আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার<বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে । আজকে আমি আপনাদের সাথে প্রথম বার মাকে উপহার দেওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।
মা হলেন এমন একজন, যিনি অন্য সবার স্থান নিতে পারেন কিন্তু যার স্থান অন্য কেউ নিতে পারে না। একজন বাবা তার সন্তানের জন্য সর্বদা যত্নশীল, কিন্তু একজন মা তার সন্তানের প্রতি সর্বদা প্রেমময়। একজন মায়ের বাহু কোমলতা দিয়ে তৈরি এবং শিশুরা তার মধ্যে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে। মা আমার প্রথম বন্ধু, সেরা বন্ধু, চিরকালের বন্ধু।😍🥰
আমার জীবনের সবথেকে ভালো যদি কোন মুহূর্ত থাকে সেটি হল আমি আমার মাকে সোনার দুল বানিয়ে দিলাম। আসলে আমাদের মায়েরা ছোটবেলা থেকেই আমাদের জন্য অনেক কষ্ট করে ।আমাদের লালন পালন করেছে তাদের ছোট ছোট ইচ্ছা শখ আমাদের দিয়েই পুরন করে ।সেটি আমরা সকলেই জানি মা বাবারা সন্তানদের জন্য নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে সন্তানকে খুশি করার চেষ্টা করে । সেরকম আমাদের ও দায়িত্ব তাদের খুশি রাখার। আমার যবে থেকে জ্ঞান বুদ্ধি হয়েছে তখন থেকেই চিন্তা ভাবনা অন্যান্য রকম হয়ে যায়।কেউ কিছু একবার আবদার করলে তাকে সামর্থ্য মতো দেওয়ার চেষ্টা করি ।প্রচুর পরিমাণে শখ ছিল যে আমি আমার মা কে সোনার জিনিস বানিয়ে দিব নিজের ইনকাম এ এবং আমি নিজেও বানাবো কিন্তু প্রথমে এই সামর্থ্য আমার ছিল না।
তবে মহামারী করোনার সময়ে আমি সিলাই এর কাজ শখে বসে শিখি । আমার আম্মু সিলাই কাজ জানে এবং আমাদের বাসায় সেলাই মেশিন ও আছে ।তাই আমার সেই সময় আগ্রহ অনেক ছিলো । সিলাই শিখে অনেক ইচ্ছা পূরণ করেছি। নিজের জন্য একটি মোবাইল ফোন নিজের কানে দুল ও বানিয়েছি ২ থেকে ৩ বছর আগে। মাঝে পড়াশুনা চাপে কাজ করা হয়ে উঠেনি । কিন্তু পরবর্তীতে মহান আল্লাহ অশেষ রহমতে এইচএসসি পরীক্ষা পাস করে আবার ও কাজ যুক্ত হই।সাথে স্টিমিট প্লাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ কমিটিতে সঙ্গে যুক্ত হই ।গত এক বছরে আমি কাজ করে কিছু টাকা সঞ্চয় করি। কিছু দিন আগে হঠাৎ একদিন আম্মুকে বলেছিলাম যে চলেন বাজারে যাব । আম্মু আমাকে বলছিল কেন ? আমি বলছিলাম যে দরকার আছে পরবর্তীতে আমি আম্মুকে নিয়ে বাজারের যাই । বাজারে গিয়ে আম্মুকে বলেছিলাম যে আমি আপনাকে সোনার দুল বানিয়ে দিব ।
সেই মুহূর্তে আম্মু শুধু আমার দিকে তাকিয়ে ছিল । সেই মুহূর্ত যে অনুভূতি সেটি লিখে প্রকাশ করতে পারবো না আমার জীবনের সবথেকে ভালো মুহূর্তের মধ্যে এটি অন্যতম । আম্মু ভেবেছিলো আমার জন্য কিছু কিনবো কিন্তু না আম্মু জন্য তাই আম্মু অবাক হয়ে যায়।তার পর আমরা দোকানদারকে দুলের ডিজাইন বের করতে বলি ।তারপর যে দুলের ফোটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন এই ডিজাইনটি আম্মু আর আমি পছন্দ করি ।দুলে সোনা লাগবে ৪ আনা দুই রতি আমি আডার দিয়ে টাকা জমা দিয়ে দেয়।তারপর আমাদের কবে দুল গুলো দিবে দোকানদার আমাদের একটি দোকানের ম্যামোতে সাত দিনের সময় নিয়ে একটি কাগজ করে দেয় । তার পর আমরা সেখানে থেকে বাসায় চলে আসি ।
তারপর সাত দিন পর আম্মু আর আমি দুল গুলো নিতে চলে যায় বিকেল বেলায়।দুল গুলো হাতে পেয়ে আমি তো মহা খুশি নিজের ইনকাম টাকা দিয়ে আম্মু কিছু দিতে পারতেছি । আমার থেকে আম্মু অনেক বেশি খুশি হয়েছেন সেটা আম্মু দিকে তাকালে বুঝা যাচ্ছে। বাসায় আছে আগে আমার কানে দুল গুলো খুলে আমি ট্রাই করে দেখলাম নতুন দুল গুলো কেমন লাগছে । আমার ছোট বেলা থেকেই অভ্যাস আম্মু জন্য কিছু নিয়ে আসলে আমি কয়েক মিনিটের জন্য ট্রাই করি ।
কিছুক্ষণ পর আম্মু কানে দুল গুলো পরিয়ে দেই । আম্মু তো অনেক খুশি ,আম্মু সবাই কে বলে যে আমার মেয়ে নিজে ইনকাম করে আমাকে সোনার জিনিস বানিয়ে দিছে।সেইদিন মনে হয় আমার থেকে বেশি খুশি পৃথিবীতে কেউ ছিল না । আমার অনুভূতি প্রকাশ করার মতো না ।আসলেই আম্মুর মত কেউ হয় না।।অনেক ভালোবাসি আম্মু ❤️❤️
এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।
Device | Infinix hot 12 play |
---|---|
Camera | 13 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness