ট্রাভেল || সবুজ প্রকৃতির মধ্যে ঘুরাঘুরি করতে [ ২৪ এপ্রিল ২০২৪]

ronggin -

নমস্কার,

তোমরা সবাই কেমন আছো? আশা করি, সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। আমিও মোটামুটি ভালো আছি।

সবুজ ভালোবাসে না এমন মানুষ হয়তো খুঁজলেও পাওয়া যাবে না। ছোটবেলা থেকেই প্রকৃতির প্রতি আলাদা একটা দুর্বলতা রয়েছে আমার। কারণ আমি ছোটবেলায় গ্রামের সবুজ প্রকৃতি দেখতে দেখতে বড় হয়েছি। এইজন্য প্রকৃতির সংস্পর্শে গেলে আমার খুবই ভালো লাগে। আমরা জীবনযাপনের জন্য হয়তো শহরে বসবাস করি। তবে মনটা আমার সব সময় গ্রামের দিকে থাকে। কারণ গ্রামে গেলে যে আলাদা একটা শান্তি পাওয়া যায় তা শহরে গিয়ে পাওয়া যায় না। যাইহোক, সব সময় গ্রামে যাওয়ার সুযোগ না হলেও আমাদের এখান থেকে কাছাকাছি যেসব জায়গায় সবুজ প্রকৃতি রয়েছে, সেইখানে ঘুরাঘুরি করার জন্য সাধারণত আমি যেয়ে থাকি।

এইসব জায়গায় গেলেও কিছু সময়ের জন্য হলেও অন্তত ভালো লাগে। কয়েকদিন আগে তোমাদের সাথে একটি ব্লগ শেয়ার করেছিলাম সেখানে সবুজ প্রকৃতির মধ্যে ঘুরতে যাওয়া নিয়ে কিছু বর্ণনা শেয়ার করেছিলাম। আজকের ব্লগে সেই জায়গার অন্য একটি অংশে ঘোরাঘুরি নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করব। সত্যি কথা বলতে এই জায়গাটা বেশ বড় এবং কয়েকটি অংশে বিভক্ত ছিল। বিভিন্ন অংশে আবার বিভিন্ন জিনিস দেখারও সুযোগ ছিল। এই জায়গায় গিয়ে প্রকৃতিটাকে একদিনে পুরোপুরি ভাবে উপভোগ করা সম্ভব হয় না। সেইজন্য দ্বিতীয় দিন আবার আমি এখানের অন্য অংশটিতে গেছিলাম প্রকৃতিটাকে আরো ভালোভাবে উপভোগ করার জন্য

এই জায়গাটির এই অংশে অনেক জমি ছিল তবে সেগুলো চাষ করা ছিল না। এইখানের জমিতে কয়েক প্রকারের ফসল হয়ে থাকে সারা বছর ধরে। বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের ফসল দেখা যায় আর কি। যাইহোক, এই জমিগুলো চাষ না করার কারণে সেখানে সবুজ ঘাসে পরিপূর্ণ হয়ে গেছিল। এই সবুজ ঘাসগুলো দেখতেও কিন্তু বেশ দারুন লাগে। তাছাড়া সবুজ ঘাসের উপর বসে কিছু সময়ের জন্য একটা আলাদা শান্তিও পাওয়া যায়।

যেহেতু গরমের সময় ছিল আর এখানে গিয়ে একটা সুন্দর হাওয়া পাওয়া যাচ্ছিল যার জন্য আরও বেশি ভালো লাগছিল। এখানে গিয়ে আশেপাশে কিছু সময় হাঁটার পর আমি একটা জায়গায় স্থির হয়ে বসে চারপাশের প্রকৃতিটাকে আরো ভালোভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করি। এই জায়গাটিতে অনেক মানুষই ঘোরাঘুরি করার জন্য আসে। তবে তারা অনেক দূর থেকে আসে, সেরকম কোন ব্যাপার নয়। স্থানীয় লোক গুলো এখানে এসে আড্ডা দেয়, গল্প করে এবং কিছুটা সময় কাটায়। কিছু সময় এই জায়গাটাতে বসে থাকার পর আমি আরেকটু সামনের দিকে এগিয়ে যাই । যেখানে গিয়ে নতুন কিছু দেখার সুযোগ হয় আমার। সেখানে বিভিন্ন রকমের পাখি ছিল এবং পাখিরা সেখানে এসে খাবার খাচ্ছিল।

তবে এটা আমার জানা ছিল না, এখানে কি ধরনের খাবার পাখিদের জন্য অ্যাভেলেবেল ছিল। যাইহোক, পাখিদের উড়ে যাওয়া, উড়ে আসা, খাবার খাওয়া, এই দৃশ্য গুলো দেখতেও খুব ভালো লাগছিলো। আমি সেখানে দাঁড়িয়ে চারপাশের কিছু ভিডিওগ্রাফিও করেছিলাম। যদিও সেগুলো তোমাদের সাথে অন্য কোন ব্লগে শেয়ার করবো। যাইহোক, এই জায়গাটিতে বিকালের সময় গিয়ে আমি সূর্য ডুবে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত থেকে চারপাশের সবকিছু উপভোগ করেছিলাম। এরকম জায়গায় ঘুরতে গেলে কিছু সময়ের জন্য প্রকৃতির মধ্যে হারিয়ে যাওয়ার মত অবস্থার সৃষ্টি হয়। যাইহোক, যতটুক সম্ভব এইখানে থেকে প্রকৃতিটাকে কাছ থেকে উপভোগ করে আমি বাড়িতে চলে আসি।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীট্রাভেল
ডিভাইসSamsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার@ronggin
লোকেশনবারাসাত, নর্থ চব্বিশ পরগনা, ওয়েস্ট বেঙ্গল।
বন্ধুরা, সবুজ প্রকৃতির মধ্যে ঘুরতে যাওয়া নিয়ে শেয়ার করা আজকের এই ব্লগটি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ সবাইকে






আমার পরিচয়

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷