সৌদি আরব থেকে ফেরার ক্লান্তিকর যাত্রার অভিজ্ঞতা ( দ্বিতীয় পর্ব)।

rupok -

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


এয়ারপোর্টে পৌঁছে আমাদের শুরু হোলো নতুন সমস্যা। আমাদের মোয়াল্লেম যেহেতু আমাদের সাথে ছিলো না। তাই তাকে ফোন দিয়েছিলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন আমরা এয়ারপোর্টের কোন জায়গাটাতে রয়েছি? কিন্তু মদিনা এয়ারপোর্ট এর কোন কিছুই আমার পরিচিত না হওয়ার কারণে আমি তাকে সেটা বলতে পারলাম না। পরবর্তীতে বাসের ড্রাইভার এর কাছে জিজ্ঞেস করলে সেও তেমন কোনো লোকেশনের কথা বলতে পারলো না। যাইহোক না বলতে পারলেও আমরা সেখানে বাস থেকে নেমে নিজেদের লাগেজগুলো গোছাতে লাগলাম। লাগেজ গোছাতে গিয়ে দেখি আমাদের দুটো লাগেজ শর্ট। পরবর্তীতে বুঝতে পারলাম সেই লাগে দুটো সম্ভবত মোয়াল্লেম এর সাথে রয়েছে। আমরা সেখানে দাঁড়িয়ে মোয়াল্লেমের জন্য অপেক্ষা করতে চাইছিলাম। কিন্তু এয়ারপোর্ট অথরিটির লোকজন এসে আমাদেরকে জানালো সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না।

অগত্যা কি আর করা? আমরা ট্রলিতে করে লাগেজ উঠিয়ে রওনা দিলাম চেক ইন কাউন্টারের উদ্দেশ্যে। অবশ্য ট্রলি নেয়ার ব্যাপারে আমাকে এয়ারপোর্টের এক পোর্টার সাহায্য করছিলো। বিনিময়ে সে আমার কাছে কিছু বকশিশ দাবি করেছিলো। আমরা যেখানে নেমেছিলাম সেখান থেকে চেক ইন কাউন্টার খুব একটা বেশি দূরে ছিলো না। যার ফলে সেখানে অল্প সময়ে পৌঁছে গেলাম। কিন্তু সেখানে পৌঁছে আমি অন্য এক চিন্তায় ছিলাম। আমার একটা লাগেজ অতিরিক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে সেটা আমার এক রুমমেটের সাথে দিয়েছিলাম চেক ইনের জন্য। তিনি লাগেজ বরাদ্দ পেয়েছিলেন দুটো। কিন্তু তার লাগেজ ছিলো একটি। যার ফলে আমি তাকে আমার একটি লাগেজ তার নামে বুকিং দিতে বলেছিলাম। আমি চিন্তা করছিলাম সেখানে কোন সমস্যা না হয়। অবশ্য পরবর্তীতে সবকিছু ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছিলো।


এদিকে সেখানে পৌঁছে আমি কিছুক্ষণ পর দেখতে পেলাম মোয়াল্লেম সাহেব সেখানে হাজির হয়েছেন। তার কাছে জিজ্ঞেস করে পরে আমি আমাদের কেবিন লাগেজ দুটো খুঁজে বের করলাম। কেবিন লাগেজ দুটো পাওয়ার পরে কিছুটা নিশ্চিন্ত বোধ করলাম। অবশ্য আমি লাগেজ গুলো নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলাম। কারণ লাগেজ গুলোর ওজন যথাযথভাবে করা হয়েছে কিনা সেটা আমি বুঝতে পারছিলাম না। টিকিটে নিয়ম দেখতে পেয়েছিলাম আমরা ২৩ কেজি ওজনের দুটো লাগেজ নিতে পারবো। আর সেই সাথে একটা কেবিন লাগেজ নিতে পারবো। লাগেজ গুলো সব কাউন্টারে ভালোভাবে বুঝিয়ে দেয়ার পর কিছুটা নিশ্চিন্ত হলাম। চেকিন কাউন্টার থেকে যখন ইমিগ্রেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবো তখন হোলো আরেক বিপত্তি। ইমিগ্রেশন এর ওখানে যাওয়ার আগেই একটি গেট আমাদেরকে পার হতে হয়েছিলো। সেই গেট পার হতে গিয়ে আমাদের সাথে থাকা অনেক হাজীদেরই সমস্যা হয়েছিলো। কারণ তারা সাথে করে একটার বেশি লাগেজ এলাও করছিলো না।

কিন্তু আমাদের সাথে যারা ছিলো তাদের প্রায় সকলের কাছেই একাধিক ছোটো লাগেজ ছিলো। যার ফলে সেই গেট দিয়ে প্রায় কাউকেই ঢুকতে দিচ্ছিলো না। যদিও সবাই তাদেরকে অনেক রিকোয়েস্ট করছিলো। কিন্তু তারা তাদের নিয়ম মানার ব্যাপারে খুবই কঠোর ছিলো। শেষ পর্যন্ত সবাই তাদের কাছে থাকা কিছু জিনিসপত্র ফেলে দিয়েছিলো অথবা একটি লাগেজে ভরে তারপর সেখান দিয়ে প্রবেশ করেছিলো। ইমিগ্রেশন এর কাজ হয়ে যাওয়ার পর আমি খেয়াল করে দেখি আমাদের সাথে থাকা কাউকেই দেখতে পাচ্ছি না। তখন আমি না বুঝে একটি সিঁড়ি দিয়ে নিচের দিকে নেমে গেলাম। আমি মনে করেছিলাম আমাদের সাথে থাকা বাদবাকি সবাই হয়তো সেখানে রয়েছে। তবে সেখানে বেশ কিছুটা সময় কাটানোর পরে আমি বুঝতে পারলাম আমি ভুল জায়গায় চলে এসেছি। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসHONOR 90
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানমদিনা এয়ারপোর্ট

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP


Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness



OR

SET @rme as your proxy



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok