"সময়ের সমুদ্র" গদ্য কবিতার মূলভাব হলো, সময় একটি অবিরাম, অপ্রতিরোধ্য এবং অমোঘ স্রোত, যা আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে চলতে থাকে এবং কখনো থামে না। সময়ের এই স্রোতের সাথে আমাদের সম্পর্ক এক রহস্যময় ও অদ্ভুত। কখনো আমরা সময়কে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে চাই, কিন্তু সময় আমাদের হাতের নাগালের বাইরে চলে যায়, ঠিক যেমন এক বিশাল সমুদ্রের ঢেউ আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যায়। সময় যেমন আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে প্রবাহিত হয়, তেমনি সময়ের ভেতর দিয়ে আমাদের অনুভূতি, স্মৃতি, আশা এবং স্বপ্ন সব কিছু চলে যায়, কিন্তু কখনোই তা সম্পূর্ণ হারিয়ে যায় না।
কবিতায় সময়ের সমুদ্রের উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে যে, আমাদের জীবনও যেন সময়ের এক নৌকা, যা সমুদ্রের মতো উত্তাল কিংবা শান্ত হতে পারে, কিন্তু কখনোই থেমে থাকে না। সময়ের স্রোতে আমরা ক্ষণস্থায়ী, এবং জীবনের প্রতিটি মুহূর্তেই সময় আমাদের থেকে কিছু না কিছু নিয়ে চলে যায়। তবে, সময় আমাদের অনেক কিছু শেখায়—এটাই জীবন। আমরা আমাদের কর্ম, অনুভূতি ও স্মৃতি সময়ের মধ্যে বয়ে নিয়ে চলি, কিন্তু সময় কখনো আমাদেরকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে দেয় না।
শেষে কবিতায় বলা হয়েছে, সময় অতীতের মতো ভবিষ্যতকেও নিয়ে আসে, কিন্তু আমাদের স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা থেকে তা কখনোই চলে যায় না। সময়ের স্রোতে আমাদের জীবনের ধারা এক নতুন রূপে প্রকাশ পায় এবং সময়ের সমুদ্র আমাদের অস্তিত্বের গতি ও গোপন গভীরতাকে তুলে ধরে।
সময়, এক অমোঘ স্রোত,
যে স্রোত কখনো থামে না।
পৃথিবীর প্রতিটি মুহূর্তে,
জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে,
সময় একে একে চলে চলে যায়।
কখনো বা শান্ত, কখনো বা অশান্ত,
সময়ের এই সমুদ্র যেন -
এক মহাসাগর, যেখানে তরঙ্গের মতো
প্রতিটি দিন ভেসে চলে যায়।
জন্মের মুহূর্ত থেকে, মৃত্যু পর্যন্ত, আমরা
সবাই সময়ের এক ক্ষুদ্র তরী।
ছোট ছোট রুকির মতো দিনগুলো
আমাদের চোখের সামনে দিয়ে চলে যায়,
এবং আমরা শুধু তাদের দিকে তাকিয়ে থাকি,
কখনো আনন্দিত, কখনো বেদনার্ত।
মাঝে মাঝে সময় আমাদের হাতের মধ্যে
ঘরবন্দি হয়ে থাকে, আবার কখনো তা
আমাদের হাত থেকে ফসকে বেরিয়ে যায়,
যেমন ঢেউয়ের মতো।
সময়ের সমুদ্রের গভীরে ডুবে যাওয়া,
এক আজীবন সাধনা।
যেই মুহূর্তে আমরা ভাবি,
সময় আমাদের নিয়ন্ত্রণে,
সে সময়েই তা আমাদের
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।
আমরা কত কিছুই না করতে চাই,
কিন্তু সময় কখনোই আমাদের
অপেক্ষা করে না।
আমাদের শখ, আশা, স্বপ্ন—
সবই সময়ের পাথরের
নিচে চাপা পড়ে থাকে।
তবে, সময়ের স্রোত আমাদের শেখায়,
‘এটাই জীবন।’ সময়ের মধ্যে হারিয়ে গিয়েই
আমরা খুঁজে পাই আমাদের
অস্তিত্বের আসল মানে।
অতীতের মতো ভবিষ্যতও আসে,
চলে যায়—যতটা আমাদের জন্য তা প্রয়োজন, ততটুকুই। আমাদের কর্ম এবং অনুভূতির
ধারা সময়ের সঙ্গে বয়ে চলে,
আর তাতে তৈরী হয় এক বিশাল সমুদ্র,
যার কোনো প্রান্ত নেই।
সময় চলে যায়, কিন্তু আমাদের স্মৃতি
থেকে কখনোই তা মুছে যায় না।
স্মৃতি, যে একান্ত নিজস্ব কিছু,
তা সময়ের সমুদ্রে ভাসমান এক নৌকা,
যা মাঝে মাঝে আবার বেদনার তরঙ্গে ডুবে যায়। আবার, কখনো কখনো সে নৌকা যেন
হালকা হাওয়ায় ভেসে চলে যায়,
এক নতুন সূর্যের দিকে।
এটাই সময়ের সমুদ্র,
যা এক দিকে হারিয়ে যায়,
অন্য দিকে ফিরে আসে।
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: ক্রিয়েটিভ রাইটিং
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......