আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
জন্ম,মৃত্যু, বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে।আসলে বিধাতার ইচ্ছে ছারা গাছের পাতাও নড়ে না কিন্তুু প্রচলিত কথা মতো আমরা এরকম কথা বলে থাকি যে জন্ম,মৃত্যু বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে। জন্মিলে মরিতে হবে এবং বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে।
সৃষ্টিকর্তা যখন যেভাবে যার ভাগ্যে যার সাথে জুটি বেঁধে দিয়েছেন তার সাথেই বিয়ে হয়।আমার এই দিদি এখানে বিয়ে করবো না ওখানে করবো না করতে করতে আজ তার বিয়ে এবং তার পছন্দের ছেলের সাথেই। সবাই খুশি যে অবশেষে বিয়ে হবে।
আমি গায়ে হলুদের দিন বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলাম। গায়ে হলুদ আপনাদেরকে সাথে ভাগ করে নিয়েছি।
আমরা বিয়ের ঘট ভরাতে বাসার পাশের এক পুকুরে গিয়েছিলাম আর পুকুর দেখে আমার মন ভেঙ্গে গেছে।গ্রামে স্বচ্ছ জলের পুকুর দেখে অভ্যাস্ত আর শহরের ঐ পুকুুটি এতোই নোংরা যা বলে বোঝাতে পারবে না।আমি ঘট নিয়ে আর জল ভরতে নামিনি নিচে।পুকুরে ঘট ভরাতে গিয়ে কিছু আচার নিয়ম থাকে সেগুলো করার পর ঘট ভরিয়ে আনতে হয়।আমার ঘটটি আমি ধরে দাড়িয়ে ছিলাম উপরে এবং একজন আমার ঘটটি ভরে দিয়েছে তা আমি নিয়ে এসেছি।ঘট ভরানোর জন্য আমরা সাতজন সাতটি ঘট নিয়ে গেছি আমাদের সাথে সবাই দেখতে গেছে এবং সাথে ছিলো বাজনা।
বর সাতটার ভীতরেই চলে এসেছে কারণ বিয়ের লগ্ন ছিলো রাত আটটায়।যদিও বা রার আটটার লগ্ন ধরা যায় নি।তিনটি লগ্ন ছিলো রাত আটটা,আড়াইটা ও সারে চারটায়। আমরা দেরটার লগ্নতে বিয়ে বসিয়েছি।
বিয়ের আগে যে আর্শিবাদ করা হয় তা করা হয়নি কারণ আমরা ছেলের আশির্বাদ আগে করি কিন্তুু মেয়ের আশির্বাদ করা হয় বিয়ের দিন। এই তো বরকে গাড়ি থেকে বরন করে নিয়ে আসা হলো এবং এখানে তাকে রিসিভ করা হলো ফুলের তোরা দিয়ে।
ছেলের বাড়ি থেকে মাছ মিষ্টি, পান সুপারি ও মেয়ের কসমেটিক ও স্বর্ণের গহনা এনে আশির্বাদ করা হয়।
এই তো এখন আশির্বাদ করার জন্য বসানো হয়েছে মেয়েকে।ছেলের বাড়ির গুরুজনেরা আশির্বাদ করলো।
আশির্বাদ শেষ করে খাওয়াদাওয়া করার পরেই বিয়ের জন্য ছেলেকে নিচ থেকে ছাদে বিয়ের আসরে আনা হলো এবং মেয়েকে আনা হলো পান পাতা দিয়ে মেয়েকে পিড়িতে বসিয়ে নিয়ে আসলোে এবং বরের কে মাঝে রেখে সাতপাঁকে বাধা পড়লো এবং মালা বদল করা হলো।
এরপর বিয়ের জন্য বর কণেকে বসানো হলো এবং পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণের সাথে বিবাহ বাঁধনে আবদ্ধ হওয়ার প্রথম ধাপ সম্পূর্ণ হলো।
এরপর আবারও বর কণে হেটে হেটে বিয়ের আসর প্রদক্ষিণ করলো সাতবার। সাতপাঁকে এক সাথে বাধা পড়লো এবং সিদুর দান হওয়ার মাধ্যমে বিয়ে সুসম্পূন হয়ে গেলো।
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।