কুইজ আমার খুবই ফেভারিট । স্কুলে পড়ার সময়ে প্রচুর কুইজ কনটেস্ট করতাম আমরা ক্লাসে নিজেদের মধ্যে । গর্ব করে বলতে পারি যে ম্যাক্সিমাম কন্টেস্টে আমিই উইনার ছিলাম । বিজ্ঞান, সাহিত্য আর প্রাণীজগৎ ছিল বেশি প্রিয় আমার কুইজ কন্টেস্টের বিষয়ে । খেলাধুলা-র বিষয়ে একটু কম পারতাম । আর ভূগোল এবং ইতিহাসে তেমন একটা পারতাম না । তবে অঙ্ক আর বুদ্ধি বিষয়ক কুইজ গুলোতে ছিলো ঈর্ষণীয় দক্ষতা ।
১. একজন ব্লগার একটার বেশি কমেন্ট করে কুইজ এর উত্তর দিতে পারবেন না ।
২. কমেন্ট এডিট করা যাবে না ।
৩. অন্যের উত্তর হুবহু কপি পেস্ট করা যাবে না ।
৪. আমার সন্দেহ হলে আপনার উত্তরের সোর্স জানতে চাইতে পারি ।
৫. গুগল সার্চ ইঞ্জিন এবং বই এর সাহায্য নেওয়া যাবে ।
১. প্রথম সঠিক উত্তরদাতা : $২০ এর কমেন্টে আপভোট
২. দ্বিতীয় সঠিক উত্তরদাতা : $১০ এর কমেন্টে আপভোট
৩. তৃতীয় সঠিক উত্তরদাতা : $৫ এর কমেন্টে আপভোট
০১. আচার্য জগদীশ চন্দ্র বোসের কোন বিখ্যাত যন্ত্রের সাহায্যে উদ্ভিদের যে প্রাণ আছে, তাদেরও যে সুখ দুঃখের অনুভূতি আছে সেটা প্রমাণ করেন ?
০২. পেনিসিলিনের আবিষ্কর্তা জলাতঙ্কের টীকা আবিষ্কার করেন সর্বপ্রথম । তিনি এক জন অল্প বয়সী বালকের উপরে এই টীকা সর্বপ্রথম প্রয়োগ করেন বালকটির বাবার প্রচুর অনুরোধের পর । কারো, তাঁর নিজের মনেই সন্দেহ ছিল যে এই টীকা মানব দেহে কার্যকর হওয়া নিয়ে । কিন্তু, অবাক ব্যাপার যে বালকটির প্রাণের আশা সবাই ছেড়ে দিয়েছিলো সে সুস্থ হয়ে ওঠে এই জলাতঙ্কের ইনজেকশনে । প্রশ্ন হলো আবিষ্কর্তার নাম কি এবং কোন প্রাণীর জলাতঙ্কের টিকা আবিষ্কার করেছিলেন তিনি ?
০৩. ডাইনোসর, লোমশ গন্ডার, স্যাবোর টুথড টাইগার, লোমশ হাতি ম্যামথ । প্রাগৈতিহাসিক এই জানোয়ারগুলো বর্তমান বিশ্বে সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত । অথচ, এমন কিছু জোরালো প্রমান মিলেছে যার ভিত্তিতে একদল প্রাণীতত্ববিদ ও গবেষকদের ধারণা এই সকল প্রাগৈতিহাসিক প্রাণী এখনো বিশ্বের অন্তত পাঁচটি স্থানে বিচরণ করছে যে স্থানগুলি এতটাই অগম্য যে কোনো সভ্য মানুষের পায়ের ছাপ পড়েনি এখনো । এই পাঁচটি স্থানের মধ্যে অন্তত দুটি স্থানের নাম বলতে হবে ।
০৪. ওপেনহাইমার আইনস্টাইনের পদার্থবিদ্যার ত্বত্তীয় সূত্রের আলোকে এটম বা পরমাণু ভাঙলে যে বিপুল পরিমান শক্তি নিগর্ত হয় এবং প্রলয়ঙ্কর ধ্বংসের সূচনা করে সেটি বুঝতে পেরেছিলেন । ম্যানহাটনের পরমাণু বোমা প্রজেক্টে তিনিই ছিলেন সর্বেসর্বা । মজার ব্যাপার হলো এই এটম ভেঙে পরমাণু বোমার বিধ্বংসী ক্ষমতার ইঙ্গিত তিনি পেয়েছিলেন একটি দার্শনিক গ্রন্থে । যদিও এটি একটি বিশেষ ধর্মের ধর্মগ্রন্থ, তবুও এটি বিশ্বে দার্শনিক বই হিসেবেই সমাদৃত । ম্যানহাটনের প্রথম পরমাণু বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণে তিনি এই গ্রন্থেরই একটি শ্লোক উচ্চারণ করেন এর ভয়াবহতা দেখে । বইটির নাম কি ? এটি তাঁর অত্যন্ত প্রিয় একটি গ্রন্থ ছিল এবং পুরোটাই মুখস্থ করেছিলেন ।
০৫. অস্ট্রেলিয়ায় সব সময় অদ্ভুত অদ্ভুত প্রাণী পাওয়া যায় । এমনই একটি অদ্ভুত প্রাণী আছে যাদের হাঁসের মতো ঠোঁট, মাছের মতো লেজ, কুকুরের মতো পায়ের আঙ্গুল, বিড়ালের মতো লোম আছে । এরা, উভচর প্রাণী । ডিম পাড়ে আবার বাচ্চাদের বুকের দুধ খাইয়ে পালন করে । অদ্ভুত এই প্রাণীটির নাম কি ?
০৬. ডোডোর মতো বিলুপ্ত । কথাটি অনেকেই বলে থাকে । এই ডোডো পাখি এক প্রকার ভারী, অতিকার উড্ডয়ন ক্ষমতাশূন্য পাখি ছিল । প্রশ্ন হলো কোন দ্বীপে ছিলো এদের আবাস এবং কি ভাবে এরা বিলুপ্ত হয় ?
০৭. "স্বর্গে ও মর্ত্যে এমন অদ্ভুত জিনিস আছে, হোরেশিও যা তুমি কল্পনাও করতে পারবে না ।" কার লেখা এটি ?
০৮. ঘোড়া দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুমায় আমরা জানি । কিন্তু, কোন স্তন্যপায়ী প্রাণী কখনোই ঘুমায় না ? তাদের ব্রেন অর্ধেক জাগ্রত থাকে সর্বদা ।
০৯. গ্রীক পুরানের এক দেবী যিনি সর্বদা নিজের রূপে নিজেই মোহিত থাকতেন । তাঁর নামানুসারে একটি বিশেষ মানসিক রোগ আছে । কি নাম সেটির ?
১০. পৃথিবীর কোন প্রাণীকে একবার উল্টিয়ে দিলে আর সোজা হতে না পেরে মারাই যায় শেষমেশ খাদ্যাভাবে ? এক সময় গ্যালাপোগাস দ্বীপের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এখানে নোঙ্গর করে জাহাজের মাঝি মাল্লার দল এই নিষ্ঠুর খেলায় মেতে থাকতো । এক এক দিনে তারা কয়েক হাজার নিরীহ প্রাণীকে এই ভাবে জাস্ট উল্টে রেখে হত্যা করতো । দিনের পর দিন না খেতে পেয়ে শেষমেশ শুকিয়ে মৃত্যু হতো হতভাগ্য প্রাণীদের ।
তারিখ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
TX ID : 3c52c7cf9713590a2a6d36fc40605e11cce9c9d3d96e8bc71d00b7887d2ef8e5
Account QR Code