হ্যাল্লো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
ফটোগ্রাফি করা আমার একটি নেশা বলতো পারেন। আর ফটোগ্রাফিকে আমি একটি আর্ট ও মনে করি। কেননা এই ফটোগ্রাফির মধ্যেও মনে অন্য রকম একটা প্রশান্তি অনুভব করা যায়। কোথাও কোন সৌন্দর্যপূর্ণ জিনিস দেখলেই সেটি ক্যামেরাবন্দি করে নেই আমি। এখানে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আমি যদিও বা প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার না কিন্তু আমি আমার পক্ষ থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করি আমার করা ফটোগ্রাফি গুলি শ্রোতাদের দৃষ্টি আকর্ষণীয় করার জন্য। আশা করি আপনারা আমার করা ফটোগ্রাফি সম্বন্ধে নিচের কমেন্ট বক্সে আপনাদের নিজস্ব মন্তব্য জানাবেন। চলুন তাহলে এবার ফটোগ্রাফির পর্ব টি শুরু করি।
গাছ আমাদের পরিবেশকে শীতল রাখে এটা অবশ্যই মানতে হবে। যতই গরম হোক না আপনি পাতা সম্পন্ন একটি বৃক্ষের নিচে গিয়ে বলবেন দেখবেন একটু পরেই আপনার পুরো শরীর শীতল হয়ে গিয়েছে। আর যদি কোন বৃক্ষ সম্পন্ন জায়গা হয় তাহলে তো মনে হয় যেন সেখানে শীতকাল চলছে একটুতেই শরীর জুড়িয়ে যায়। এই বিষয় নিয়ে আমি আর নতুন কিছু না বললেও চলবে কেননা যারা গ্রামে অবস্থান করেন তারা খুব ভালোভাবেই জানেন বৃক্ষ আমাদের পরিবেশকে শীতল রাখে। তাই সকলকে আহবান করবো যথাসম্ভব বৃক্ষরোপণ করুন নিজের পরিবেশকে বাঁচান।
দেখতেই পাচ্ছেন যে আপনাদের মাঝে অতি পরিচিত একটি ফুলের ফটো শেয়ার করেছি। কমবেশি আমরা সকলেই জানি এই ফুলের নাম হচ্ছে জবা ফুল। জবা ফুল মূলত আমাদের দেশে বেশ কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। সবগুলোর মধ্যে এই লাল রঙের জবাটি অসম্ভব রকমের ভালো লাগে। কলি অবস্থায় যখন থাকে তখন যদিও বা অতটা ভালো লাগেনা কিন্তু যখন পরিপূর্ণ ফুলে প্রকাশিত হয় তখন দারুন দেখায়। আশা করি আপনাদের নিকট জবা ফুলের এই ফটোগ্রাফিটি ভালই লেগেছে।
এটি একটি কাটা জাতীয় বৃক্ষ। এই গাছটির নাম আমি যদিও বা জানিনা কিন্তু দেখতে ভালোই দেখাচ্ছিল। গাছটির পাতাগুলো সম্পূর্ণ আলাদা আলাদা। আর প্রত্যেকটা পাতার দু সাইড দিয়ে ছোট ছোট কাটার মত রয়েছে। যেগুলো হাত দিয়ে ধরলেই হাতে পুশ করে যায়। তবুও দেখতে যেন ফুলের মত দেখাচ্ছিল। যদিও বা ফুল নয় এটি। আপনাদের যদি কারো এই গাছটি চেনা হয়ে থাকে তাহলে আশা করি কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
ছোট ছোট গাছ দিয়ে তৈরি করা একটি লাভের। অসম্ভব সুন্দর রকমের একটি ভালোবাসার প্রতীক। এরকম অবয়োব গুলো যে এভাবে তৈরি করা যায় ভাবতেই যেন মনে দোলা দিয়ে ওঠে। দেখতে আসলেই অসম্ভব রকমের সুন্দর দেখাচ্ছে। আশা করি এই দৃশ্যটি আপনাদের ভালো লেগেছে।
এটি একটি ফোয়ারা। ঝর্না আমরা সকলেই ভালবাসি। বিশেষ করে গরমের সময় এটি সবথেকে বেশি ভালো লাগে। কেননা ঝরনার চতুর্দিক দিয়ে ঘুরলে সাদা সাদা ছোট ছোট পানিকনা আমাদের শরীরে উড়ে এসে পড়ে। আর এগুলোর অনুভূতি অসম্ভব রকমের সুন্দর হয়। বিশেষ করে যখন ঝর্ণার পাশে বসে থাকবেন নিস্তব্ধ জায়গায় তখন কিন্তু পানির কল কল আওয়াজ হৃদয় ছুঁয়ে যায়। উপরের যে ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন এটি করেছিলাম আমি নন্দন ইকোপার্ক থেকে। যখন ফটোগ্রাফি করছিলাম সে সময়েও আমার ফোনের ক্যামেরাতে এবং ফোনের উপরে সেই পানির বিন্দু বিন্দু কণাগুলো এসে পড়ছিল। সুন্দর রকমের অনুভূতি ছিল। ফটোগ্রাফি পোস্ট এর ফটোগ্রাফি গুলি এবং বর্নানাগুলি আপনাদের ভালো লেগেছে আশা রাখি।
আশা করছি আমার আজকের এই লেখাটি বেশ ভালো লেগেছে আপনাদের। আমার লিখে যাওয়া এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো কমেন্ট বক্সে।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
আমি মোঃ শাহিদ ইসলাম। আমি রংপুর বিভাগের রংপুর জেলায় বসবাস করি। আমি একজন বাঙালি হিসেবে মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে এবং বাংলায় নিজেকে প্রকাশ করতে ভীষণ রকম স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। বর্তমানে আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর(IHC )ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স এবং মাদ্রাসা থেকে ফাজিল করতেছি। সবথেকে বড় পরিচয় আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির একজন ভেরিফাইড ব্লগার। সংকল্প নিয়েছি এমনভাবে ব্লগিং করব যাতে প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সাফল্যের ভাগীদার হতে পারি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি একজন উদ্যোক্তা হব। তাছাড়াও ভিন্ন ভিন্ন বিষয় কনটেন্ট লেখা-লেখি,কবিতা লেখা ,আর্ট করা ,ওয়ালমেট তৈরি , অরিগামী ডিজাইন, ফটোগ্রাফি করা ,গজল-গান কভার করা,ভ্রমণ করা,রেসিপি রিভিউ সহ সব রকম কাজ করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। আমি মনে করি ধৈর্য,পরিশ্রম, বিশ্বস্ততা এগুলো সফল হতে সম্মুখ ভূমিকা পালন করে। সর্বোপরি ধন্যবাদ জানাই বড়দাদা এবং ছোট দাদাকে।
vote@bangla.witness as a witness