"অনন্ত ভালোবাসা" শিরোনামে একটি গদ্য কবিতা ||~
4 comments
স্বরচিত কবিতা
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন,এটাই প্রত্যাশা করি।
কবিতাটির মূলভাব
"অনন্ত ভালোবাসা" গদ্য কবিতার মূলভাব হলো, ভালোবাসা একটি অবিনশ্বর এবং অমিত শক্তি, যা কোনো সীমা বা বাধার মধ্যে বন্দি হয় না। এটি সময়ের বাইরেও অস্তিত্বশীল, অসীম ও চিরন্তন। ভালোবাসা এমন এক অনুভূতি, যা জীবনের সব পর্যায়ে আমাদের সঙ্গী হয়, কখনো এক মুহূর্তের জন্যও হারায় না। এটি কোনো শর্ত বা প্রতিশ্রুতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং একটি গভীর অভ্যন্তরীণ শক্তি, যা আমাদের শক্তি দেয়, সাহস দেয়, আমাদের জীবনকে আলোকিত করে।
ভালোবাসার প্রকৃতি এমন যে, এটি কখনো শেষ হয় না, কখনো ফুরিয়ে যায় না। এটি চলতে থাকে, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুন রূপে, নতুন আঙ্গিকে। যখন আমরা কষ্টে আছি, যখন পথ হারাচ্ছি, তখনই ভালোবাসা আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়, এবং জানিয়ে দেয়—আমরা একা নই। ভালোবাসা কখনোই অদৃশ্য হয়ে যায় না, বরং তা আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে, এবং আমাদের যাত্রায় আলোর পথ দেখায়।
এই ভালোবাসা কোনও এক দিনের বিষয় নয়, এটি চিরকাল থাকে, এমন এক আগুনের মতো, যা কখনো নিভে না। ভালোবাসার শক্তি আমাদের জীবনের সমস্ত সংকট, দ্বন্দ্ব ও অন্ধকারকে জয় করার অনুপ্রেরণা দেয়। প্রকৃত ভালোবাসা কখনো হারায় না, এটি সময়ের অমোঘ নিয়মের বাইরে, স্থায়ী ও অবিনশ্বর।
যা কোনো সীমার মধ্যে বন্দি হয় না।
এটি বিস্তৃত হয় আকাশের মতো,
অমিত অশ্রু নদীর মতো,
যে নদী কখনো শুকায় না,
কখনো মরে না।
অনন্ত ভালোবাসা মানে এমন এক সম্পর্ক,
যেখানে কোনও বাধা নেই,
কোথাও কোনো শেষ নেই।
জীবনের চলার পথে আমরা নানা
অভিজ্ঞতার মাঝে ভালোবাসার স্বাদ পাই,
কিন্তু কিছু ভালোবাসা থাকে,
যা সময়ের সাথে আরও গভীর হয়,
আরও প্রকট হয়, যেন কোনো চিরন্তন
শক্তি, যা হারাতে পারে না।
প্রতিটি মুহূর্তে সেই ভালোবাসা
আমাদের সঙ্গেই থাকে,
অনুধাবন করার বা শব্দের মাধ্যমে
প্রকাশ করার চেষ্টা করি,
তবু তা অবর্ণনীয় থেকে যায়।
এই ভালোবাসা কোনো এক দৃষ্টির মাঝে
সীমাবদ্ধ নয়, এটি আকাশের নীলতার মতো,
অসীম, অবর্ণনীয়।
যে ভালোবাসা দিয়ে আমরা একে
অপরকে শক্তি দিই, যে ভালোবাসা
কাঁধে হাত রেখে জানায়—"তুমি একা নও।"
এটি কোনো প্রতিশ্রুতি নয়,
কোনো শর্ত নয়, এটি এমন একটি অনুভূতি
যা আমাদের অস্তিত্বের অঙ্গ হয়ে ওঠে।
অনন্ত ভালোবাসা কোনও এক
ক্ষণিকের ব্যাপার নয়, এটি চলতে থাকে
জীবনের নানা রঙে, নানা রূপে।
যখনই তুমি কষ্টে আছো,
যখনই অন্ধকারে পথ হারাচ্ছো,
ঠিক তখনই সেই ভালোবাসা
তোমার পাশে এসে দাঁড়ায়,
হাতে হাত রেখে তোমার
জীবনের আলো হয়ে ওঠে।
ভালোবাসা কোনো একদিন শেষ হয় না।
এটি অদৃশ্যভাবে আমাদের মধ্যে প্রবাহিত হয়,
হৃদয়ের গহীনে গভীরতা খুঁজে পায়,
এবং একদিন, আমরা বুঝতে পারি—প্রকৃত ভালোবাসা কখনোই হারায় না,
কখনোই শেষ হয় না, এটি চিরকাল
এক আগুনের মতো জ্বলে যায়,
এমন এক আগুন যা অন্ধকারকেও
আলোকিত করে।
অনন্ত ভালোবাসা, তাই কখনো
সীমার মধ্যে বাঁধা পড়ে না,
এটি সময়ের চেয়েও বড়,
এটা সেই অবিনশ্বর শক্তি যা আমাদের
জীবনের সকল সংকটকে
জয় করার সাহস দেয়।
বন্ধুরা আমার আজকের কবিতটি, নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো সুন্দর সুন্দর কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব, আমি সেলিনা সাথী...
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: ক্রিয়েটিভ রাইটিং
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Comments