আমাকে গিফট করেছিল। আর এই উপহারটি বসুন্ধরা সিটি থেকে কিনে শিপুর হাতে পাঠিয়ে দিয়েছিল। আর আমি সিয়ামের হাতে ঘড়িটি পড়বো বলে এতদিন ধরে ঘড়িটি পড়ি নাই। ঈদের পরদিন সিয়াম সেই ঘড়িটা আমাকে পরিয়ে দিচ্ছে। তখন আমি অনেকটাই আবেগে আপ্লুত। সন্তানের দেয়া উপহার সন্তান যখন নিজ হাতে পড়িয়ে দেয়,, তখন সেটা আরও মহিমান্বিত হয়ে ওঠে। এই চমৎকার অনুভূতি শুধুমাত্র তারাই বুঝতে পারবেন যাদের সন্তানরা তাদেরকে গিফট করেছেন।
ও যখন ঘড়ির প্যাকেটটি থেকে ঘড়িটি বের করে আমাকে পরিয়ে দিচ্ছিল তখন মনে হচ্ছিল ঠিক আমার বাবা আমার হাতে ঘড়ি পরিয়ে দিচ্ছে। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার বাবা ঈদ আসলে বারবার জিজ্ঞেস করত মা তোর কি কি লাগবে বল। আমি তখন বাবার কাছে খুব শান্ত অবস্থায় থাকতাম।
বলতাম বাবা আমার তেমন কিছুই লাগবে না। আগে তোমার জন্য নিয়ে নাও সাদা পায়জামা এবং পাঞ্জাবি।
সাদা পায়জামা পাঞ্জাবিতে আমার বাবাকে খুব সুন্দর লাগতো। সিয়াম শিপুকে দেখলে মাঝে মাঝেই আমার বাবার কথা মনে পড়ে যায়। সিয়াম অনেকটা আমার বাবার মতই।
বন্ধুরা ছবিটি একটু ভালো করে লক্ষ্য করে দেখুন। কত যত্ন সহকারে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এই ছবিতে। এই ছবিগুলো যুগের পর যুগ স্মৃতিচারণ করবে। বিশেষ বিশেষ ক্ষণে, বিশেষ বিশেষ দিনে। প্রত্যেকটি মা ও সন্তানের এরকম বন্ধুত্ব সুলভ সম্পর্ক তৈরি হোক এটাই প্রত্যাশা করি। আমার বিশ্বাস এই ছবিটি দেখে অনেকের মন ভরে গেছে। একদম ঠিক ধরেছেন। আমারও মনটা ভরে গিয়েছিল ঠিক সে সময়।
এবার দেখুন আমার হাতে ঘড়িটি কেমন লাগছে। গতকাল সারাদিন রাত অনেক প্যারার মধ্যে থাকলেও অনেক আনন্দে ছিলাম। কারণ সন্তানের দিয়া উপহার তখন আমার শরীরে স্পর্শ করছিল। আর তাই আজকের ছবিগুলো একটি ছবি দুবার করে পোস্ট করলাম।
ভাবছেন এদের সময় আবার প্যারা কিসের। ঈদের পরদিন আমাদের দু বাড়িতে দাওয়াত ছিল। কোন বাড়িতে যাব আর কোন বাড়িতে যাব না সেটা নিয়ে একটা প্যারা ছিল।
আমার বড় বোনের মেয়ে তিথি তার সিজার হয়েছে গতকাল রাতে। আর তাই গতকাল বিকেল থেকে ওকে নিয়ে ক্লিনিকে দৌড়াদৌড়ি করছি।
এরপর আমাদের পাশের বাড়ির এক ভাইয়া গতকাল হঠাৎ করে মারা যান। সুস্থ সুন্দর তরতাজা একটি যুবক যখন চোখের সামনে হঠাৎ করে ইন্তেকাল করে তখন মনের অবস্থাটা কেমন হয় সেটা একবার বুঝে নিয়েন।
যাইহোক সব মিলিয়ে, হ য ব র কেটেছিল কাল। তারপরেও হ্যাংআউট উপস্থিত থাকতে পেরে অনেকটা ভালো লেগেছিল।
দোয়া করি আমার সিয়াম শিপুর মত সন্তান যেন ঘরে ঘরে হয়। সকলেই দোয়া করবেন আমাদের পরিবারের জন্য। আর আপনাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা। ভালো থাকবেন শুভকামনা সব সময়।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়:
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......