দেবরের বিয়ে ও বর যাত্রী হওয়ার অনুভূতি শেষ পর্ব🥰

shapladatta -

হ্যালো

আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো দেবরের বিয়ের বরযাত্রী হওয়ার অনুভুতির দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব।

বিয়েবাড়িতে পৌছানোর পর বরকে গাড়ি থেকে নামানোর সব নিয়মকানুন সেরে গেটে বরকে আটকিয়ে টাকা আদায় করলেন।এরপর আমরা উপরে চলে গেলাম এবং বউকে দর্শন করলাম প্রথমে।

এরপর মেয়েকে আশির্বাদ পর্ব সম্পূর্ণ করলেন গুরুজনেরা।


এরপর আমরা ফ্রেস হলাম এবং চেন্জ করলাম।আমার তো ভীষণ অসস্তি লাগছিলো এতো দূরে জার্নি করার কারণে।
একটু পরেই নাস্তা ও তার কিছু পরেই ডিনার করালেন আমাদের কে।
ডিনার করার পর বিয়ের জন্য সব রেডি করে বিয়েতে বসানো হলো।বিয়ে শুরু হয়ে গেছে আমরা সবাই বর কনের পিছনে বসে বিয়ে উপভোগ করতে লাগলাম।


বিয়ে শেষ হলো। তারাতাড়ি বিয়ে হয়েছে কারণ লগ্ন ছিলো এগারোটায়। আমরা বিয়ে শেষ গেষ্ট হাউসে থাকতে গেলাম।বিয়ে হয়েছে নড়াইলের কমিউনি সেন্টারে। আমাদের গাড়িতে করা আমারা গেষ্ট হাউসে গেলাম এবং শুয়ে পড়লাম খুব তারাতারি। আমরা প্রায় ৮০ জন বর যাত্রী গিয়েছিলা।খুব তারাতাড়ি শুয়ে পড়লাম কারণ বাসি বিয়ে হবে সকাল সকাল এবং বাসি বিয়ে শেষে আমরা আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিব।হঠাৎ করে এতোটা পথ জার্নি করার পর আর ঘুম আসছিলো না।কেমন জানি ভয় ভয় লাগছিলো।ফোন ঘাটাঘাটি করে করে হঠাৎ করে কখন ঘুমিয়ে গেছি তা একদমই জানি না।ঘুম হয়েছিলো বেশ।

খুব সকালেই জেগে গেলাম এবং ঝটপট স্নাস সেরে রেডি হয়ে আবারও কমিউনিটি সেন্টারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এসে দেখলাম বাসি বিয়ের আয়োজন হয়ে গেছে এবং একটু সময় পরেই বিয়ে শুরু হয়ে গেলো।


বিয়ে শেষ খাওয়ার ব্যাবস্থা করা হলো তবে আমরা আর কমিউনিটি সেন্টার না খেয়ে বাইরে গিয়ে হোটেলে যে যার পছন্দ মতো খাবার খেলাম বিল কিন্তুু বর পক্ষের। আমি গরমে অতিষ্ঠ হয়ে দই চিরা খেলাম।শুধু কি আমি অনেকেই খেয়েছে দই চিড়া।কেউ বা পরোটা তরকারি মিষ্টি। দই চিড়া খেয়ে খুব আরাম অনুভব করছিলাম।একদম হাত দিয়ে দই চিড়া খেয়ে নিলাম।

খাওয়াদাওয়া শেষ আসার জন্য সবাই তৈরি হয়ে গেলাম এবং এর ফাকে আমি কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম কারণ বিয়েতে ক্লান্ত থাকার কারণে তেমন ফটো তোলা হয়নি।আমি শাড়ি ছেড়ে থ্রিপিস পড়েছিলাম কারণ আসার দিন শাড়ি পড়ে লং জার্জি করাটা বিরক্তিকর মনে হয়েছিলো।


আমরা সবাই বউ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম এবং রাত নয়টায় এসে বাড়িতে পৌছালাম। বাড়িতে এসে বৌ নামানোর এবং নানা রকমের রেওয়াজ শরু হয়ে গেলো।এখানেও বর বউকে আটকিয়ে আটকিয়ে টাকা নেয়া হলো। বাড়ির ভীতরে প্রবেশের আগে দশ হাজার টাকা দিয়ে ঢুকতে হয়েছে।ছোট ভাই বোন ও বৌদিরা।গৃহে প্রবেশের পর অনেক নিয়ম কানুন মেনে বউকে ঘরে তুল্লেন।তারপর সবাই শুয়ে পড়লেন কারণ পরদিন বৌভাত।

সকালে উঠে বৌভাতের আয়োজন করা হলো এবং বৌভাত হয়ে গেলো।আত্নীয় স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশি, নিমন্ত্রিত অতিথি সবাই বৌভাত খেতে আসলেন এবং খেয়ে বৌকে আশির্বাদ করলেন।

আসলে সব কিছুর ফটোগ্রাফি করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই যে টুকু ফটোগ্রাফি করেছি সেটুকুই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। এই ছিলো দেবরের বিয়ে ও বর যাত্রী হওয়া অনুভুতি।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন।

টাটা

পোস্টবিবরণ
পোস্ট তৈরি@shapladatta
শ্রেণীজেনারেল রাইটিং
ডিভাইসOppoA95
লোকেশনগাইবান্ধা, বাংলাদেশ

আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।