নারিকেলের ফোঁপরা আমার খুবই প্রিয় একটা খাবার
28 comments
বহুদিন পরে আজকে হঠাৎ সে জিনিসটি পেলাম । একটা সময় ছোটবেলায় খুব খেতাম এই জিনিস । আমাদের বাড়িতে ছোটবেলায় দেখেছি শীতকালে প্রচুর নারিকেল পাড়া হতো । আমাদের বাড়িতে প্রচুর নারিকেল গাছ ছিল । যখন নারিকেল পাড়া হতো তখন আমাদের উঠোনে পাহাড়ের মতো উঁচু হয়ে থাকতো অসংখ্য নারিকেল ।
পরবর্তীতে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সকাল থেকে সন্ধ্যে অব্দি শুধু নারিকেলের ছোবড়া ছাড়ানো, নারিকেল ভাঙা আর নারিকেল শাঁস কেটে বের করা হতো । ঝুনো নারিকেল, আধ ঝুনো নারিকেল আর কিছু ডাব ঝুনোর মাঝামাঝি নারিকেল পাড়া হতো । মূলত ঝুনো নারিকেলের শাঁস বের করে সেগুলো রোদে বেশ কেয়েকদিন ধরে শুকিয়ে তেলের ঘানিতে নিয়ে গিয়ে নারিকেল তেল বের করা হতো ।
এই ভাবেই হাজার হাজার নারিকেলের শাঁস বের করা দেখতাম আমরা উঠোনে দাঁড়িয়ে । এই সময় ঝুনো নারিকেলের পেটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফোঁপরা পাওয়া যেতো । এই ফোঁপরাগুলো বিরাট একটা ধামায় করে রাখতো আমাদের বাড়ির কিষানেরা । আর আমরা ছোটরা সেগুলো কাড়াকাড়ি করে খেতাম । তবে কয়েক ধামা ফোঁপরা হতো তাই খুব সামান্যই শেষ করতে পারতাম আমরা ।
বাকি ফোঁপরা দিয়ে প্রচুর মজাদার খাবার তৈরী করতো দিদিমা আর মা মিলে । ফোঁপরার মিষ্টি, ফোঁপরার পিঠা, ফোঁপরা ভাজা, ফোঁপরা দিয়ে ডিমেলি চিংড়ির মালাইকারি, ফোঁপরার টক ইত্যাদি । তবে আমার কাছে এমনি কাঁচা ফোঁপরাই ভালো লাগতো । হালকা নোনতা মিষ্টি ক্রিম স্বাদের এই নারিকেল ফোঁপরা যেন অমৃত ছিল আমাদের কাছে ছোটবেলায় । তবে মা বেশি খেতে দিতো না । বলতো পেট কামড়াবে বেশি খেলে ।
আজকে বহুদিন পরে আবার নারিকেল এর ফোঁপরা খেলাম । আঃ সেই স্বাদ !
আমাদের গ্রামে নারিকেলের ফোঁপরার লোকাল নাম ছিল "ফোল" বা "পোল" । শীতকালে নারিকেলের পোলের মতো আর কিছু এমন মজাদার খাবার ছিল আমাদের ছোটবেলায় । নারিকেলের ফোঁপরার মতোই স্বাদের ছিল তালের আঁটির শাঁস । ভাদ্র মাসের পাকা তালের আঁটি তাল খাওয়ার পরে একটা ভেজা স্যাঁতসেঁতে জায়গায় ডাঁই করে রাখা হতো । কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে সেই আঁটির থেকে শেকড় বের হতো । তবে আশ্বিন মাসে পুজোর সময়েও অনেকগুলোর শেকড় বেরিয়ে যেতো । তখন সেগুলো তুলে ভালো করে পরিষ্কার করে মাঝখান থেকে কেটে ফেললেই তালের আঁটির ফোঁপরা পাওয়া যেতো । এটার স্বাদও নোনতা মিষ্টি ক্রিম ক্রিম স্বাদের । দারুন লাগতো ।
আরেকটি জিনিস খেতাম আমরা শীতকালে । বর্ষাকালে আমাদের কাঠবাদাম গাছটায় প্রচুর কাঠবাদাম ফলতো । বাবা সেগুলো পেড়ে রাখতো অশ্বিন মাসে । এরপরে একটা বড় থলিতে করে রান্নাঘরের পিছনে একটা লাকড়ি ঘরের এক কোন রেখে দেয়া হতো সেই থলিটি । দু'মাস পরে যখন থলি থেকে সেই কাঠবাদাম গুলো বের করা হতো তখন তার গায়ের সবুজ মাংসল আবরণ শুকিয়ে ধূসর রং হয়ে গিয়েছে । দা দিয়ে হালকা আঘাত করলেই ফেটে দু'ভাগ হয়ে যেত । ভেতরে চিনে বাদাম এর মতো দানা থাকতো । আঃ কি সেই স্বাদ কাঠবাদামের । চীনা বাদামের চাইতে ১০ গুন্ বেশি স্বাদের ।
আর শীতকালে মামাবাড়ি গেলে গোলফল খাওয়া হতো । এই ফলের শাঁস খেতে একদম কচি তাল শাঁসের মতো । দেখতেও সেই রকম জলভরা । তবে গোলফলে নুনের পরিমান বেশি থাকতো ।
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)
তারিখ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
টাস্ক ৩৮৯ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : a5652169a010ef22c6d3f45d5ddcfa06068bd33b42db5322ac6e11027c60edfd
টাস্ক ৩৮৯ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Comments