ক্রিয়েটিভ রাইটিং ||| ছেলেদের ক্লাস পার্টি |||| original writing by @saymaakter.
2 comments
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই-বোনেরা আশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থ ও সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে একটি ব্যতিক্রম পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।স্কুল লাইফটা আসলেই অনেক আনন্দের। স্কুল জীবন আমরা সবাই পার করে এসেছি কিন্তু স্মৃতিগুলো মনে হলে এখন অনেক ভালো লাগে। কত না স্মৃতি জড়িয়ে আছে সেই স্কুল লাইফের জীবনে।
একটি সময় আমরা যখন স্কুলে পড়তাম তখন বন্ধু-বান্ধব শিক্ষক শিক্ষিকা তাদের সঙ্গে নানান ঘটনা ঘটে যেত আর সেসব কোন কিছু মনেই হতো না সেই সময়। কিন্তু আজ যখন এই স্কুল লাইফ কলেজ ভার্সিটি পার করে একটি পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছি তখন মনে হয় সেই সময় ও ঐ ঘটনাগুলো আমাদের জীবনে মধুর স্মৃতি হয়ে থাকবে।
বাচ্চারা ইদানিং ফোনে ল্যাপটপে প্রচন্ড আসক্ত হচ্ছে। আর এই আসক্ত বা তাদের ফোনের নেশা কমানোর জন্য অনেক অভিভাবক ছোট বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করছে। অন্তত সেই আনন্দটুকু স্কুলের শিক্ষক ও বন্ধুবান্ধব থেকে পাক।আমিও আমার ছোট্ট আরাফকে স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছি সেজন্যই। কিন্তু স্কুলে প্রচন্ড পড়ার চাপ তাল মিলিয়ে চলা যদিও অনেক কঠিন তারপরও বেশ ভালোই পারছে।কিছু কিছু বাচ্চা পড়ার চাপে ভয় পেয়ে স্কুলে আসতে চাচ্ছে না। আবার কিছু বাচ্চা শিক্ষককে ভয় পাচ্ছে।
প্রথম প্রথম অনেক বাচ্চা আগ্রহ হারিয়ে ফেলল এবং স্কুলে আসতে চাইল না। তারপর শিক্ষকরা যখন বাচ্চাদের চকলেট ও প্রতিদিন ফুল দেওয়া শুরু করল তখন আস্তে আস্তে বাচ্চারাও স্কুলের আসার জন্য আগ্রহ বোধ করল।তারপর স্যার ম্যাডাম তাদের সিডিউল অনুপাতে পড়ালেখা শুরু করে দিল।সপ্তাহে দুদিন করে পরীক্ষা আর প্রচুর পড়া। তখন আমরা অভিভাবকরা স্যারদেরকে বললাম ওদের একটু বিনোদনের দরকার আছে স্যার। তারপর সব স্যারও একটি সিদ্ধান্ত নিল ক্লাস পার্টি জন্য। আর সেই পার্টিতে সবাই এটেন্ড করবে। রীতিমতো সেই পার্টিতে সবাই জয়েন করে আনন্দ পেয়েছিল বাচ্চারা। যেমন নাচ গান কবিতা আবৃত্তি, ও বিশাল কেক কাটার আয়োজন।
সবচেয়ে বড় কথা বাচ্চারা এমনিতেই কেকের প্রতি দুর্বল যখন এত বড় একটি কেক দেখল তখন তারা আরো আনন্দে মেতে উঠলো। সেই ক্লাস পার্টিতে তার ম্যাডাম ও স্কুলের সকল বাচ্চারা অনেক আনন্দ করেছিল যা দেখে খুব ভালো লাগছিল। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি প্রোগ্রাম এতটা সুন্দর ছিল।প্রতিটি অভিভাবক মুগ্ধ হয়ে গেছে।
সত্যিই লেখাপড়ার পাশাপাশি একটু বিনোদনেরও দরকার আছে এতে করে বাচ্চাদের মন ভালো থাকে। স্কুলে আসা যাওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ে। শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক বাচ্চা শিক্ষককে ভয় পায়।কিন্তু এই ধরনের অনুষ্ঠানের ফলে শিক্ষক ও বাচ্চাদের মধ্যে মধুর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমার ছেলেরা ও আমি সেই ক্লাস পার্টিতে ছিলাম অনেক আনন্দ করেছিল ওরা। আর আরাফ এক কথায় এতটা নেচেছে সেই পার্টিতে পরের দিন বাসায় এসে বলেছে আম্মু আমার পা ব্যথা করছে। কিন্তু ব্যথাটা অনুভব করছে না শুধু বলছে অনেক ভালো লেগেছে ক্লাস পার্টিতে।
আমার টিচাররা আমাকে অনেক নাচতে বলেছে তাই নেচেছি। তবে স্কুলে ক্লাস পার্টি হলে বাচ্চাদের একঘেয়েমি দূর হয়। শিক্ষক, ছাত্র ও অভিভাবকের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। পড়ালেখায় ও ব্যাঘাত ঘটে না নেক্সট দিনগুলো তাদের ভালোভাবে কাটে।শুধু বাচ্চা না প্রতিটি মানুষের একটু বিনোদনের দরকার আছে। প্রতিটি মানুষেরই মন আছে আর সেই মনে কষ্টটাকে প্রাধান্য না দিয়ে আনন্দে থেকে মনটাকে ভালো রাখতে হয়। তাহলে সব কাজ যেমন ভালোভাবে হয় ও শারীরিক।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
Comments