New to Nutbox?

Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ২০

32 comments

rme
89
2 years agoSteemit3 min read

Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ২০


পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ১৯


শুভ অপরাহ্ন বন্ধুরা,

আশা করি সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন । বিটকয়েন মার্কেটে একটা হিউজ কারেকশন চলছে । এই জন্য গোটা ক্রিপ্টো কয়েন মার্কেটটাই ১০-২০% ধ্বসে গিয়েছে । স্টিমও সেই পথ ধরেছে । তবে এতে আমাদের চিন্তিত হওয়ার কিছুই নেই । মার্কেটে উত্থান পতন হর হামেশাই হয়ে থাকে । যত বেশি পাম্প , তত বেশি ডাম্প । আর ডাম্পিং না হলে পাম্পিং হওয়ারও চান্স নেই । সো, বি কুল ।

ব্লগিং করতে থাকুন । নিজে আনন্দ পান অন্যকেও আনন্দ দিন । শীত আর করোনা মিলে একটা বিশ্রী পরিবেশ তৈরী হয়েছে সবখানে ।বাঁচাই দায় ।খুব সাবধানে থাকবেন সবাই ।

আজকে আমার কলকাতা মিউজিয়াম পরিভ্রমণের ২০ তম পর্ব । আজকে নিম্নলিখিত প্রাণীর স্টাফ করা দেহ ও কঙ্কালের ফটোগ্রাফ থাকছে -

১. বেবুন, ওরাং ওটাং, গোরিলা, ম্যানড্রিল ও শিম্পাঞ্জী
২. সিল
৩. Anteater বা পিপীলিকাভূক
৪. বোর্ণিও ওরাং ওটাং
৫. ওয়েস্টার্ন গোরিলা
৬. ওয়ালরাস বা সিন্ধুঘোটক

তো চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আয়োজন কি আছে !


এপ বা বাঁদর জাতীয় প্রাণীদের কঙ্কাল । এখানে আছে - বেবুন, ওরাং ওটাং, গোরিলা, ম্যানড্রিল ও শিম্পাঞ্জী -র কঙ্কাল ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


সিল । এরা এমন এক প্রজাতির জীব যে অভিযোজিত হয়ে এদের সামনের দুই পা ফ্লিপার আর পেছনের দুই পা একটি লেজে পরিণত হয়েছে । এরা স্তন্যপায়ী প্রাণী । অথচ তিমি বা ডলফিনের মতো সমুদ্রে কাটাতে পছন্দ করে ।তবে এরা সমুদ্রে শিকার, খেলা ধুলা বা সাঁতার কাটলেও স্থল ছাড়া এরা বেঁচে থাকতে পারে না । সিল বহু প্রকারের আছে । প্রজাতিভেদে এরা লম্বায় ৩ ফুট থেকে শুরু করে ১০-১২ অব্দি লম্বা হয় এবং ওজনে ৪০-৪৫ কেজি থেকে শুরু করে ৩০০০-৪০০০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


একটি বেবুন (বাঁয়ে) ও একটি ম্যানড্রিলের(ডানে ) কঙ্কাল । বেবুন হলো আফ্রিকার একটি অতি পরিচিত বাঁদর জাতীয় প্রাণী । এরা প্রকৃতিতে বেশ হিংস্র স্বভাবের । মুখ ও লেজ অনেকটা সিংহের মতো দেখতে । ম্যানড্রিলও এক জাতের বাঁদর । আফ্রিকার কঙ্গোতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় এদের । এরা দেখতে অনেকটাই বেবুনের মতো এবং স্বভাবেও অনেকটাই হিংস্র ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


একটি Anteater বা পিপীলিকাভূক । মূলত ল্যাটিন আমেরিকায় এদের বসতি । মুখটা অদ্ভুত সুচালো আর মুখের ভিতর থাকে অনেক লম্বা একটি সুতোর মতো লিকলিকে জিব্বা । মুখের আকৃতি আর জিব্বার গড়ন এরকম হওয়ার কারণ হলো এরা পিঁপড়ার গর্ত থেকে পিঁপড়া ধরে ধরে খায় ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


বাঁ দিকের প্রাণীটা হলো বোর্ণিওর ওরাং ওটাং, বোর্ণিওর জঙ্গল এদের বাসস্থান । আর ডানদিকের প্রাণীটা হলো একটি ওয়েস্টার্ন গোরিলা, আফ্রিকার কঙ্গোয় এদের বসতি । বাঁদর জগতের সব চাইতে বৃহদাকার আর শক্তিশালী বাঁদর হলো এরা । মানুষের মাথার খুলি এদের দুই হাতের একটি মাত্র চাপেই একদম ডিমের খোলার মতো ভেঙে যেতে পারে । এতটাই শক্তিশালী হয় এরা ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


এটি হলো একটি ওয়ালরাস বা সিন্ধুঘোটক । বিশাল থলথলে দেহ, মুখ ভর্তি গোঁফ আর বিশাল বিশাল দুটি হাতির দাঁতের মতো দাঁত রয়েছে এদের । একটি পুরুষ সিন্ধুঘোটক সর্বোচ্চ ২,০০০-৩,০০০ কিলো গ্রামের হয়ে থাকে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


Comments

Sort byBest