কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি।প্রত্যাশা করি সবাই সব সময় ভালো থাকেন,নিরাপদে থাকেন।আজ ৬ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,শীতকাল। ২১শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ। আজ একটি অরিগ্যামি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ নতুন আর একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম।প্রতি সপ্তাহে ন্যায় আজও একটি অরিগ্যামি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আজ মোবাইল স্ট্যান্ড এর অরিগ্যামি তৈরির পদ্ধতি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। যেহেতু বিভিন্ন ভাবে ভাঁজ করে অরিগ্যামি তৈরি করা হয় ,তাই ভাঁজের বর্ণনা করা বেশ কঠিন। সহজ হয় যদি ছবি দেখে বানানোর চেস্টা করা হয়। তাই আমি বেশ কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। যাতে বুঝতে সহজ হয়।আজকাল সবাই যেহেতু মোবাইল ফোন ইউজ করে তাই মোবাইল স্ট্যান্ডটিও আমরা ব্যবহার করতে পারি মোবাইল ফোন রাখতে। যদিও মোবাইল ফোন রাখতে আমরা তেমনভাবে স্ট্যান্ড ব্যবহার করি না। তবে রাখলে বেশ ভালই লাগে। আর এমন ডিজাইন করা স্ট্যান্ড থাকলেতো রাখাই যায়।মোবাইল ফোনের স্ট্যান্ড এর অরিগ্যামিটি বানাতে আমি রঙ্গিন কাগজ উপকরণ ব্যবহার করেছি সাথে সামান্য কিছু উপকরণ । তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক, মোবাইল ফোনের স্ট্যান্ড এর অরিগ্যামি তৈরির বিভিন্ন ধাপ সমূহ।
উপকরণ
১।রঙ্গিন কাগজ।
২।সাদা ও গোলাপী রং এর জেল পেন
মোবাইল স্ট্যান্ড এর অরিগ্যামি তৈরির বিভিন্ন ধাপ সমূহ
ধাপ-১
প্রথমে A4 সাইজের এক টুকরো সাদা কাগজ নিয়েছি মোবাইল ফোন স্ট্যান্ড এর অরিগ্যামি বানানোর জন্য।
ধাপ-২
কাগজটিকে লম্বাভাবে মাঝ বরাবর ভাঁজ করে নিয়েছি।
ধাপ-৩
কাগজের ভাঁজ খুলে নিয়েছি। এবং দু"দিকের কাগজ মাঝ দাগ বরাবর ভাঁজ করে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এবার কাগজটিকে আবারও মাঝ দাগ বরাবর ভাঁজ করে নিয়েছি।
ধাপ-৫
এবার ভাঁজ করা কাগজটিকে মাঝ বরাবর ভাঁজ করে নিয়েছি। যে পাশে ভাঁজ করা হয়েছে সেই পাশে ১ইঞ্চি পরিমাণ ভাঁজ করে নিয়েছি। ১ ইঞ্চিকে আবার আধা ইঞ্চি করে ভাঁজ করে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এবার আবারও ভাজঁ করা কাগজের প্রতিটি অংশ মাঝ বরাবর ভাঁজ করে নিয়েছি।
ধাপ-৭
কাগজের এক প্রান্ত অন্য প্রান্তের কাগজের ভাঁজে ঢুকিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৮
মোবাইল ফোন স্ট্যান্ড এর অরিগ্যামিটি যাতে দেখতে সুন্দর লাগে সে জন্য গোলাপী ও সাদা রং এর জেল পেন দিয়ে ডিজাইন করে নিয়েছি। আর এভাবেই তৈরি করে নিলাম মোবাইল ফোন স্ট্যান্ড এর অরিগ্যামিটি।
উপস্থাপনা
আশাকরি আমার আজকের বানানো মোবাইল ফোন স্ট্যান্ড এর অরিগ্যামি আপনাদের ভালো লেগেছে।আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। নিরাপদে থাকুন।শুভরাত্রি।
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।