꧁প্রথমবারের মতো @rme দাদার শহর কলকাতায় যাচ্ছি꧂☆
10 comments
☆꧁প্রথমবারের মতো @rme দাদার শহর কলকাতায় যাচ্ছি꧂☆
বন্ধুরা সুন্দর, সতেজ, স্নিগ্ধ লাল গোলাপের শুভেচ্ছার পাপড়ি ছড়িয়ে দিলাম সকলের হৃদয় আঙ্গিনায়। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালোই আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন। এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা - আগামী ১০ ই মে- ২০২৪ ইং তারিখে আমরা কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেব। আমরা বলতে আমাদের সাহিত্যকর্মী বেশ কয়েকজন মিলে একটি টিম। কলকাতার কথা সামনে আসলেই আমাদের দাদার কথা মনে পড়ে যায়। মনে হয় @rme দাদার শহরে যাচ্ছি। এটা ভেবে অন্যরকম একটা অনুভূতি ছুঁয়ে যাচ্ছে মনের ভেতরে। এর আগে আমি দার্জিলিং গিয়েছিলাম। সেখান থেকে দার্জিলিংয়ের বেশ কয়েকটি স্পট ঘুরে বেরিয়েছি। দার্জিলিং গিয়ে উঁচু উঁচু পাহাড় দেখতে যতটা ভালো লেগেছিল ততটা ভয়ও পেয়েছিলাম।এবার আমাদের কলকাতা যাওয়া হয়ে ওঠে নাই। তবে নেপালের কাছাকাছি গিয়েছিলাম। দার্জিলিং গিয়েও বেশ বাংলা খাবার খেতে পেয়েছিলাম। যদিও খাওয়া দাওয়ার বিষয়ে আমি বেশ উদাসীন। তবুও মানিয়ে নিয়েছিলাম।
বাংলাদেশের বর্ডার এলাকা পার হয়ে যখন ভারতে পদার্পণ করলাম। তখনো দেখলাম সেখানকার মাঠ ঘাট গরু ছাগল সবকিছু আমার দেশের মতোই। পার্থক্যটা হচ্ছে একটি তারকাটার বেড়া। আমাদের দেশ যেমন সবুজ শ্যামলে ভরা। ঠিক তেমনি দেখেছিলাম শিলিগুড়িতে। খুব একটা পার্থক্য দেখে নাই। তবে দুই বাংলার সমন্বয়ে যখন এক বাংলা রূপান্তরিত হয় তখন,নতুন নতুন সেতু বন্ধনের কাব্য রচিত হয়।
অনেকদিন ধরেই কলকাতার কবি-সাহিত্যিক বন্ধুরা, ইনভাইট করে আসছিলেন কিন্তু সময় এবং সুযোগের জন্য যাওয়া হয়ে ওঠে নাই। কিন্তু এবার আর না করার সাধ্য ছিল না। যেহেতু ভিসা করা আছে তাই ভাবলাম ঘুরে আসি। পাবনা থেকে আমার সাথে আরো চার থেকে পাঁচজন আমরা একসাথে যাব। আর সেজন্য আমাকে বাসা থেকে রওনা করতে হবেন 9 তারিখ পাবনার উদ্দেশ্যে। অবশ্যই সকালে ট্রেনে যেতে হবে সকালে ট্রেনে উঠলে দুপুরের মধ্যে পৌঁছে যাব ইনশাআল্লাহ।
পাবনা থেকে রাত ১১ টায় আমরা দাশুরিয়া মোড় থেকে বাসে উঠে রওনা হব বেনাপোল সীমান্তে। সীমান্তে পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় ভোর পাঁচটা বেজে যেতে পারে।সকাল ৬ থেকে ৭ টার মধ্যে আমরা বর্ডার পার হব ইনশাআল্লাহ। কারণ ভোরবেলা বর্ডারে ভিড় কম থাকে। আশা রাখছি দুপুরের মধ্যে আমরা কলকাতা শহরে উপস্থিত হব।১১ তারিখ রাতে আমরা চুঁচুড়া তে যাব। এবং শুভ্রাদির বাড়িতে থাকব। সকালবেলা উঠে দিদির সাথে আমরা একসাথে অনুষ্ঠানে রওনা দেব।
এভাবে পর্যায়ক্রমে আমরা তিনটি প্রোগ্রামে এটেন্ড করব। মোট ৫ থেকে ৭ দিনের জন্য আমরা কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেব। সেখানে আমার অনেক কবি বন্ধু আছে যারা আমাকে অনেক ভালোবাসে। এবং বাংলাদেশে আমরা একসাথে অনেক প্রোগ্রাম করেছি। খুবই চমৎকারভাবে দুই বাংলার সেতুবন্ধন হয়েছে আমাদের।
বন্ধুরা আপনারা দোয়া করবেন এর মধ্যে যেন আমি সুস্থ থাকতে পারি এবং দাদার শহর কলকাতা থেকে ঘুরে আসতে পারি। তবে আপডেট জানাবো আবার নতুন কোন ব্লগে। সকলেই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন সুন্দর থাকবেন এই শুভ কামনায় আজকের মত এখানেই।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়: জেনারেল
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Comments