New to Nutbox?

SBD recovery case #1 : beneficiary rme [round 26]

9 comments

sbd-recovery
73
8 months agoSteemit3 min read

This post is made for recovering lost SBD : 1470

Recovered so far : 787.004 SBD


গল্প (রক্ত তৃষা) - পর্ব ২৫


vampire-2115396_1280.jpg
Copyright Free Image Source : PixaBay


হারু সেই থেকে আর ভূপতিবাবুর কাছছাড়া হলো না । সর্বক্ষণ তাঁর সাথে সাথেই ঘুরতে লাগলো । পুজোর সময় আর মাত্র কিছুক্ষণ পরেই । তাই তদারকির কাজ এখন তুঙ্গে । একদিকে ভূপতিবাবু, আরেকদিকে করালীবাবু, দুই জমিদার এখন পুজোর আয়োজনের তদারকির কাজে খুবই ব্যস্ত । পুজো একবার শুরু হয়ে গেলে তো আর সময় পাবেন না । আর কালীপুজো হলো শক্তিসাধনা, একবার পুজোয় সামান্য ত্রুটি হলেই অমঙ্গল হওয়ার আশঙ্কা ।

কিন্তু, ভূপতিবাবু যে জিনিসটা লক্ষ্য করেননি, হারু কিন্তু সেই ব্যাপারটা খুব বা ভালোভাবেই লক্ষ্য করেছে । সে নীচুস্বরে ভূপতিবাবুকে বললো, "বাবু, আমি তো এয়েচি অনেক্ষণ হলো, কিন্তু সারা পুজোর জায়গা চষে বেড়িয়েও কোত্থাও তো বটুকবাবুর দেখা পেলুম না । এত বড় পুজোর আয়োজন ! অথচ, বটুকবাবুই নেই । তিনি হলেন করালীবাবুর খাস লোক, তিনি ভিন্ন আজকের পুজোর আয়োজন শেষ হয়ে গেলো, আশ্চায্যি লাগচে, নয় বাবু ?"

কথাটা শুনে সত্যিই কিন্তু আশ্চর্য লাগলো ভূপতিবাবুর । সত্যিই তো, বটুকেশ্বরকে তো আসার পরে একটিবারের জন্যও কোথাও দেখতে পাননি তিনি। এত বড় পুজোতে সে নেই ? এ কেমন কথা ? এমনকি করালীবাবুও একটিবারের জন্য বটুকের নাম উচ্চারণ করেননি । অনতিদূরে করালীবাবু চাকরদের কলাপাতা গুলো কেটে ধুয়ে প্রস্তুত করে রাখতে বলছেন । অন্নভোজের সময় কলাপাতা লাগবে । হাজারে হাজারে কলাপাতা কেটে একটা জায়গায় ডাই করে রাখা রয়েছে ।

ভূপতিবাবু সেদিকে এগিয়ে গেলেন । কাছাকাছি গিয়ে মৃদু একটু গলা খাঁকারি দিয়ে বললেন, "ইয়ে করালী, ভাই তোমায় একটা কথা জিজ্ঞেস করতুম, বটুক কোথায় ? তাকে যে আজ একটিবারের জন্যও দেখতে পেলুম না ? সে কি আজ পুজোতে থাকবে না ?"

করালীবাবু প্রথমটা একটু থতমত খেলেন, তারপরে নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন, "না দাদা, বটুকের সান্নিপাতিকের জ্বর । কাল দুপুর থেকেই । কোবরেজ মশাই ওষুধ দিয়েছেন । সেরে উঠতে তা প্রায় ৬-৭ দিন তো লেগে যাবেই ।"

ভূপতিবাবু প্রত্যুত্তরে বললেন, "ও আচ্ছা ! তাই বোলো, আমিও সেটাই ভাবছিলুম যে বটুকের নিশ্চয়ই কিছু হয়েছে । তা না হলে আজকের এমন একটা দিনে তাকে কোথাও দেখতে পাচ্ছি না কেন !"

এর কিছুক্ষণ পরেই পুজো শুরু হয়ে গেলো । মন্দিরের দাওয়ায় ফরাস পেতে পুণ্যলোভাতুর জমিদারবাড়ির মেয়ের দল বসে গেলো জোড়হস্তে । সেবায়েতরা মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রধান পুরোহিতের সাথে, পুজো শুরু হলো । ঠাকুরমশাই বিশুদ্ধ সংস্কৃত মন্ত্রোচ্চারণে পুজো শুরু করলেন । জমিদারবাবুরা ও গ্রামের বিশিষ্ঠ মানুষেরা মন্দিরের চাতালে আর তাঁদের পেছনে গাঁয়ের মানুষ । সবাই চুপ করে বসে পুজোয় অংশগ্রহণ করলেন ।

আর ওদিকে ভূপতিবাবুর প্রাসাদে কমলাদেবী রাতের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন । গরদের শাড়ি পরে গায়ে একটা চাদর চাপালেন । আজকে সন্ধ্যে থেকেই থেকে থেকে ঝোড়ো বাতাস বইছে আর সেই সাথে মাঝে মাঝে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও পড়ছে । বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা বাইরেটা ।

[চলবে]

Comments

Sort byBest