লাইফ স্টাইল || জুডিও -তে টুকটাক শপিং এর উদ্দেশ্যে

ronggin -

নমস্কার,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও ভালো আছি।

বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের এই ব্লগে লাইফ স্টাইল রিলেটেড একটি পোস্ট তোমাদের সাথে শেয়ার করবো। বিভিন্ন ধরনের শপিং করা রিলেটেড ব্লগ তোমাদের সাথে মাঝে মাঝেই শেয়ার করা হয়। শপিং করতে কম বেশি আমরা সবাই অনেক বেশি ভালোবাসি। আমারও শপিং করতে ভালো লাগে তাই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় শপিং করতে যাই। আমাদের আশেপাশে যে কয়েকটি বড় বড় শপিংমল রয়েছে সেগুলোতে সপ্তাহে অন্তত একবার যাওয়া হয়। তবে সব সময় সেখানে গিয়ে কেনাকাটা করিনা, মাঝে মাঝে ঘুরেও চলে আসি।

যাইহোক, তবে এবার জুডিওতে গেছিলাম টুকটাক কেনাকাটার উদ্দেশ্যে। আমাদের বাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরে এই জুডিও অবস্থিত। এইখানে টোটো করে সরাসরি যেতে মোটামুটি ২০ টাকার মত নিয়ে নেয়। আসলে নরমাল ভাবে বাইরে বের হওয়ার জন্য আমার একটা টাউজার প্যান্ট ও টি শার্টের প্রয়োজন ছিল, সেইজন্য গেছিলাম জুডিওতে। এই জুডিওতে মোটামুটি দামের মধ্যে বেশ ভালো জিনিসই পাওয়া যায়। আমি যে প্রথমবার এই জুডিওতে গেছিলাম সেরকম কোন ব্যাপার ছিল না। এর আগেও অনেকবার আমি এখানে এসেছি। এখানে সাধারণত কোন অফার পাওয়া যায় না।

তবে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম এখানে কমিয়েই দেওয়া থাকে। শপিং করা রিলেটেড কোন কাজ থাকলে আমি সাধারণত কাউকে সাথে নিয়ে যাই। তবে এইবার আর কাউকে সাথে নিয়ে যাইনি। আসলে সব সময় সবার সময় হয়ে ওঠে না, সেজন্য মাঝে মাঝে একা একাও যেতে হয়। যাইহোক, কয়েকদিন আগে সন্ধ্যার সময় চলে গেছিলাম এই জুডিওতে। আসলে জুডিওতে জামা কাপড়ের দাম কম হলেও এর ভিতরের পরিবেশটা জাস্ট অসাধারণ। এখানে গেলেই মনটা ভরে যায়। কোন কিছু কেনার উদ্দেশ্য না থাকলেও কিছু কিনে নিয়ে আসতে হয় এরকম পরিবেশের মধ্যে গেলে। এখানে সাধারণত খুব বেশি একটা ভিড় দেখা যায় না তবে মোটামুটি ভিড় থাকে বলা যায়। এখানে ঢুকেই প্রথম যে ফ্লোরটা ছিল, সেখানে ছিল মেয়েদের জিনিসপত্রের সমারোহ। অর্থাৎ মেয়েদের জামা কাপড় এবং অন্যান্য জিনিসগুলো এই নিচের ফ্লোরেই পাওয়া যায়। আর ছেলেদের এবং ছোট ছোট বাচ্চাদের জিনিসগুলো ছিল উপরের তলায়।

সেই জন্য আমি উপরের তলায় চলে গেছিলাম । সেখানে গিয়ে ঘুরে ঘুরে সব কিছুই দেখেছিলাম আমি। সব কিছুর দাম মোটামুটি ঠিক লেগেছিল আমার কাছে। আমার শেয়ার করা এই ব্লগে ফটোগ্রাফির মধ্যে তোমরা দামের একটা আইডিয়া পেয়ে যাবে। যাইহোক, সেখান থেকে কিছু কিছু জিনিস পছন্দও হয় আমার। তবে এইবার একা গিয়ে যা বুঝলাম, কোনো জিনিস পছন্দ করতে একটু কষ্ট হয়ে যায় আমার। কেউ সাথে থাকলে এই ব্যাপারটা একটু সুবিধা হয়। এইখানে গিয়ে আমি টুকটাক ফটোগ্রাফিও করছিলাম। কিন্তু আশেপাশের মানুষজন যেইভাবে দেখছিল, ফটোগ্রাফিও ভালোভাবে করতে পারছিলাম না।

যাইহোক, টুকটাক চেষ্টা করছিলাম ফটোগ্রাফি করার। তবে জামা কাপড় যখন পছন্দ করছিলাম, সেই মুহূর্তের ফটোগ্রাফি গুলো করতে পারিনি। এইখানে গিয়ে নিজের জন্য আমি একটি টি-শার্ট এবং টাউজার পছন্দ করে কিনি। টাউজারের দাম নিয়েছিল ৪০০ টাকা এবং টি-শার্টের দাম নিয়েছিল ৩০০ টাকা। এই দাম মোটামুটি ঠিকই বলা যায়। খুব বেশি সময় লাগেনি এইখানে গিয়ে আমার শপিং করতে। মোটামুটি ৩০ মিনিটের মধ্যেই সব শপিং করে এখান থেকে বেরিয়ে পড়েছিলাম। এই জায়গা থেকে বের হয়ে দেখি বাইরে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। সেই জন্য এর ভিতরে আবার চলে যাই এবং প্রায় ১০ মিনিটের মতো অপেক্ষা করে বৃষ্টি থামলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করে চলে আসি।


পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীলাইফ স্টাইল
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনমধ্যমগ্রাম, নর্থ ২৪ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, আজকের এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷