খোলা জায়গা মানেই ময়লার ভাগাড়।

rupok -

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


গতকাল বিকালে আমার স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলাম ডাক্তারের কাছে। গত কিছুদিন ধরে তার দাঁতে সমস্যা হচ্ছিলো। সে কারণেই মূলত দাঁতের ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। সেখানে পৌঁছে যথারীতি দেখতে পেলাম রোগীদের দীর্ঘ সিরিয়াল। সিরিয়ালে নাম লিখিয়ে আমরা ওয়েটিং রুমে বসে অপেক্ষা করতে লাগলাম। কিন্তু খেয়াল করে দেখলাম ডাক্তারের চেম্বারের ভেতরে এসি থাকলেও ওয়েটিং রুমে কোনো এসি নেই। যার ফলে সেখানে বসে থাকতে বেশ গরম লাগছিলো। তাই আমি আমার স্ত্রীকে বললাম আমি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি। কারণ সিরিয়াল নাম্বার দেখে আমি বুঝতে পেরেছিলাম তার ডাক্তার দেখাতে অনেক সময় লাগবে।

তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমি চলে গেলাম সেই হাসপাতালের পেছনের দিকে সেখানে একটি সুপ্রশস্ত নতুন রাস্তা হয়েছে সেখানে। চিন্তা করেছিলাম সেই রাস্তার পাশে দাঁড়ালে হয়তো হালকা বাতাস পাওয়া যেতে পারে। যদিও দিনের বেলায় রাস্তার পিচ গুলো গরম হয়ে সেখান থেকে গরম ভাপ ওঠে। তার পরেও যেহেতু ততক্ষণে বিকাল হয়ে গিয়েছে সূর্যটা পশ্চিম দিকে অনেকটা হেলে পড়েছে। তাই চিন্তা করলাম এখন হয়তো রাস্তা খুব একটা গরম নেই। যাই হোক রাস্তার পাশে গিয়ে দাঁড়াতেই দেখতে পেলাম রাস্তার পাশেই একটি পুকুর রয়েছে। কিন্তুু সেই পুকুরে একেবারেই কোনো পানি ছিলো না। মূল সমস্যা হলো পুকুরের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকাটা মুশকিল হয়ে যাচ্ছিলো। কারণ সেখানে আশেপাশের মানুষজন ময়লা আবর্জনা ফেলে পুকুরের পাড়টাকে একটা ডাস্টবিন বানিয়ে ফেলেছে।


এই সমস্যা যে শুধু এখানেই দেখছি তা নয়। আমাদের দেশের সর্বত্র আমরা এই ধরনের সমস্যা দেখতে পাই। কোন একটা ফাঁকা জায়গা পেলে আমরা সবাই মিলে সেখানে নোংরা আবর্জনা ফেলে জায়গাটাকে নষ্ট করার মহোৎসবে মেতে উঠেছে। এই কারণে আমাদের দেশের রাস্তা ঘাট দিন দিন নোংরা হয়ে যাচ্ছে। যখনই আমাদের কোন আত্মীয়-স্বজন বিদেশ থেকে আসে তারা এসে একটা বিষয় নিয়ে খুব আফসোস করে। তারা সবসময় বলে বিদেশের রাস্তাঘাট গুলো কতো পরিষ্কার। সেখানে রাস্তার পাশে কখনো ময়লা আবর্জনা দেখতে পাওয়া যায় না। আর আমাদের দেশে রাস্তা ঘাটের আশেপাশে কোন ফাঁকা জায়গা পেলেই মানুষ সেখানে ময়লা ফেলতে শুরু করে। এতে আমাদের পরিবেশটা কতোটা নষ্ট হয়ে যায় এটা আমরা কখনোই কেউ চিন্তা করি না। ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট এর ব্যাপারে আমাদের দেশের মানুষজন খুবই উদাসীন।


আমি খেয়াল করে দেখেছি মাঝে মাঝে ভোর বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পর বাসার সামনে পলিথিনে ভরা ময়লা দেখতে পাই। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই ময়লা গুলো ফেলে যায়। যদিও এখন শহরে বাসা বাড়ির ময়লা নেয়ার জন্য আলাদা সার্ভিস রয়েছে। আমাদের পৌরসভা থেকে প্রত্যেকটা বাসা বাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহ করা হয়। অবশ্য এর জন্য আমাদেরকে মাসিক টাকাও পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু কিছু মানুষ আছে যারা পৌরসভার ময়লার গাড়িতে ময়লা না দিয়ে সেগুলো এদিকে ওদিকে ফেলে বেড়ায়। আর আছে বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্টের মালিকেরা। তারাও তাদের ময়লা আবর্জনার একটা অংশ এভাবে রাস্তার ঘাটের আশেপাশের খোলা জায়গায় ফেলতে পছন্দ করে। আর এই সমস্ত লোকজনের জন্যই আমাদের দেশটা দিন দিন একটা নোংরা দেশে পরিণত হচ্ছে। এই সমস্যা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হলে গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে। রীতিমতো একটা সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যে বা যারা পরিবেশ ধ্বংসকারী এই ধরনের কাজের সাথে জড়িত থাকে তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তাহলেই যদি এই সমস্যার সমাধান হয়।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসHONOR 90
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP


Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness



OR

SET @rme as your proxy



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok