রংপুর তাজহাট জমিদার বাড়ি ঘোরার অভিজ্ঞতা(বৃক্ষ ডিজাইন)।। পর্ব --4

shahid540 -
❤️আসসালামু আলাইকুম ❤️

হ্যাল্লো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে। বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে তাজহাট জমিদার বাড়ি ঘোরার কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। চলুন শুরু করা যাক:-

তাজহাট জমিদার বাড়ি ঘুরার অভিজ্ঞতা:


তাজহাট জমিদার বাড়িতে ঘোরার আজকের এই পর্বতে রাজপ্রাসাদের ভেতরের দৃশ্যপট গুলি আপনাদের মাঝে তুলে ধরার কথা ছিল। তবে আজকে সেটি না করে অন্য আরেকটি বিষয় জানানোর জন্য মনে অন্যরকম একটি উদ্রেক সৃষ্টি হল। ভাবলাম এই সৌন্দর্যপূর্ণ বিষয়গুলিও আপনাদের সাথে আগে ভাগ করে নিই। আসলে ব্যাপারটা হলো কি, কোন সৌন্দর্য এবং মজার জিনিস আপনাদের সাথে শেয়ার না করলে যেন ভালই লাগেনা। তাইতো ভাবলাম এই দৃশ্যপট গুলিও আপনাদের সাথে শেয়ার করি। সেগুলি হচ্ছে বৃক্ষের তৈরি বিভিন্ন ইমোজি এবং ডিজাইন।

হ্যাঁ বন্ধুরা বিষয়টি শুনতে একটু অদ্ভুত রকমের। যে আসলে বৃক্ষ দিয়ে কিভাবে বিভিন্ন ইমোজি তৈরি করা যায়। বাস্তব কিন্তু এটাই। যার প্রতিফল আপনারা অপরের ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন। উপরে যেমন একটি হ্যাপিনেস এর দেখতে পাচ্ছেন। এরকমভাবে আরো অনেক কিছু জিনিস তৈরি করে রেখেছে তারা। আর এই জিনিসগুলো আপনারা ভেতরে ঢুকেই হাতের ডান দিকে পাবেন।


আপনারা এবার যে জিনিসটি দেখতে পাচ্ছেন এটার নাম আসলে আমি নিজেও জানিনা। হ্যাঁ বন্ধুরা আপনারা যদি কেউ এই জিনিসটিকে বুঝতে পারেন তাহলে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না। আর নিচে একটি গাছের ফটো শেয়ার করেছি দেখে ভালই লাগছিল এজন্য ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করলাম। তবে উপরের জিনিসটা কি এটা না বুঝেও ফটোগ্রাফি করেছিলাম মূল কারণ হচ্ছে ভালো লেগেছিল এবং যাতে আপনাদের দেখাতে পারি।


এইবারের জিনিসগুলো দেখে হয়তোবা আপনারা বুঝে গিয়েছেন এগুলো কি। এগুলো হচ্ছে বসার জায়গা। আমি বোঝাতে চাচ্ছি মানুষ যেমন ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে গেলে কোথাও বসে একটু জিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ঠিক তেমনি। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কলেজ এবং স্কুলগুলোতে বসার মত বেশ কিছু জিনিস দেখা যায় যেগুলো কংক্রিটের তৈরি। কোনগুলো বৃত্তাকার আবার কোনগুলো লম্বা সোজা মানে একেক জায়গায় একেক রকম হয়ে থাকে। তেমনি এই জিনিসগুলো কেও সেভাবেই তৈরি করেছে তারা বৃক্ষ কেটে। তবে ভুল করেও কিন্তু এগুলোতে বসা যাবে না।


এখন বুঝতে পারছেন তো এগুলো কি জিনিস? যাইহোক আমি বলে দিই। প্রথমটা হচ্ছে ফুলের ডিজাইন আর দ্বিতীয়টা হচ্ছে পিরামিড। চিন্তা করা যায়!কি থেকে কি তৈরি করেছে তারা বৃক্ষ কেটে। আমি তো নিজেই দেখে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। বৃক্ষ কেটে ফুলের ডিজাইন এবং পিরামিড দুটোই যেন আশ্চর্যজনক আবিষ্কার। অবাক হওয়ার কিছু নেই ,আরো নতুন কিছু জিনিস অপেক্ষা করতেছে ,চলুন নিচের দিকে যাওয়া যাক।


এখন উপরে খুবই সিম্পল দুটি জিনিসকে শেয়ার করেছি। প্রথমটি হচ্ছে একটি গাছ এবং গাছের চতুর্দিক দিয়ে সুন্দর করে ডিজাইন করে দিয়েছে। আর পরেরটি কিসের নিদর্শন হতে পারে বলেন তো দেখি? পরের ফটোগ্রাফিতে দেখানো জিনিসটি হচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য পুরনো দিনের সেই চেরাগ যা বর্তমানে সময়ে নাই বললেই চলে একদম বিলুপ্ত। যাই হোক বন্ধুরা এই পর্বে আর তেমন কিছুই বলবো না। এখানেই শেষ করছি............ টা টা

🥀The End🔚

আশা করছি আমার আজকের এই লেখাটি বেশ ভালো লেগেছে আপনাদের। আমার লিখে যাওয়া এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো কমেন্ট বক্সে।

🥰পোস্ট টি ভিজিট করার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ🥰

DeviceRedmi 9A
Camera13 MP
CountryBangladesh
LocationRangpur, Bangladesh

আমি মোঃ শাহিদ ইসলাম। আমি রংপুর বিভাগের রংপুর জেলায় বসবাস করি। আমি একজন বাঙালি হিসেবে মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে এবং বাংলায় নিজেকে প্রকাশ করতে ভীষণ রকম স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। বর্তমানে আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর(IHC )ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স এবং মাদ্রাসা থেকে ফাজিল করতেছি। সবথেকে বড় পরিচয় আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির একজন ভেরিফাইড ব্লগার। সংকল্প নিয়েছি এমনভাবে ব্লগিং করব যাতে প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সাফল্যের ভাগীদার হতে পারি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি একজন উদ্যোক্তা হব। তাছাড়াও ভিন্ন ভিন্ন বিষয় কনটেন্ট লেখা-লেখি,কবিতা লেখা ,আর্ট করা ,ওয়ালমেট তৈরি , অরিগামী ডিজাইন, ফটোগ্রাফি করা ,গজল-গান কভার করা,ভ্রমণ করা,রেসিপি রিভিউ, কবিতা আবৃত্তি সহ সব রকম কাজ করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। আমি মনে করি ধৈর্য,পরিশ্রম, বিশ্বস্ততা এগুলো সফল হতে সম্মুখ ভূমিকা পালন করে। সর্বোপরি ধন্যবাদ জানাই বড়দাদা এবং ছোট দাদাকে।

vote@bangla.witness as a witness

or

Set@rme as your proxy