বন্ধুর সাথে বৈচিত্র্যময় গ্রামীণ মেলা ভ্রমণ( প্রথম পর্ব)। ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।

rupok -

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


বেশ কিছুদিন হল বন্ধুর সাথে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়না। কারণ আমি এলাকায় আসার পর আমার বন্ধু ঢাকা চলে গিয়েছিল ওর এক অসুস্থ আত্মীয়কে নিয়ে। দুদিন হল সে ফরিদপুরে ফিরেছে। তাই চিন্তা করছিলাম কোথায় যাওয়া যায়। এর ভিতর ফেসবুকে একটা পোস্ট থেকে জানতে পারলাম আমাদের এলাকার কাছেই একটা মেলা হচ্ছে। মেলাটা বেশ জমজমাট হয়েছে। অনেকদিন কোন মেলায় ঘুরতে যাওয়া হয়না। তাই বন্ধুর সাথে পরামর্শ করে ঠিক করলাম বিকালে সেই মেলায় আমরা দুজন ঘুরতে যাব। বন্ধু যথাসময়ে হাজির হয়ে গেল তার মোটরসাইকেল নিয়ে। তারপর দুজনে রওনা দিলাম মেলার উদ্দেশ্যে। মেলাটা হচ্ছিল গ্রামের দিকে। অল্প সময়ে আমরা মেলায় পৌঁছে গেলাম। কিন্তু আবহাওয়া কিছুটা প্রতিকূল ছিল। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। সেই বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মেলায় ঘুরে বেরিয়েছি। মেলাটা অল্প জায়গা নিয়ে হলেও মেলায় গ্রামীণ সংস্কৃতির সব ধরনের অনুষঙ্গ বিদ্যমান ছিল।

এটি হচ্ছে বাচ্চাদের খেলনার দোকান। এই ধরনের দোকান গুলি মূলত মেলার মূল আকর্ষণ। কারণ বাচ্চারা মেলায় আসতে চায় এই দোকানগুলো থেকে জিনিসপত্র কেনার জন্য।


এটি মেয়েদের বিভিন্ন ব্যবহার্য সামগ্রীর দোকান। এই দোকানে মেয়েদের ব্যবহারের বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র পাওয়া যায়। গ্রামের মেয়েরা এই দোকানগুলোতে আসে চুড়ি, ফিতা, লিপিস্টিক বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র কিনতে।



মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের খাওয়া দাওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম আয়োজন থাকে। মেলায় ঘুরতে এসে কিছু না খেলে মনে হয়েছে মেলায় ঘুরতে আসা পরিপূর্ণতা পায় নি। এই দোকানে সিংগারা, পুরি, মোগলাই পরোটা সহ আরো বিভিন্ন রকমের খাবার পাওয়া যায়।



এটি একটি আচারের দোকান। এই দোকানের ক্রেতা মূলত মহিলারা এবং বাচ্চারা। এই আচারের দোকানে বিভিন্ন রকমের সুস্বাদু আচার পাওয়া যায়। যদিও সে আচার কতটা স্বাস্থ্যসম্মত সে প্রশ্ন থেকেই যায়।



এটি মেলায় অবস্থিত আরো একটি মজাদার খাবারের দোকান। এই দোকানটি মূলত চিংড়ি মাছ ভেজে বিক্রি করে। সাথে চিকেন ফ্রাই, চিকেন সাসলিক ও পাওয়া যায়। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের বেশিরভাগই এই ধরনের দোকান থেকে চিংড়ি মাছ ভাজা খেয়ে থাকে।


এই ধরনের দোকানগুলি গ্রামীণ মেলার অন্যতম অনুষঙ্গ। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন মেলায় এই ধরনের দোকান বেশি দেখা যেত। মেলায় যাওয়া মানেই ছিল এই দোকানগুলো থেকে নানা রকমের দেশি খাবার কেনা। তারপর বাড়িতে সবাই মিলে অনেক মজা করে সেই খাবার খাওয়া হতো। এখন অবশ্য মেলায় বিভিন্ন রকম বিদেশী খাবার ও পাওয়া যায়।


এটি একটি পানের দোকান। এখানে বিভিন্ন রকমের পান কিনতে পাওয়া যায়। গ্রামের মানুষজনের অন্যতম একটি পছন্দের জায়গা হচ্ছে এই পানের দোকান। কারণ তারা এখানে এসে বিভিন্ন ফ্লেভার যুক্ত পান খায়।


এই দোকানে মজাদার মুড়ি মসলা এবং ছোলা ভুনা পাওয়া যায়। মেলায় আগত দর্শনার্থীরা খুব মজা করে এখান থেকে মুড়ি মসলা খায়। এটাও গ্রামীণ মেলার একটি অপরিহার্য অংশ।


এটি একটি পপকর্নের ভ্রাম্যমান দোকান। আগে অবশ্য গ্রামীণ মেলায় পপকর্ন দেখা যেত না। এখন এই ধরনের ভ্যান সব মেলাতে দেখা যায়।


পাপড় হচ্ছে এমন একটি খাবার যেটি ছাড়া বাঙালির কোন গ্রামীন উৎসব পরিপূর্ণতা পায় না। এই ধরনের পাপড়ের দোকান গ্রামীণ মেলার অপরিহার্য অংশ। এই পাপড়ের দোকান দেখলে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। মেলায় আসলে প্রথমেই পাপড় কিনে খেতে খেতে মেলা দেখা হতো। পাপড় এখনো খুবই জনপ্রিয় সকলের কাছে।


আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।

পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রহুয়াই নোভা ২আই
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থান লিংক

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

|| Join the Discord Server for more Details ||

🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok


আমি রূপক। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাঙালি। আমি বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকেও ভালোবাসি।