ফটোগ্রাফি করা আমার একটি নেশা বলতো পারেন। আর ফটোগ্রাফিকে আমি একটি আর্ট ও মনে করি। কেননা এই ফটোগ্রাফির মধ্যেও মনে অন্য রকম একটা প্রশান্তি অনুভব করা যায়। কোথাও কোন সৌন্দর্যপূর্ণ জিনিস দেখলেই সেটি ক্যামেরাবন্দি করে নেই আমি। এখানে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আমি যদিও বা প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার না কিন্তু আমি আমার পক্ষ থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করি আমার করা ফটোগ্রাফি গুলি শ্রোতাদের দৃষ্টি আকর্ষণীয় করার জন্য। আশা করি আপনারা আমার করা ফটোগ্রাফি সম্বন্ধে নিচের কমেন্ট বক্সে আপনাদের নিজস্ব মন্তব্য জানাবেন। চলুন তাহলে এবার ফটোগ্রাফির পর্ব টি শুরু করি।
গ্যালোরী ফুল:
প্রিয় বন্ধুরা আমার আজকের ফটোগ্রাফি পোস্ট এর শুরুতেই রেখেছি গ্যালোরী ফুল। শীতকালীন ফুল গুলোর মধ্যে একটি হল এই গ্যালোরি ফুল। ঘ্রাণ এবং সৌন্দর্যতায় অদ্বিতীয়। আমার প্রিয় পছন্দের ফুল গুলোর মধ্যে একটি হলো এই ফুল।ফুল চাষিরা এই ফুলকে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করে থাকেন। বাজারে এই ফুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রত্যেকটা ফুল বিক্রি হয় ২০ থেকে ২৫ টাকা করে। যা অন্য সব ফুলের তুলনায় অনেকটা দামি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে গ্যালোরি ফুলের চাহিদা ব্যাপক বিশেষ করে শীতকালীন সময়ের অনুষ্ঠানগুলোতে সব থেকে বেশি প্রাধান্য পায় এই ফুল। আমাদের দেশে বেশ কয়েক কালারের এই ফুলকে লক্ষ্য করা যায়। তার মধ্যে এই বেগুনি কালার অন্যতম।
বনফুল:
এই ফুলের নাম জায়গা ভেদে নানা রকম হয়ে থাকে। আমাদের এলাকাতে এই ফুলকে বনফুল নামেই সকলেই চিনে থাকে।দেখতে অলকানন্দা এবং মাইক ফুলের মতোই প্রায়। তবে এটি কিন্তু এই ফুলগুলোর মধ্যে একটিও নয়। বিশেষ করে বনে জঙ্গলে এই ফুলকে ব্যাপক হারে লক্ষ্য করা যায়। কোন সুবাষ নেই কিংবা বাজারেও তেমন কোন চাহিদা নেই। প্রকৃতির নিয়মই এই ফুলটি হয়ে থাকে। তারপরেও দেখতে যেন অসম্ভব সুন্দর লাগে। বেশ কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম বাসার বাইরে একটু ঘুরতে, তখন রাস্তার ধারে এই ফুলকে দেখতে পাই সেখান থেকে মূলত এই ফুলের ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম।
ভিমরুল ও সরষে ফুল:
শীতকাল এসে গেছে। এখন কৃষকদের জমিতে সরষে ফুলের রকমারিতে ভরে উঠবে। ভরে উঠবে কৃষকদের জমি সরষে ফুলে অসম্ভব সৌন্দর্যতায়। সেই সাথে সর্ষেফুলের মাঝে দেখা মিলবে নানারকম কীটপতঙ্গের। তার মধ্যে ভিমরুল অন্যতম। মধু সংগ্রহের জন্য এ সকল কীটপতঙ্গ গুলো সর্ষেফুলের মধ্যে বসে থাকে। যদিও বা এগুলো ক্ষতি করে না কিন্তু দেখলেই ভয় লাগে। চমৎকার এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম আমি গত বছর।যা আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
বন্য ফুল:
কিছু কিছু জিনিস দেখা যায় কোনরকম যত্ন এবং পরিচর্যা ছাড়াই প্রকৃতির নিয়মে চমৎকার ভাবে বর্ধিত হয় এবং পরিবেশে সুন্দর একটি রূপ দেয়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বন্য ফুলগুলো। এই বন্যফুল গুলো কারোর কোনরকম যত্ন পায় না বরং নিজে থেকেই সুন্দর একটি রূপ নিয়ে আমাদের মাঝে সৌন্দর্যতা বিস্তার করে। যা আমাদের পরিবেশকে আরো সৌন্দর্যমন্ডিত করে। যেমন আমার উপরের বন্য ফুলটি। ছোট ছোট এরকম আরো অনেক ফুল রয়েছে যেগুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগে। এই ফুলগুলোর সুগন্ধ থাকে না তবে চোখ জুড়ানো সৌন্দর্যতা থাকে। যা আমাদের বরাবরই আকৃষ্ট করে তোলে।
শরতের আকাশ:
শরৎকাল মানেই আকাশের সৌন্দর্য। শরৎকালে আকাশে এমন একটি সৌন্দর্য পরিলক্ষিত হয় যা অন্য সকল ঋতুতে দেখা যায় না। শঙ্খচিলের মত নীল আকাশের মাঝে কিছু মেঘ উড়ে বেড়ায়। যা দেখলেই এক নজরে প্রাণ জুড়িয়ে যায়।বরাবরই আমাকে নীল আকাশের এইরকম ফটোগ্রাফি গুলি এবং দৃশ্যগুলি খুবই ভালো লাগে। আমার এই ফটোগ্রাফিটি ও করে রেখেছিলাম গত বছরের দিক।ফোনের গ্যালারিতে দেখতে পেয়ে আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।
বাঁশের ব্রিজ:
বাঁশের ব্রিজ নাম শুনলেই যেন একটা অন্যরকম অনুভূতি আসে মনে। কেননা এরকম ব্রিজ খুব কমই দেখা যায় তবে এই ব্রিজগুলো দেখতে কিন্তু যেমনটা ভালো লাগে তার থেকেও বেশি ভালো লাগে এরকম বাঁশের ব্রিজ গুলোর উপর দিয়ে হেঁটে যেতে। আমার উপরে শেয়ার করা ফটোগ্রাফিটির মধ্যে যে বাঁশের ব্রিজটি দেখতে পাচ্ছেন এটা মূলত সাধারণ কোন ব্রিজ নয়। দেখতে যদিও বা সাধারণ কিন্তু এই বাঁশের ব্রিজ এর গুরুত্ব অপরিসীম। অপরিসীম বলার কারণ হচ্ছে এই একটি মাত্র ব্রিজ নদীর এক পাশ থেকে অন্য পাশের মানুষদের মাঝে সংযোগ এবং যোগাযোগ করার একমাত্র মাধ্যম। শুধু তাই নয় এই ব্রিজটি দিয়েই অসংখ্য মানুষ এবং ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়া করার জন্য শহরমুখী হয়ে থাকে। যা সত্যিকার অর্থেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্রিজ।এই ব্রিজ টি রংপুর জেলার বদরগঞ্জ পৌরসভার এরশাদ ব্রিজ এর নিকট আসলেই দেখতে পারবেন।
আমার লিখে যাওয়া এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো কমেন্ট বক্সে।
🥰পোস্ট টি ভিজিট করার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ🥰 |