প্রকৃতির কিছু ফটোগ্রাফি||~~
20 comments
প্রকৃতির কিছু ফটোগ্রাফি||~~
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আর আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা আজ আবারও আপনাদের জন্য বাংলার অপরূপ সুন্দর যে সজ্জিত প্রকৃতির কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হলাম। প্রচন্ড এই গরমে এবং এই গরমের অস্থিরতায়,মানুষ কি করবে ভেবে পাচ্ছে না প্রায় দিশেহারা হয়ে উঠেছে। অনেকেই তো এই গরম সহ্য করতে না পেরে হিট স্ট্রোকে মারা যাচ্ছে। তবে যারা গ্রামে বসবাস করছে তারা নদীর ধারে গাছের তলে কিংবা বাস ঝড়ের তলে বসে কিছুটা প্রশান্তি নিচ্ছে। অনেকে পুকুরের পানি এবং নদীর পানিতেও সাত রাতে দেখা যাচ্ছে। তবে পুকুর কিংবা নদীর পানি গুলো কিন্তু প্রচণ্ড রকমের গরম
যাইহোক গতকাল প্রকৃতির কাছাকাছি ঘুরে এসেছি।এবং আকাশ হালকা মেঘলা থাকায় আর ঠান্ডা হিমেল বাতাসে মনটা ফুরফুরে হয়ে উঠেছিল।আর তাইতো ফোন ক্যামেরা বের করে কয়েকটি ছবি ক্লিক করে নেই। একে একে সেগুলো এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
গতকাল শহর থেকে একটু দূরে গ্রামের দিকে গিয়েছিলাম। রাস্তার পাশেই এই সবুজ সুন্দর নির্মল ধান ক্ষেতটির ক্যামেরা বন্দী করে ফেলি আমার মুঠোফোনে। ইচ্ছে করে সবুজে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাই। সুন্দর এই পরিবেশগুলো বারবার মন টানে।
আমাদের এদিকে প্রায় প্রতিটি গ্রামের রাস্তায় অনেক সুন্দর। কিছু কিছু রাস্তা হচ্ছে পিচ ঢালা পথ আবার কিছু কিছু হচ্ছে মাটির রাস্তা। রাস্তাগুলো ভালো হওয়ার জন্য চলাচলের জন্য দারুন উপভোগ্য।
তাইতো আমাদের এলাকার গ্রামের এই রাস্তার ফটোগ্রাফিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম।
সবুজ ক্ষেতগুলোর আশেপাশেই ছিল সুন্দর একটি ক্যানেল। চ্যানেলের পানি গুলো কেমন যেন শান্ত হয়ে গেছে। এবং পানিগুলোর রং অনেকটা পুড়া রঙের মতো। ঠিক মাটি পোড়ালে যেরকম একটি কালার হয়। এই তীব্র রোদের কারণে পানির কালার টাও মনে হয় জ্বলে গিয়েছে। আমি তো দেখে জাস্ট অবাক হয়ে গেলাম। আর এই চিত্রটি আপনাদেরকে দেখানোর জন্যই আমার এই ফটোগ্রাফিটি করা।
পথের ধারে এরকম সারি সারি গাছ এবং কিছু জমিতে ধানের চারা রোপন করা হয়েছে এবং বাকি অনেকগুলো জমি এখনো খনন করা হচ্ছে অন্য কোন ফসল ফলানোর জন্য। হয়তো নতুন কোন ফসলের জন্য প্রস্তুত করে নিচ্ছে জমি গুলো
বন্ধুরা বলুন তো এটা কিসের ফুল-?হ্যাঁ একদম ঠিক ধরেছেন আমাদের এদিকে এটাকে কচুরিপানা ফুল বলে। কচুরিপানা এই ফুলগুলো দেখতে অসাধারণ হয়ে থাকে। ছোটবেলায় পুকুর থেকে তুলে তুলে অনেক খেলা করেছিলাম। আর শৈশবে সেই স্মৃতিগুলো আবার মনে করিয়ে দেয় যখন এই ফুলগুলো চোখের সামনে ভাসে। কোন যত্ন ছাড়াই এই ফুলগুলো কত চমৎকার ভাবে ফোটে। এবং মানুষের দৃষ্টি নন্দিত করে।
খুবই চমৎকার এবং সুন্দর মনোরম পরিবেশে একটি সেলফি না তুললে অপূর্ণ থেকে যায়। আর সে কারণেই আমার এক বড় আপার কাছে আমার এই ছবিটি তুলে নিলাম। সবুজের বুকে লাল কালো সংমিশ্রণের দারুন একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আমার এই চমৎকার ফটোগ্রাফিটিতে।
লোকেশন-https://w3w.co/most.inch.impressed
ডিভাইস -OPPO-A38
তারিখ- ২৭ এপ্রিল ২০২৪
বন্ধুরা আশা করছি আমার আজকের এই প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর আপনাদেরকে একটু বিনোদন ভালো লাগার জন্যই আমার এই ক্ষুদ্র আয়োজন। সকলেই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। নিরাপদে থাকবেন। বেশি বেশি পানি পান করবেন। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত এখানেই।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
Comments