নাটক রিভিউ//ধনী গরিবের লড়াই//পর্ব--৫
8 comments
হ্যাল্লো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
আমার আজকের ব্লগের বিষয় হচ্ছে নাটক রিভিউ।নাটকের নাম হচ্ছে ধনী গরিবের লড়াই।আশা করি আমার আজকের নাটক রিভিউ ব্লগ টি আপনাদের ভালো লাগবে। ।চুলুন শুরু করি তাহলে।
নাটকটির গুরুত্ববহ তথ্যসমূহ:
নাটকের নাম: | ধনী গরিবের লড়াই |
---|---|
পর্ব নং: | ৫ |
পরিচালক: | ঈগল টিম |
প্রযোজক: | কচি আহমেদ |
অভিনয়: | ইফতিখার ইফতি, জান্নাতুল মাওয়া, রাফি, মায়া মিম, সহেলী কাকন, জাহাঙ্গীর ,লিপু মামা, সুমন ,রেজা ,মনি ,বৃষ্টি ,জেরিন ,পারভেজ ,ওয়াহিদ রহমান ,সুমন পাটোয়ারী সহ আরো অনেকে |
নাটকটির দৈর্ঘ্য: | ২৪মিনিট |
রচনা: | সোলায়মান |
সম্পাদনা: | অনিক ইসলাম |
ভাষা: | বাংলা |
দেশ: | বাংলাদেশ |
নাটকের নায়ক ইফতেখার ইফতি নাটকের মধ্যে
সোহাগ নামে পরিচিত আর নায়িকা জান্নাতুল মাওয়া রিমা নামে পরিচিত।
ধনী গরিবের লড়াই নাটকের পঞ্চম তম পর্বের শুরুতেই দেখতে পাবেন, সোহাগ রিমার সাথে রাতে দেখা করতে আসে তখন লাঠিয়াল তাদের দেখে ফেলে সোহাগকে মারার হুমকি দেয়। ঠিক তখনই সোহাগের বাবা লাঠিয়ালের গলায় ছুরি লাগিয়ে দেয় আর সোহাগকে বলে যাও বাবা বৌমার সাথে কথা বল। আহাঃ বন্ধুসুলভ বাবা। তারপর রিমার সাথে সোহাগ কথা বলে তারা চলে যায়। পরের দিন সকালে রিমা এই খুশিতে বাচ্চাদের চকলেট বিলি করছিল। তা দেখে আবার রিমার বড় বোন বলে, কি ব্যাপার এত খুশি কেন আজ। রিমা তখন বলে আকাশে চাঁদ উঠলে ঠিকই দেখা যাবে। এদিকে সুরুজ এবং সুরুজের বাবা পরামর্শ করে কিভাবে তারা খুব তাড়াতাড়ি মোড়ল বাড়ির সব অধিকার নিজেদের করে নিবে। তাই রিমার সাথে সুরুজের বিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দিয়ে দিতে চায় সুরুজের বাবা।
এদিকে সোহাগের বাসায় পুলিশ এসেছে সোহাগের খবর নিতে। তখন সোহাগের বাবা বলে সোহাগকে পাওয়া গেছে। তখন সোহাগের মুখ থেকে পুলিশ সমস্ত ঘটনা শুনে বলে আপনারা একটা মামলা করেন মোড়লদের আমি ধরে নিয়ে যাচ্ছি। তখন সোহাগের বাবা বলে, আমি ওদের বাড়ির মেয়েকে আমার বাড়ির বউ বানাবো। তাই পুলিশ আর কিছু না বলেই চলে যান। এদিকে আবার সুলতানা আর মাস্টার মশাইয়ের প্রেম রসের কথা কি আর বলবো। তো হঠাৎ করেই মাস্টারমশাই এবং সুলতানা কে সুলতানার ভাই দেখে ফেলে কথা বলতে। তখন মাস্টারকে বলে আর একদিন কথা বলা দেখল সোহাগের মতো আপনাকেও গুম করে দিব।
রিমা আর সোহাগ বরাবরই ফোনে যোগাযোগ করে যাচ্ছিল। রিমা সোহাগকে বলে আমার বিয়ে ঠিক করেছে সুরুজের সাথে কিন্তু যাই হোক আমি তোমাকেই বিয়ে করব। আহাঃ কি প্রেম। এরই মাঝে মোড়লের কানে পৌঁছে যায় যে সোহাগ এখনো বেঁচে আছে। কেননা এই খবরটি লাঠিয়াল মোড়ল এবং সুরুজকে জানিয়ে দেয়। এটা শুনেই মোড়লমশাই সুরুজকে বলে খুব তাড়াতাড়ি যেন বিয়ের আয়োজন করে। এই খুশিতে সুরুজ তার বন্ধুদের ইনভাইট করে এবং নিজে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। সেই সাথে যাতে রিমাকে তার ভাবীরা সুন্দর করে সাজিয়ে তার ঘরে বউ করে পাঠায় সেজন্য তার ভাবিদের কেও বকশিশ দেয়।
রিমা সুরুজের সাথে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তার ওপর অনেকেই অনেক রকম আচরণ করে। কিন্তু রিমা এক কথায় বলে দেয় বিয়ে করলে সোহাগকেই করব। কিন্তু পরের দিন রাতে আর সোহাগ রিমার সাথে দেখা করতে এলো না। কারণ তার বাবা তাকে নিষেধ করেছিল। তার বাবা বুঝে গিয়েছিল তার ছেলে যদি আজকে দেখা করতে যায় তাহলে তার ছেলেকে ধরে ফেলবে মোড়ল রা। সোহাগ না আসাতে রিমা একটু বাইরে হাটতে চায় রাতে। কিন্তু সুরুজ ডিরেক্ট নিষেধ করে দেয়। তাই বাধ্য হয়ে রিমা পরের দিন সোহাগের কাছে বোরখা পড়ে বেরিয়ে যায়। আর এই কাজে তাকে সাহায্য করেছিল সুরুজের মা তথা রিমার চাচি। কিন্তু পথিমধ্যে রিমার ভাই তাদের দেখে ফেলে।এর পরে কি হল তা পরবর্তী পর্বে দেখা যাবে ততক্ষণ অব্দি অপেক্ষায় করুন....
নাটকের এই পর্বকে নিয়ে আমার মন্তব্য:-
সত্যি বলছি রিমার মত একটা মেয়ে পেলে জীবনটা আমার ধন্য হয়ে যেত হা হা হা। মেয়ে মানুষ যে এতটা সিরিয়াস ভাবে ভালবাসতে পা রে আমার অজানা ছিল আর কি। রিমা মোড়ল বাড়ির সমস্ত নিয়ম ভেঙ্গে গরীবের ছেলে সোহাগ কে বিয়ে করতে চায়। এটাই হচ্ছে এই পর্বের সবথেকে ইন্টারেস্টিং টপিক্স। কিন্তু জোর করে সুরুজ রিমাকে বিয়ে করতে চায়। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। রিমার সাথে সুরুজের বিয়ে হয় নাকি সোহাগের। সবকিছু জানার জন্য চোখ রাখুন....
আশা করছি আমার আজকের এই লেখাটি বেশ ভালো লেগেছে আপনাদের। আমার লিখে যাওয়া এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো কমেন্ট বক্সে।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
Comments