স্বরচিত কবিতার "স্বপ্ন চোখে"||~~
9 comments
স্বরচিত কবিতা
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন,এটাই প্রত্যাশা করি।
কবিতাটির মূলভাব
"স্বপ্ন চোখে" কবিতা যা জীবনের অদম্য আশা, সংগ্রাম, এবং স্বপ্নপূরণের যাত্রাকে চিত্রিত করে। কবিতার মাধ্যমে কবি পাঠককে এক ধরনের অনুপ্রেরণা ও দৃঢ় বিশ্বাস প্রদান করতে চেয়েছেন। এখানে "স্বপ্ন" একটি প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, যা জীবনের চলার পথে মানবতাকে প্রেরণা দেয় এবং এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
কবিতার পিছনে যে ভাবনা থাকতে পারে তা হলো, জীবনে কখনোই সবকিছু সহজভাবে পাওয়া যায় না। মানুষের পথচলায় নানা ধরনের বাধা, দুঃখ, কষ্ট, এবং অনিশ্চয়তা আসতে পারে। তবে এসবের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার জন্য স্বপ্নই মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি এবং প্রেরণা হয়ে ওঠে। স্বপ্নই তাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে, এমনকি যখন পরিস্থিতি কঠিন বা দৃষ্টিগোচর মনে হয় না, তখনও স্বপ্নের আলো পথপ্রদর্শক হয়।
স্বপ্নকে একটি অবিচলিত বিশ্বাস হিসেবে দেখা হয়েছে, যে বিশ্বাস মানব জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তি। কবি চেয়েছেন পাঠকদের মনে করিয়ে দিতে, যে কেবল একান্ত ইচ্ছাশক্তি, সাহস, এবং প্রচেষ্টা দিয়েই জীবনের মানে, লক্ষ্য, এবং উদ্দেশ্য অর্জন করা সম্ভব। এই কবিতার মাধ্যমে কবি আমাদের জানান, যে সত্যিকার সাফল্য, সুখ এবং শান্তি শুধুমাত্র সঠিক লক্ষ্য এবং স্বপ্নের প্রতি অবিচল বিশ্বাস থেকে আসে।
একটি ব্যক্তিগত ও অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ যাত্রার মত, "স্বপ্ন চোখে" কবিতাটি জীবনকে একধরনের অনন্ত যাত্রা হিসেবে চিত্রিত করে, যেখানে পথ কখনোই শেষ হয় না, বরং প্রতিনিয়ত নতুন নতুন দরজা খুলে যায়, যা জীবনের আরও গভীর অর্থ আবিষ্কার করার সুযোগ দেয়।
কবিতা -"স্বপ্ন চোখে"
স্বপ্ন চোখে, জীবনের চলার পথে
এক অদৃশ্য আলো।
প্রতিটি পা যেন এক নতুন আশা,
প্রতিটি নিশ্বাস যেন এক নতুন সম্ভাবনা।
ঘুমন্ত চোখে যখন পৃথিবী
অন্ধকারে ডুবতে থাকে,
তখনই যে স্বপ্নগুলো আলোর মতো
উঁকি দেয়, সে-ই তো আমাদের
বাঁচার অদম্য অনুপ্রেরণা।
আমাদের জীবনে আসা প্রতিটি দুঃখ,
প্রতিটি যন্ত্রণা, একদিন চলে যাবে,
কিন্তু স্বপ্নের আলো কোনোদিন ম্লান হবে না।
স্বপ্ন চোখে, আমরা দেখি না শুধু
একদিনের সুখ, আমরা দেখি পুরো
জীবনের সম্ভাবনা, যেখানে একে একে
খুলে যায় নতুন নতুন দরজা।
কখনো কখনো সেই স্বপ্নেরা
খুব দূরে থাকে, এক অস্পষ্ট অনিশ্চয়তায়।
তবে, যে মানুষটি স্বপ্নের পেছনে ছুটে যায়,
তার মনে থাকে এক অটুট বিশ্বাস—
স্বপ্ন যখন চোখে, তখন আর থামার উপায় নেই। সবকিছু মিলিয়ে একটা একমাত্র লক্ষ্য,
এক অদম্য ইচ্ছা আর অশেষ সাহস,
এই নিয়েই চলা।
এবং একদিন, সেই স্বপ্নগুলো
আমাদের হাতের মুঠোয় এসে পৌঁছবে,
আর তখন বুঝব, জীবনযাত্রার
প্রতিটি মুহূর্তের মানে।
কারণ, স্বপ্ন যখন চোখে থাকে,
তখন জীবন হয়ে ওঠে এক অনন্ত যাত্রা,
যেখানে পথ কখনো শেষ হয় না।
বন্ধুরা আমার আজকের কবিতটি, নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদের ভালোলাগাই আমার সার্থকতা ও পরম পাওয়া। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। পরবর্তীতে আবারো সুন্দর সুন্দর কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব, আমি সেলিনা সাথী...
আমি সেলিনা সাথী। ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা তার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। আমার বাবা পিতা মরহুম শহিদুল ইসলাম ও মাতা রওশনারা বেগম। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি'সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তিনি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনীত হয়েছি।
বিষয়: ক্রিয়েটিভ রাইটিং
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Comments