" ছেলের আবদারে তার পছন্দের ফুচকা খাওয়ানোর জন্য যাওয়া "

shimulakter -
আসসালামু আলাইকুম


আমার প্রিয় বাংলা ব্লগবাসী।


প্রিয় বন্ধুরা,

মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় ও বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশাকরি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।

বন্ধুরা,আমি @shimulakter,আমি বাংলাদেশ ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি মনে প্রানে কাজকে ভীষণ ভালোবাসি।কাজের মধ্যে ই সারাক্ষণ ডুবে থাকি।আমি একজন অ্যাক্টিভ ইউজার।আমি আমার এই কমিউনিটিতে নিজেকে সব সময় অ্যাক্টিভ রাখার চেষ্টা করি।তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।মূলত আজ শেয়ার করবো ভ্রমন পোস্ট।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

ছেলের আবদারে তার পছন্দের ফুচকা খাওয়ানোর জন্য যাওয়াঃ


বন্ধুরা,দেশের অবস্থা বিশেষ করে মনের অবস্থা এতোটা ভালো নয়।তারপরেও আপনাদের সঙ্গে আছি,সঙ্গেই থাকবো।আশাকরি আপনারা ও আছেন পাশে।আজকের ভ্রমন পোস্টটি মূলত গত মাসের শেষের দিকের ঘটনা।সবকিছু ঠিক থাকলে হয়তো এই বিষয়টি নিয়ে পোস্ট আগেই করা হতো।এখন বাসার বাইরে খুব দরকার না হলে বের হচ্ছি না।স্কুল বন্ধ। তাই ঘরে বসেই সময় কেটে যাচ্ছে।ভেবেছিলাম আজ কবিতা পোস্ট করবো। কিন্তু বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না প্রায় ১০ দিন ধরে চেষ্টা করে চলেছি একটি লাইন ও লিখতে পারছি না।মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে আমার মনের সুস্থতা কামনা করছি।আশাকরি মনের সব আবেগ অনুভূতি গুলো আবার আমার সচল করে দিবেন।আসুন গত মাসের এই ফুচকা খেতে যাওয়ার গল্পটি আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

আপনাদের কাছে আমি শেয়ার করেছিলাম গত মাসে আমার আব্বু হাসপাতালে বেশ কিছুদিন ভর্তি ছিল।আমি প্রতিদিনই হাসপাতালে যেতাম।একদিন ছেলে বায়না করল নানা ভাইকে দেখতে যাবে।ছেলেকে নিয়ে সেদিন বিকেলে গিয়ে বেশ কিছু সময় ছিলাম।বের হতে হতে সন্ধ্যার পর বের হই বাসার উদ্দেশ্যে। বের হওয়ার পর রিকশা নেয়ার জন্য হেঁটে এগিয়ে যাচ্ছিলাম।এর মধ্যে ই ছেলের চোখে ফুচকার দোকান পরে যায়।আপনারা হয়তো অনেকেই জেনে থাকবেন আমি বাইরের খাবার খুব না ঢেকলে খেতে পছন্দ করিনা।আর পরিবারের মধ্যে ও চেষ্টা করি এ ধরনের মুখরোচক খাবার গুলো ঘরে তৈরি করে দেয়ার জন্য।এতো কষ্ট করি ঘরে তৈরি করে এসব খাবার খাওয়ানোর জন্য।এরপরেও বাচ্চারা বাইরে খাবে ই।কি আর করবো বলেন নিজের হাতে এ ধরনের বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াতে হলে মনে খুব কষ্ট ও লাগে।কি আর করা ছেলে অনেক ইনিয়ে বিনিয়ে বলতে লাগলো "মামনি তোমার হাতের মজার মজার খাবার তো সব সময়ই খেয়ে থাকি।একদিন বাইরের এই খাবার খেলে কিছু হবে না।"এরপর দোকানের কাছে টানতে টানতে আমাকে নিয়ে গেলো।কি আর করা ওর জন্য এক প্লেট দিলাম ফুচকা অর্ডার।ছেলে আমার দিকে তাকিয়ে আছে বলছে তুমি খাবে না? আমি বললাম না আমি খাব না।ছেলে ভালো মতো জানে আমি বাইরের খাবার খাই না।তারপরেও তার ধারনা একদিনের জন্য আমি হয়তো খাব।আসলে আমার ব্যাপার টা এমন নয়।আমি একদম ই খাই না বাইরের এসব খাবার গুলো।

এই ফুচকার দোকানে সেদিন অনেক ভিড় দেখতে পেলাম।বেশ কিছু সময় লাগলো ফুচকা আসতে।তাই আমি দাঁড়িয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।এরই মধ্যে ছেলের ফুচকা চলে এলো।ছেলে আমাকে এক পিস ফুচকা খাওয়ানোর জন্য অনেক বলল।অন্য যেকোনো খাবার ও আমাকে আগে শেয়ার করে তারপর নিজে খায়।আমি চকলেট,আইসক্রিম হলে একটু খেয়ে থাকি।কিন্তু এটা খেলাম না।ছেলে বুঝতে পারলো আমি যে এই ফুচকা খাব না।তারপর ও খেয়ে নিল।ছেলে বলছিলো," মামনি এতো মজার খাবার চোখের সামনে দেখে ও কিভাবে না খেয়ে থাকতে পারো।" আমি বললাম,"বাবা আমি পারি।"আমার মতো তুমিও যদি পারতে তবে ভালো হতো।যাই হোক ফুচকা খাওয়ার পর কোল্ড কফি দেখতে পেলাম।

কোল্ড কফি দুটো অর্ডার করলাম।আমি নিজেও এই খাবারটা খুব পছন্দ করি।ছেলে যদিও তখন বলছিলো এটা কেন খাবে। এটা ও তো বাইরের ই খাবার।আমি তখন বলছিলাম,বাইরের খাবার হলে ও আইসক্রিম, কফি খাওয়াই যেতে পারে।এ দুটোতে আমার কোন নিষেধ নেই।এরপর দুজন কোল্ড কফি খেয়ে একটি রিকশা নিলাম।বাইরের ফুরফুরে বাতাস খেতে খেতে বাসায় চলে এলাম।সত্যি কথা কি জানেন,রিকশায় চড়ার মজাই অন্য রকম।আর তাইতো রিকশায় চড়তে আমার ভীষণ ভালো লাগে।এরপর বাসায় চলে এলাম কিছু সময়ের মধ্যে ই।এই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।

আজ আর নয়।আশাকরি আমি আমার মনের অনুভূতি গুলো আপনাদের মাঝে খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পেরেছি।সবাই সুস্থ থাকবেন। ভালো থাকবেন।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।

ধন্যবাদ সবাইকে

@shimulakter

পোস্ট বিবরন


শ্রেনীভ্রমন
ক্যামেরাSamsung A20
পোস্ট তৈরি@shimulakter
লোকেশনধানমন্ডি ,ঢাকা

আমার পরিচয়


আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি (জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।