☆꧁প্রকৃতির কাছাকাছি ꧂☆
21 comments
☆꧁প্রকৃতির কাছাকাছি ꧂☆
বন্ধুরা সুন্দর, সতেজ, স্নিগ্ধ লাল গোলাপের শুভেচ্ছার পাপড়ি ছড়িয়ে দিলাম সকলের হৃদয় আঙ্গিনায়। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালোই আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন। এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা -এই প্রচন্ড তাপদাহে আমি প্রায় আট দিন ধরে আমার ঘরের মধ্যে বন্দী ছিলাম। বন্দী ছিলাম মানে-শুধুমাত্র বাড়ির কাজ গুলো করতাম আর ঘরের মধ্যেই থাকতাম। অর্থাৎ বাড়ির বাইরে যাওয়া হয়ে ওঠে নাই। তাই অনেকটা একঘেয়েমি লাগছিল। গতকাল রাতে আমাদের এলাকার সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, আমার শ্রদ্ধাভাজন বড় আপা আরিফা সুলতানা লাভলী। তিনি আমাকে ফোন দিয়ে বলেছিলেন আজকে একটু বাইরে ঘুরতে যাব। আর সেজন্যই মূলত আজকে আমরা রিকশায় করে একটু গ্রামের দিকে ঘুরতে যাই। এক কথায় কিছুটা সময় আমরা প্রকৃতির সাথে মিশে যেতে চেয়েছিলাম।
প্রকৃতির এই অপরূপ রূপ এবং সৌন্দর্য আমাদেরকে যেন মুগ্ধ করছিল। আর হ্যাঁ আজকে কিন্তু আমাদের এদিকে আকাশটা আংশিক মেঘলা ছিল এবং খুবই সুন্দর একটা হিমেল বাতাস ছিল। আর এমন একটা পরিবেশে খোলা রিক্সায় ঘুরে বেড়াতে কার না ভালো লাগে বলুন।
প্রায় অনেকদিন পর প্রকৃতির কাছাকাছি গিয়েছি। আর তাই আজকের অনুভূতিটা একটু ভিন্ন রকম। সত্যিই অনেক দিন পর আপা আর আমি প্রাণ খুলে কথা বলেছি এবং হেসেছি। চারিদিকে সবুজ ধান ক্ষেত যখন হাওয়ায় দুলছিল তখন কি যে মনোরম লাগছিল। সে এক অন্যরকম উপলব্ধি। সবুজের কাছাকাছি কিছুক্ষণ থাকতে পেরে সত্যিই অনেক ভালো লেগেছে। ধানক্ষেতের পাশেই যখন আমরা কচুরিপানা ফুল গুলো দেখেছি তখন তো অন্যরকম উচ্ছাসিত হয়েছিলাম। এবং সেই উচ্ছ্বাসে আমরা সেখানে কিছু ফটোগ্রাফি করি।। এরপর আমরা ভুট্টা ক্ষেত দেখেছিলাম। এবং অনেকগুলো ভোটটা দেখেছিলাম যেগুলো খেতে থেকে তুলে রাস্তায় শুকাতে দেয়া হয়েছিল। প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য আমি কিছুটা ভিডিওতে ধারণ করেছি। আর সেটা না হয় অন্য আরেকদিন শোনাবো।
গ্রামের এই আঁকাবাঁকা পথের দুই ধারে যখন সবুজ সেটা হাওয়ায় দোলে। তখন সীমাহীন আনন্দে নাচতে ইচ্ছে করে গাইতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে কাব্য কথায় পরিবেশ টাকে ধরে রাখি। গল্প লিখতে ইচ্ছে করে ইচ্ছে করে প্রবন্ধ লিখতে। আমার দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে নিয়ে আরো কত কি লিখতে ইচ্ছে করে।
সবুজের প্রান্তে গিয়ে আজ এত বেশি প্রাণবন্ত হয়েছিলাম, যে শরীর মন দুটোই শীতল হয়েছে। আর মনে পেয়েছি প্রশান্তি।
সব মিলিয়ে অন্যরকম একটা অনুভূতি,ছুঁয়ে যাচ্ছিল হৃদয়ে। আর হৃদয়ের কথাগুলো ব্যক্ত করছি আমার বাংলা পরিবারের সকল সদস্যদের সাথে। বন্ধুরা সময় এবং সুযোগ পেলে আপনারাও ঘুরে আসবেন সবুজের প্রান্ত ছুঁয়ে। দেখবেন প্রকৃতির কাছাকাছি গেলে কতটা প্রশান্তি পাওয়া যায়। আমাদের মন এবং মস্তিষ্ক দুটোই শান্ত হয়ে যায়। আর সে কারণে আমরা অনেক রিলাক্স হতে পারি। সকলের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রেখে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। তবে ফিরে আসবো নতুন আরেকটি ব্লগ নিয়ে আগামীতে।
প্রত্যেকেই সুস্থ থাকবেন সুন্দর থাকবেন এবং সচেতনতার পাশাপাশি সাবধানে থাকবেন। বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পান করবেন। লেবু পানি খাওয়ার সানাই এগুলো সব সময় সংগ্রহে রাখবেন। এবং অসুস্থ হয়ে পড়লে ডক্টরের সরণাপন্ন হবেন। টা টা,,,
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।
বিষয়: জেনারেল
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Comments