই আমার এই মোবাইলের মাধ্যমেই ধারণ করে দেখাতে হয়।সবই তো মোবাইলের কারিশমা।এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।তাই যে যেভাবেই দেখুক কিংবা ভাবুক আমি কিন্তু আমার কাজ করে যাই নিরবে,গোপনে হিহিহি।
বন্ধুরা,প্রথম ফটোগ্রাফিটি হচ্ছে পিজ্জার।সত্যি কথা বলতে কোন ফাস্ট ফুড খাবার বা বাইরের কোন খাবারের প্রতি আমার একদমই আগ্রহ নেই।আর আমি খেতেও চাইনা।তবে এসব খাবার আমি নিজে ঘরে যখন করি তখন আসলে খাওয়া হয়।কিন্তু খুব সামান্য ই।তবে ছেলের ভীষণ পছন্দ এই পিজ্জা।তাই ঘরে বানানো হলেও প্রায় সময় অর্ডার করে কিংবা রেস্টুরেন্টে গিয়ে ও খাওয়া হয়।এবার ঈদে বাবার বাসায় ওয়ারীতে ছিলাম।তাইতো ঈদের দিন ঘুরতে বের হয়ে ছেলে ও ভাইয়ার ছেলেকে নিয়ে পিজ্জার দোকানে গিয়ে পিজ্জা খাওয়ানো হয়েছিলো।তারই ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম।দুজনই কিন্তু ভীষণ মজা করেই খেয়েছিলো।আর টেস্ট ও নাকি দারুন ছিল।
এরপরের ফটোগ্রাফি হচ্ছে নাচোসের ফটোগ্রাফি।এই খাবারটিও সেদিন সেই রেস্টুরেন্টেই অর্ডার করা হয়েছিল।ওরা খুব মজা করেই খেয়েছিল।আমি শুধু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম।
এরপর যে খাবার দুটোর ফটোগ্রাফি দেখছেন এই খাবার দুটো আমার ভীষণ পছন্দের।একটি হচ্ছে সমুচা আর অন্যটি হচ্ছে চিকন সেমাইয়ের জর্দা।এই দুটো খাবার বড় ভাবী তৈরি করেছিলো আমার জন্য। সত্যি পছন্দের খাবার গুলো কেউ যদি মনে রেখে তৈরি করে সামনে দেয় সেই আনন্দ কিন্তু অনেক।
এরপরের ফটোগ্রাফি হচ্ছে চিকেন রোস্টের।ঈদের দিনে আম্মুর হাতের চিকেন রোস্ট দিয়ে পোলাও খাওয়ার মজাই অন্য রকম।অন্য সব আইটেম গুলো ভাবী তৈরি করলেও চিকেন রোস্ট আর পোলাওটা আম্মুই রান্না করেছিলো।রেসিপিটি দারুন স্বাদের হয়েছিলো খেতে।বন্ধুরা,মায়ের হাতের কোন রান্নাটি ঈদের দিনের স্পেশাল বলে আপনাদের কাছে মনে হয়? অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
আজ আর নয়।আশাকরি আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আপনাদের ভালো লাগার মাঝেই আমার স্বার্থকতা।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি পোস্ট |
---|---|
ক্যামেরা | OPPO Reno 4Z 5G |
পোস্ট তৈরি | @shimulakter |
লোকেশন | ওয়ারী,ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি এম এস সি ( জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালোবাসি বই পড়তে, নানা রকমের রান্না করতে,আর সবাইকে নতুন নতুন রান্না করে খাওয়াতে ভীষণ ভালোবাসি।ফটোগ্রাফি করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Comments