বিগত ১১ মে ২০২৩ থেকে "আমার বাংলা ব্লগের" একটা নতুন ইনিশিয়েটিভ ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস চালু হয়ে আজ উইক ৭৮ এ পদার্পণ করেছে । এই উদ্যোগটি এখনও অব্দি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মেই একদম নতুন ও ইউনিক । কি এই "ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস" ? আসুন জেনে নেওয়া যাক ।
ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস : প্রত্যেক সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে বুধবার অব্দি আমার বাংলা ব্লগের সকল এক্টিভ ব্লগারদের মধ্য থেকে এক জন আমার পছন্দের ব্লগার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়ে থাকে । ইনিই হন সেই সপ্তাহের "ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস" । এই নির্বাচনটি একদমই আমার নিজের খুশি মতো করা হয় । যাঁর লেখা আমার ভালো লাগে আমি তাঁকেই নির্বাচিত করি । প্রত্যেকের সামগ্রিক পোস্ট বিশ্লেষণ করে পোস্টের কোয়ালিটি, পোস্ট ভ্যারিয়েশন, বানান এবং মার্কডাউন এর ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করে এই বিচারপর্ব সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।
SERIAL | AUTHOR | UPVOTE | POST LINK |
---|---|---|---|
01 | @selinasathi1 | $25 UPVOTE | মাটির হাঁড়িতে পায়েস পরিবেশন করা নিয়ে - স্বরচিত কবিতা |
02 | @selinasathi1 | $25 UPVOTE | "অনন্ত ভালোবাসা" শিরোনামে একটি গদ্য কবিতা |
অথরের নাম - সেলিনা সাথী। স্টিমিট আইডি - @selinasathi1। উনি প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর।সে সাথে একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছাড়া ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। তিনি "নারীসংসদ" এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার" এর। উনার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর তিনি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করেন।স্টিমিট প্লাটফর্ম এ যুক্ত হয়েছেন ২০২১ সালের জুন মাসে।বর্তমানে স্টিমিট জার্নির বয়স প্রায় ৩ বছর ৫ মাস চলমান।
সাধারণত হাতের কাজগুলো দেখতে বরাবর বেশ দারুণ এবং সুন্দর হয়। কারণ যেহেতু কোনো কাজে হাতের ছোঁয়া থাকে, সেহেতু সেই কাজগুলো দেখতেও যেনো অনেক বেশি নিখুঁত হয়। আর বিশেষ করে যারা ডাই প্রজেক্ট করে থাকে। উনাদের কাজগুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে আমার কাছে। তার কারণ হলো ডাই প্রোজেক্ট করতে অনেকটা কষ্ট করতে হয় বলা চলে। কিন্তু সেই কষ্ট সার্থক হয় যখন ডাই প্রজেক্টটি শেষ হয়। অর্থাৎ দেখতে যখন বেশ দারুন লাগে। উনার এই রংধনু তে নববধূ তৈরি করাটিও অনেক সুন্দর লাগছে দেখতে। আর যেহেতু ক্লে দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে দেখতে যেনো অনেকটা সত্যিকার মনে হচ্ছে। অর্থাৎ দোকানে কিনতে পাওয়া খেলনা গুলোর মতোই মনে হচ্ছে।
ছবিটি @selinasathi1 এর ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে
প্রশান্তি সত্যিই একটি গভীর মানসিক ও আত্মিক অবস্থান। যেটা আসলে আমরা বেশিরভাগ সময় চেয়ে থাকি, কিন্তু পাই না। কারণ প্রশান্তি খুঁজে পাওয়াটা অনেক বেশি কঠিন বিষয়। আবার এমন অনেক ছোট ছোট ব্যাপার থাকে। যেগুলোতে খুব সহজেই প্রশান্তি খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়। আসলে মানুষের কিসে শান্তি এবং কিসে অশান্তি সেটা একমাত্র সেই মানুষ এবং সেই মানুষের পারিপার্শ্বিক অবস্থা ই বলতে পারে। তবে আমি বিশ্বাস করি যে, আমরা সকলেই শান্তিপ্রিয় মানুষ। তাই আমাদের মনের কোণে প্রশান্তির খোঁজ যেনো আমরা চালাতে থাকি। উনার কবিতা নিয়ে কিছু বলার নেই। কারণ কবি মানুষের লেখা নিয়ে সত্যিই কিছু বলার মতো স্পর্ধা কিংবা সাহস নেই বললেই চলে। উনার কবিতা বরাবরের মতোই খুব সুন্দর হয়েছে।
ছবিটি @selinasathi1 এর ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে
মাঝেমধ্যে কাজের হাজার ব্যস্ততার ভিড়ে পরিবার নিয়ে বাইরে একটু ঘুরাঘুরি করতে বেশ ভালো লাগে বলা চলে। আর ছেলে-মেয়ে, পরিবার সকলকে নিয়ে বাইরে আনন্দের সাথে কিছু মুহূর্ত কাটানো আমাদের জীবনের দারুন একটি মুহূর্ত বলা চলে। কারণ সময় চলে যায়, আমাদের বয়স বেড়ে যায় কিন্তু স্মৃতিগুলো আমাদের জীবনে সুমধুর ভাবে থেকে যায় ওই স্মৃতির পাতায়। তাই আমি নিজেও বেশিরভাগ সময় চেষ্টা করি পরিবার নিয়ে একটু বাইরে ঘুরাঘুরি করার। যদিও আসলে বাইরের ঘুরাঘুরি করার সময় স্ট্রিট ফুড কম খাওয়া হয়। তবে গরম গরম জিলাপি যে খাওয়া হয় না তা নয়। কারণ গরম গরম জিলাপি আমার বেশ পছন্দ। যাইহোক উনাদের একসঙ্গে কাটানো মুহূর্ত দেখে বেশ ভালো লেগেছে।
ছবিটি @selinasathi1 এর ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে
আমি সাধারণত মিষ্টি প্রেমী নই। অর্থাৎ মিষ্টি আমাকে কখনোই টানে না। তার উপরে আমার ঝাল খুব পছন্দ। কিন্তু ঘরের তৈরি পায়েসের স্বাদ আলাদা হয়। আর তা যদি মায়ের হাতের হয়, তাহলে সেটার মিষ্টতা যেনো সত্যি কয়েক গুণ বেশি থাকে। সেটার সাথে আমি একেবারেই একমত। উনার পায়েস তৈরীর সবকিছু দেখে অর্থাৎ ধাপ গুলো দেখে বুঝাই যাচ্ছে যে পায়েসটি খেতে দারুন হয়েছে। আর ফাইনাল ছবি দেখেই আসলে বোঝা যাচ্ছে যে বেশ মজা হয়েছে। আর বিশেষ করে খেতে পারলে ভালো লাগতো আর কি। আশা করছি সেটাও হয়তো হয়ে যাবে কোনো একদিন।
ছবিটি @selinasathi1 এর ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে
মাটির তৈজসপত্র আমার বরাবরই অনেক বেশি প্রিয়। কারণ বাঙালি পরিবারে মাটির তৈজসপত্র কিংবা মাটির হাঁড়ি পাতিল এসব কিছুর জায়গাটা একটা শুধুমাত্র প্রয়োজন এর জায়গায় সীমাবদ্ধ নয়। এটা একটা আবেগ এবং এটা একটি অনুভূতির জায়গা বলা চলে। কারণ আমরা যেহেতু মাটির মানুষ, যেহেতু মাটির সাথে সখ্যতা কিংবা যোগাযোগটা একটু বেশি।তাই বোধহয় ভালোলাগাটাও বেশি। আর মাটির হাঁড়িতে কোনো কিছু পরিবেশন করলে সেটার গুণগত মান বৃদ্ধি পায়।সে সাথে আসলে মাটির হাঁড়িতে কোনো কিছু পরিবেশন করলে সেটা দেখতেও বেশ সুন্দর লাগে। আর কোনো ঐতিহ্যপূর্ণ খাবার যদি ওই মাটির হাঁড়িতে পরিবেশন করা হয়। তাহলে তার সৌন্দর্য যেনো আরও বেশি বেড়ে যায়। কারণ ওই যে বললাম, আমাদের ওই শেকড়ের টান অর্থাৎ মাটির টান। আর পায়েস এবং উনার কবিতা নিয়ে তো না বললেই নয়,খুব ভালো হয়েছে।
ছবিটি @selinasathi1 এর ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে
ধন্যবাদ জানাই আমাদের কমিউনিটিকে এতো সুন্দর সুন্দর কোয়ালিটিফুল পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য। কারণ প্রতিটি পোস্টের বানান,মার্কডাউন,ছবি সবকিছুই বেশ সুন্দর ছিলো।আশা করছি ভবিষ্যৎ এও এমন আরো সুন্দর সুন্দর পোস্ট দেখতে পাবো।
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR