সোনালী সেই শীতের শৈশব//

shahid540 -
❤️আসসালামু আলাইকুম ❤️

হ্যালো..........
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।

সময়ের গতি বোঝা বড়ই দুষ্কর। মনে হচ্ছে এইতো কিছুদিন আগেই শীতকাল পেরিয়ে আসলাম। দেখতে না দেখতেই পুনরায় নতুন আরো একটি শীতকাল চলে আসলো আমাদের মাঝে। এভাবেই চলে যাচ্ছে দিনের পর দিন, রাতের পর রাত ,মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। ঢলে যাচ্ছি আমরা সেই চিরসত্য মৃত্যুর কোলে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমাদের জীবনে অনেক স্মৃতি থেকে যায় যেগুলো ক্ভুও ভুলবার নয়। সেই স্মৃতি থেকেই শৈশবের কিছু সোনালী স্মৃতির কথা বলে নেব আজকে।

আমি বলছি বাংলা সনের সেই পৌষ এবং মাঘ মাসের রূপ কথা। এই দুই মাসকে ঘিরেই যেন অসংখ্য স্মৃতি জড়িয়ে আছে আমাদের প্রত্যেকের জীবনে। যা আমাদের জীবনে স্মৃতির পাতায় অবিস্মরণীয় সোনালী শৈশব।

খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠে তারপর মিটিমিটি পায়ে বন্ধুদের ডেকে নিয়ে মক্তবে যাওয়া। ঠান্ডায় কাপু কাপু অবস্থা। তারপরেও যেন বাসায় আব্বু-আম্মুর উত্তম মাধ্যমে পা মক্তবের দিকে বাড়ানোর জন্য অথৈ ব্যস্ত থাকে। অবশেষে বন্ধুদের নিয়ে মক্তবের পড়া শেষ করে বাসায় এসে কেউবা যেত জমিতে ধান কুড়াতে আবার কেউবা বসতো স্কুলের পড়া পড়তে আবার কেউবা খেলায় মেতে উঠত রেকেট, গোল্লাছুট, মার্বেল এবং লাঠিম খেলা। আহাঃ কি এক নিদারুন শৈশব।

কখনো কখনো খুব ভরে উঠেই ঘুম থেকে দেখা যায় আম্মু এবং দাদিমা সহ উনুনের পাশে বসেছে নানা রকম পিঠা তৈরি করার জন্য। অন্যতম ছিল ভাপা পিঠা। সকালবেলা ভাপা পিঠা আর খেজুরের রস সংমিশ্রণে কি এক লোভনীয় পিঠাপুলির সমাহার থাকতো পুরো উনুনের উঠোন জুড়ে। যা কতই না মজা করে খেতাম আমরা। আহঃ পুনরায় যদি ঐ শৈশবে ফিরতে পারতাম। সেই পিঠা পুলি খেয়েই জমিতে কাজ করার উদ্দেশ্যে রওনা দিত বাড়ির সব কর্তারা।

আমরা চলে যেতাম কাপু কাপু অবস্থায় স্কুল বা মাদ্রাসার দিকে। সেই প্রতিষ্ঠানে যেও শান্ত ছিলাম না আমরা, রাস্তা দিয়ে ইক্ষু বোঝাই গাড়ি যেত আর সেই গাড়ির পিছনে দৌড়ে দৌড়ে ইক্ষু ফেলতাম কজন, আর কজন পিছনে ইক্ষুগুলো কুড়িয়ে কুড়িয়ে জমা করতো। আর মজা করে খেতাম পরে। বাসায় এসেই দুমুঠো খাওয়া করে দৌড় দিতাম খেলার মাঠে। খেলতাম হয়তো ক্রিকেট না হয় ফুটবল। সন্ধ্যে হলে আবার নাস্তা করেই হয়তোবা রেকেট না হয় ভলিবল খেলা হত আঁধারে লাইট জ্বালিয়ে।

তারপরে বাসায় এসে আর শরীর চলতো না কিছুক্ষণ লেখাপড়া করেই গভীর ঘুমে আচ্ছাদিত হয়ে পড়তাম বিছানায়। পুনরায় সকালে উঠে একইভাবে চলতো পুরো শীতকাল। কিন্তু এগুলো এখন আর দেখা যায় না শুধুই স্মৃতির পাতায় থেকে যাবে চিরকাল।এখনকার সময়ের ছেলে-পুলেরা মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকে।সেগুলো এরা বুঝবেই না যেন। যাই হোক সেই কথা মনে পড়ে গেলো তাই একটু পুরনো স্মৃতিতে নাড়া দেওয়ার চেষ্টা করলাম । কেমন হলো আজকের লেখা? জানাতে কিন্তু ভুলবেন না....

🥀The End🔚


আমার লিখে যাওয়া এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি কমেন্ট বক্সে আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো।

🥰পোস্ট টি ভিজিট করার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ🥰

DeviceRedmi 9A
Camera13 MP
CountryBangladesh
LocationRangpur, Bangladesh

আমি মোঃ শাহিদ ইসলাম। আমি রংপুর বিভাগের রংপুর জেলায় বসবাস করি।আমি অবিবাহিত। আমি একজন বাঙালি হিসেবে মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে এবং বাংলায় নিজেকে প্রকাশ করতে ভীষণ রকম স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। বর্তমানে আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,অক্সফোর্ড খ্যাত, রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর(IHC )ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স এবং মাদ্রাসা থেকে ফাজিল করতেছি। সবথেকে বড় পরিচয় আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির একজন ভেরিফাইড ব্লগার। সংকল্প নিয়েছি এমনভাবে ব্লগিং করব যাতে প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সাফল্যের ভাগীদার হতে পারি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি একজন উদ্যোক্তা হব। তাছাড়াও ভিন্ন ভিন্ন বিষয় কনটেন্ট লেখা-লেখি,কবিতা লেখা ,আর্ট করা ,ওয়ালমেট তৈরি , অরিগামী ডিজাইন, ফটোগ্রাফি করা ,গজল-গান কভার করা,ভ্রমণ করা,রেসিপি রিভিউ , কবিতা আবৃতি সহ সব রকম কাজ করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। আমি মনে করি ধৈর্য,পরিশ্রম, বিশ্বস্ততা এগুলো সফল হতে সম্মুখ ভূমিকা পালন করে। সর্বোপরি ধন্যবাদ জানাই বড়দাদা এবং ছোট দাদাকে।

vote@bangla.witness as a witness

or

Set@rme as your proxy