আপনার সামান্য সহানুভূতিতে বেঁচে যাবে গুটিকথক প্রাণ।।
4 comments
হ্যালো..........
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
ভোর হলেই কিন্তু সূর্য উদিত হয় এবং সেই সূর্য ঠিক সন্ধের দিক অস্ত যায়।এই সময়টুকু তথা ভোর থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত সময় টি আমাদের কাছে একটি দিন নামে পরিচিত আর সন্ধ্যে থেকে ভোর পর্যন্ত সময়টি একটি রাত নামে পরিচিত। এই ভাবেই আমাদের জীবন থেকে প্রতিনিয়ত একের পর এক দিন রাত চলেই যাচ্ছে।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে দিন কি সবার একই রকম যায়? একটি দিন কারোর কাছে ভীষণ সুখকর আবার কারোর কাছে কষ্টের অন্ত নেই!সময় একেকজনের জন্য একেক রকম দিক নিয়ে আসে। একসময়ের গণ্যমান্য এবং অধিক সম্পদের মালিক লোকটি ও কোনো এক সময় না খেয়ে দিন রাত যাপন করে। পরিস্থিতির শিকার হয়ে যায়। অনেকের তো ফুটপাত এবং রেলওয়ে স্টেশন ঠাই গুজার একমাত্র স্থান হয়। তারাও কারোর সন্তান ,কারর পিতা, কারর মাতা বা কারোর বোন।আহঃ কি কষ্ট!
আমি বলতে চাচ্ছি এই মানুষগুলোর জন্য আমাদের করণীয় কি। দেখুন বন্ধুরা সামনে কিন্তু শীতকাল চলে আসতেছে। আমাদের উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই শীতের আগমন ঘটে গেছে। আমার পোস্ট এর উপরে যে ফটোগ্রাফি এবং নিচে যে ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন এগুলো আমার নিজের করা রংপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে। ফটোগ্রাফি গুলোতে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন বেশ কিছু মানুষ শুয়ে আছে যাদের অনেকেই বস্ত্রহীন। এই সামান্য শীতেই দেখলাম একজন কাপতেছে। আমি যখন ফটোগ্রাফি করি তখন দুর্ভাগ্যবশত ঐ লোকটিই দেখে ফেলে।
লোকটির বয়স আমার আন্দাজে ৬০বছর এর কাছাকাছি হবে। আমায় ফটোগ্রাফি করতে দেখে বলে বাবা আমার ছবি তুলিও না। যদি পারো কয়েকটা টাকা দাও কিছু খাইনি রাতে। সাথে সাথেই আমি ফোন পকেটে রেখে দিই। লোকটির অবস্থা এতটাই শোচনীয় ছিল দেখে খুবই খারাপ লাগছিল। আমি তেমন কোনো রিচ ফ্যামিলির সন্তান না তাকে বস্ত্র কিনে দিবো, কারণ সেরকম টাকা আমার কাছে ছিল না।
তারপরে আমি যথাসাধ্য ভাবে ওনাকে হোস্টেলে নিয়ে রাতের খাবার খাওয়াই, খেতে খেতে উনি ওনার পরিবারের গল্প বললেন। কষ্ট লাগলো কথাগুলি শুনতে, কারণ দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এটাই ওনার একজন ছেলে সরকারি জব হোল্ডার। উনার কষ্টের কথা বলছিলেন আর কাঁদছিলেন। আমিও আর বেশি কিছু জিজ্ঞাসা করিনি। উনার খাওয়া হলে হোস্টেলে বিল দিয়ে ওনাকে বিদায় জানাই।
এসব বলার উদ্দেশ্য আমার সুনাম অর্জন করা নয়। দেখুন বন্ধুরা এই জায়গা গুলোতে যে মানুষগুলো আসে তারা কোনো না কোনো এক পরিস্থিতির শিকার হয়েই আসে। গরমের চেয়ে ঠান্ডায় অনেক বেশি মানুষ মারা যায়। আপনাদের প্রতি বিনীত আহ্বান জানাবো যদি আপনাদের সম্ভব হয় এই মানুষগুলোকে শীতের মৌসুমে কম্বল কিনে দিবেন আর না হয় একবেলা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিবেন। কেননা এই শীতে খাওয়ার জালা সহ্য হলেও শীতের জ্বালা সহ্য করা কঠিন। দুটোই একসাথে হলে একজন মানুষ আর কদিন বাঁচতে পারে। আশা করব নিজ নিজ জায়গা থেকে এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াবেন। হতে পারে আপনার এই সামান্য সহানুভূতিতে বেঁচে যাবে অকালে ঝরে যাওয়া কিছু প্রান।
[বি:দ্র:]
আর হ্যাঁ কাউকে কোন কিছু দান করে কখনো ছবি তুলে ফেসবুক বা অন্যান্য কোন ওয়েবসাইটে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকবেন। কেননা এতে ঐ মানুষটার মনে মনে কষ্ট হলেও সে আপনাকে প্রকাশ করতে পারে না। কেননা তারা অসহায় থাকে সে সময়।
আশা করছি আমার আজকের এই লেখাটি বেশ ভালো লেগেছে আপনাদের। আমার লিখে যাওয়া এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো কমেন্ট বক্সে।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
Comments