আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালো আছেন। আজ কথা বলব বাংলাদেশ বনাম মালদ্বীপের শ্বাসরুদ্ধকর ফুটবল ম্যাচ নিয়ে।
ফিফার আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ কিংবা প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচের জন্য জাতীয় দলের জন্য একটি সপ্তাহ বরাদ্দ থাকে। এবারের ইন্টারন্যাশনাল উইন্ডো, গত সোমবার থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলমান রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ফিফার সদস্য প্রতিটি দেশ চাইলে দুটি করে প্রীতি ম্যাচ কিংবা প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে অংশগ্রহণ করতে পারবে। ক্লাবগুলোও জাতীয় দলের চাহিদা অনুযায়ী প্লেয়ার ছাড়তে বাধ্য থাকে। ইউরোপ, ল্যাটিন আমেরিকা, কিংবা উত্তর আমেরিকা এমনকি আমাদের এশিয়ার বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের যোগ্যতা অর্জন করার দলগুলো প্রতিযোগিতামূলক খেলায় অংশ নিয়েছে। যারা প্রতিযোগিতামূলক খেলায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি কিংবা যাদের ম্যাচ নেই তারা নিজেদের মধ্যে প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করে থাকে। সে অনুযায়ী বাফুফের পক্ষ থেকে মালদ্বীপের সাথে বাংলাদেশ দুটি প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করে নিজেদের মাটিতে।
আজ ছিল সেই দুটি ম্যাচের শেষ ম্যাচ। যা অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন দল বসুন্ধরা কিংস এর নিজস্ব মাঠ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়।
খেলা শুরুর পর ম্যাচের ১৮তম মিনিটে বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের ভুলে সুযোগ পেয়ে যায় মালদ্বীপের স্ট্রাইকার আলি ফাসির। সুযোগ পেয়েই জালে বল জড়াতে ভুল করেননি এই অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার। গোল খাওয়ার পরও ধার বাড়েনি বাংলাদেশের। বরঞ্চ খোলস বন্ধ ফুটবল খেলছিল বাংলাদেশ দল। একাধিক বার সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও কাজে লাগাতে পারেজি বাংলাদেশ দলের ফরোয়ার্ডরা। অবশেষে প্রথম পর্বের বিরতি সময় আগে ৪৩ মিনিটের মাথায় মজিবুর রহমান জনির ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেয়া দুর্দান্ত শুট জাল খুঁজে পায় এবং বাংলাদেশ দল সমতায় ফিরে।
দ্বিতীয় অর্ধেও ম্যাড়মেড়ে খেলা খেলে বাংলাদেশ দল। কিন্তু ৮০ মিনিটের পর দু'দলই চেষ্টা করতে থাকে গোল আদায়ের জন্য। এরই মধ্যে ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয়ে যায়। যোগ করা অতিরিক্ত সময়ের শ্বাসরুদ্ধ করে এই ম্যাচে পাপন সিংয়ের কল্যাণে শেষ মুহূর্তের গোলে ২-১ গোলে জয় পায় বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে দুই ম্যাচের এই প্রীতি ফুটবল সিরিজ শেষ হয়ে যায়। আগের ম্যাচে আলী ফাসির এর একমাত্র গোলে মালদ্বীপের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় বাংলাদেশ।