আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা আমাদের জন্য কল্যাণকর

sabbirakib -

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আজ আমি কথা বলব আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থাগুলো নিয়ে। কেন আমাদের মত দেশগুলোর জন্য তাদের সেবা জরুরি সেই বিষয় নিয়ে আমি কথা বলব।





Photo by RDNE Stock project

বাংলাদেশকে ধরা হয় একটি তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে। আমাদের সরকার যতই দাবি করুক আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশ, কিন্তু বাস্তবিক বিষয় হচ্ছে আমরা এখনো দরিদ্র একটি দেশ। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই স্বাস্থ্য বিষয়ে খুবই অসচেতন। যার কারণে এসব দাতব্য সংস্থাগুলো আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। আমাদের দেশের মানুষ দীর্ঘদিন রোগাক্রান্ত হয়েও ডাক্তারের কাছে যেতে চায় না, ওষুধও খায় না। দুটি কারণ প্রধান হিসেবে আমি চিহ্নিত করেছি। একটি হচ্ছে, রোগের বিষয়ে অনীহা এবং আরেকটি হচ্ছে আর্থিক সমস্যা।

এটা যে কেবল বাংলাদেশের সমস্যা এমনটা নয়। সারা পৃথিবীতেই এমন সমস্যা রয়েছে। যার কারণে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ফ্রি চিকিৎসার পাশাপাশি জনমনে সচেতনতা ও তৈরি করছে। আমাদের বাংলাদেশে এই চেষ্টার খুব ভালো ফলাফল এসেছে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে। খুব কম পরিমাণ শিশুই এখন শৈশবকালীন টিকার আওতার বাইরে থাকে। যদিও শতভাগ টিকার আওতায় আনা উচিৎ, কিন্তু তবুও কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছু কিছু শিশু বঞ্চিত রয়ে যায়।

আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যদি ফ্রি ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা না করতো এবং জনসচেতনতা তৈরি না করতো তবে হয়তো এমনটা সম্ভব হতো না। এমনও হতে পারত বাংলাদেশের অর্ধেকের বেশি শিশু শৈশবকালেই পোলিওর মত দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছে।

আমার মনে আছে, আমি তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি। আমাদের গ্রামে কোন এক আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থার কল্যাণে বেশ কিছু গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয় যা আমাদের বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে। এর আগে আমরা অগভীর নলকূপ কিংবা পুকুরের পানি ফিটকিরির সাহায্যে পরিষ্কার করে খেতাম। গভীর নলকূপ স্থাপনের এই ব্যবস্থা বর্তমানেও চলমান রয়েছে।

আন্তর্জাতিক সংস্থার কল্যাণে বাংলাদেশের বহু ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা যথাযথভাবে সংরক্ষণ আওতায় আনা হয়েছে। এখন কেউ চাইলেই সেসব স্থাপনাকে দখল করতে পারে না। শিশুদের জন্য সচেতনতা তৈরি করতে ইউনেস্কোর মিনা-মিঠুর কার্টুন সম্পর্কে আমরা কে না জানি?

টিবির মতো দুরারোগ্য এবং ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা এখন বিনামূল্যে হচ্ছে। রোগীদের জন্য প্রতি মাসে ফ্রি ঔষধ এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এমনকি রোগীরা নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছে কিনা তারও তদারকির ব্যবস্থা রয়েছে। আমি আন্তরিকভাবে এ সকল দাতব্য সংস্থাগুলোকে ধন্যবাদ জানাই এবং যারা আমাদের মত অনগ্রসর এবং দরিদ্র দেশের জন্য এই সেবার ব্যবস্থা চলমান রেখেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি।



নিজের সম্পর্কে
আমি মুহাম্মদ সাব্বির আকিব। জন্মসূত্রে একজন বাংলাদেশি। জেলাঃ চাঁদপুর, থানাঃ ফরিদগঞ্জ। থাকি ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানাধীন দক্ষিণ গাজীরচট নামক স্থানে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রসায়নে স্নাতক (সম্মান) সম্পন্ন করেছি। বর্তমানে একটি ফার্মেসিতে ফার্মাসিস্ট হিসাবে কর্মরত রয়েছি। বিবাহিত এবং আল্লাহ একটি পুত্র সন্তানের জনক করেছেন, আলহামদুলিল্লাহ।