জেনারেল রাইটিংঃ কয়েক ফোঁটা বৃষ্টির পানিতে শরীরের অসুস্থতা।
19 comments
আসসালামু আলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে আপনাদের দোয়ায়। সৃষ্টিকর্তা যখন যেভাবে রাখেন তখন আমাদেরকে শুকরিয়া আদায় করতে হয়। কারণ সুস্থতা যেমন সৃষ্টিকর্তার নিয়ামত তেমনি অসুস্থতা ও সৃষ্টিকর্তার নিয়ামত। এখানে আমাদের কোন হাত নেই সবকিছুই সৃষ্টিকর্তা নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। তবে কথা হচ্ছে আমাদেরকে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। কারণ আমাদের অসাবধানতার কারণে আমরা নিজেরাই নিজেদের বিপদ গুলো এনে থাকি। বন্ধুরা আপনারা তো জানেন শুক্রবার দিন আমি অনেক ব্যস্ত থাকি। কারণ বাসায় সবাই থাকেন। যেহেতু ছুটির দিন বাড়তি অনেক কাজকর্ম জমা থাকে। বাজার সাজার করা সেগুলো ঠিকঠাক করে রাখা এবং কাপড়চোপড় পরিষ্কার করা অনেক কিছু কাজ জমা পড়ে যাই।
সেই কাজ গুলো করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি আমি। কমিউনিটিতে সময় দিতে বেশ বেলা হয়ে যায়। বাসার কাজ গুলো করে পোস্ট করতে হিমশিম খেয়ে যায় এমন অবস্থা আমার মাঝে মাঝে। আবার শুক্রবারে মেয়েকে নিয়ে মাঝে মাঝে স্পীক আপ একাডেমিতে ক্লাসে নিয়ে যেতে হয় মেয়ের বাবা না থাকলে। সবকিছু মিলিয়ে বোঝতে তো পারছেন সাংসারিক জীবন কত ব্যস্ততম। সেই মাঝে যখন কমিউনিটির কাজগুলো করতে আসি সত্যি কথা বলতে মনে হয় যে একটু স্বস্তি ফিরে পেয়েছি। গতকালকেই আমাদের এখানে বৃষ্টি হয়েছে আপনারা অনেকেই জানেন। কালকে সকালে যখন বৃষ্টি হচ্ছিল তখন মেয়েকে নিয়ে আমি স্কুলে যাচ্ছিলাম।
যদিও মেয়েকে যখন রেডি করাচ্ছিলাম তখন বাতাস বের হয়েছিল। কিন্তু এত দ্রুত যে বৃষ্টি নামবে তা আমি ভাবতে পারিনি। তাই আমি যাওয়ার সময় আর ছাতা হাতে নিয়ে যায়নি। কিন্তু চার তলা থেকেই গ্রাউন্ড ফ্লোরে নেমে যখন গেট দিয়ে বের হবো তখন দেখতে পেলাম বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। শুরু হয়ে গেলেও এত বেশি বৃষ্টি ছিল না হালকা ছিল। কিন্তু একটা ভয় কাজ করছিল যেহেতু নতুন বৃষ্টি তাই অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। সেজন্য আমি কোনরকম দৌড় দিয়ে মেয়েকে স্কুলের গেটে পৌঁছে দিলাম। কারণ আমার বাসা থেকে স্কুলের গেটের দূরত্ব হচ্ছে মাত্র দুই থেকে দেড় মিনিটের। কোনো রকম মেয়েকে ক্লাস রুমে পৌঁছে দিলাম যেহেতু মেয়ের সিটি পরীক্ষা চলছিল। কিছুক্ষণ পরে আবারও তাকে আনতে যেতে হবে।
শুধু শুধু স্কুলে কেন বসে থাকবো এক ঘণ্টা পর্যন্ত সেজন্য আমি বাসায় ফিরে আসছিলাম। যেহেতু একটু পরে বড় মেয়ে স্কুলে যাবে। যখন ফিরে আসার জন্য স্কুলের গেটে যখন আসছি দেখছি খুব বেশি বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। ভাবলাম কিছু হবে না একটু দৌড় দিয়ে চলে যাই। যখন আবার বের হলাম বৃষ্টি আরো বেশি হয়ে শুরু হয়ে গেলো। যদিও আমি শর্টকাট বের হওয়ার জন্যই বোরকা ব্যবহার করি স্কুলে যাওয়ার জন্য। কারণ স্কুলে যেতে থ্রি পিস পরে নিজেকে গুজগাজ করে রেডি করে নেওয়া বেশ ঝামেলা হয়ে যায়। তাই যখন আমি স্কুলে যাই তখন একটু দ্রুত যাবার জন্যই বোরকা ব্যবহার করি। তো আমি বোরকার সাথেই একটা হিজাব পরছিলাম। যদিও বৃষ্টির পানি গায়ে না পড়ার জন্য চেষ্টা করেছিলাম। তারপরেও কিছুটা ভিজে গেছিলাম আমি।
বোরখা কিছুটা ভিজে গেছিল কিন্তু হালকা গায়েও লাগছিল বৃষ্টির পানি গুলো। যখন বৃষ্টি পানি গুলো গায়ে লাগলো তখন শরীরটা একটু করে শিহরিত হয়ে উঠল। ঠিক তখনই আমি টের পেয়েছিলাম এই বৃষ্টিতে ভেজা আমার জন্য বড় বিপদ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ স্বাভাবিক বৃষ্টির পানিতে তো আমি ভিজতে পারি না আমার গায়ে জ্বর চলে আসে ঠান্ডা লেগে যায়। কেন জানিনা বৃষ্টির পানি আমার শরীরে একদম সহ্য হয় না। অনেকে আছেন অনেক শখ করে বৃষ্টির পানিতে ভিজে খেলাধুলা করে। কিন্তু আমি কখনো এমনটা করতে পারি না যদিও ইচ্ছে থাকে। যদি কোন কারণে বৃষ্টির পানিতে শখ করে শরীরটা ভিজে তাহলে পরের দিন শরীর অসুস্থ হয়ে যাই।
গতকালকে যখন একটু শরীরটা বৃষ্টির পানিতে ভিজেছিল বিপত্তিটা তখন ঘটে গেল আমার শরীরে। যদিও বিকেলবেলা থেকে একটু মাথা ব্যাথা শুরু হয়েছিল। কিন্তু তেমনটা গায়ে মাখি নাই হয়তো একটু কাজের চাপের কারণে কিংবা গরমের কারণে মাথা ব্যথা হয়েছিল সেটা মনে করছিলাম। কিন্তু আজকে সকালে যখন ঘুম থেকে উঠছি তখন বুঝতেই তো পারছেন কি অবস্থা। এত শরীর ব্যাথা মাথা ব্যাথা আর গায়ে হালকা জ্বর একটু হালকা কাশি। শরীরটা একদম মিশমিশ করতেছে আরও বোরিং লাগে। যখন অসুস্থ হয়ে যায় সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় আমার। যদি একটু রিলাক্সে থাকতে পারতাম তাহলে কিছুটা আরাম পাওয়া যেত।
হেল্প করার মত কেউ না থাকার কারণে পুরো বিষয়টা আমাকে হ্যান্ডেল করে নিতে হয়। যেহেতু আপনাদের ভাইয়া অফিসের কাজে অনেক বেশি চাপে থাকেন। সেই বাসায় থাকলেও হালকা পাতলা সহযোগিতা করে। তাছাড়াও ছেলে মানুষ যেহেতু রান্না ঘরের কাজ করতে গেলে একটা করতে গেলে আরো দশটা বাড়ায়ে দেই। তাই আমি আর আগ বাড়ায়ে কিছু করতে বলি না। আর যেহেতু পুরো সপ্তাহ অফিসের কাজ নিয়ে অনেক বেশি চাপে থাকেন তাই আমি আর চাপ দিতে চাই না। সকাল থেকে অনেক বেশি অসুস্থ বোধ করতেছি। মাথা ব্যাথা সাথে প্রচুর পরিমাণ শরীর ব্যাথা এবং হালকা কাশি। হালকা জ্বর সবকিছু মিলিয়ে বোঝতে পারছেন বেহাল অবস্থা আমার।
সাথে সাথে ওষুধ খেয়ে ফেলছি হয়তো সৃষ্টিকর্তা চাইলে এতোটুকুতে আমাকে সুস্থ করে দিতে পারেন। সৃষ্টিকর্তা চাইলে আরও বেশি অসুস্থ করে দিতে পারেন সব কিছু উনি ভালো জানেন। আপনারা সবাই দোয়া করবেন আমার জন্য। যাতে স্বাভাবিক হয়ে যায়। আপনারা দয়া করে কেউ বৃষ্টির পানিতে ভিজবেন না কারণ এই বৃষ্টির পানি গুলো খুবই ভারি। যেহেতু বছরের শুরুতেই বৃষ্টি হবে তাই বৃষ্টির পানির সাথে বিভিন্ন ধূলিকণা থাকতে পারে। এগুলো মহাকাশ গবেষক যারা আছে তারাই ভালো বুঝতে পারবেন বৃষ্টি পানিতে কত কিছু মিশে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় যে বৃষ্টির পানিতে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত থাকে। তাই আপনারাও একটু সাবধানতা অবলম্বন করবেন।
এমনটা করবেন না যে বৃষ্টির পানিতে শরীরটা ঠান্ডা করার জন্য একটু ভিজিয়ে নিই। কারণ সুস্থতা কতটা নিয়ামত সেটা অবশ্যই আপনারা সবাই বেশ ভালো জানেন। যদি বৃষ্টিতে ভিজেন তাহলে বিপদটা আপনাদের ঘটে যাবে। কারণ অসুস্থ হয়ে গেলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় আমাদের নিজের। ক্ষতি হয় নিজের পরিবারের লোকজনের। আরও একটা বিষয় আছে সেটা হচ্ছে আর্থিকভাবে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েন। আশা করি বন্ধুরা আপনাদের কাছে আমার আজকের লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সবাইকে সময় দিয়ে আমার ব্লগ ভিজিট করেন সব সময়। আমার পরিবারের সবার জন্য এবং আমার জন্য দোয়া করবেন বেশি বেশি। আল্লাহ হাফেজ।
লেখার উৎস | বাস্তব অভিজ্ঞতা |
---|---|
ইমেজ সোর্স | কেনভা দিয়ে তৈরি |
অবস্থান | কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
Comments