ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস - উইক ৪৯ (১১-০৪-২৪ থেকে ১৭-০৪-২৪)

rme -


বিগত ১১ মে ২০২৩ থেকে "আমার বাংলা ব্লগের" একটা নতুন ইনিশিয়েটিভ ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস চালু হয়ে আজ উইক ৪৯ এ পদার্পণ করেছে । এই উদ্যোগটি এখনও অব্দি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মেই একদম নতুন ও ইউনিক । কি এই "ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস" ? আসুন জেনে নেওয়া যাক ।


ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস : প্রত্যেক সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে বুধবার অব্দি আমার বাংলা ব্লগের সকল এক্টিভ ব্লগারদের মধ্য থেকে এক জন আমার পছন্দের ব্লগার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়ে থাকে । ইনিই হন সেই সপ্তাহের "ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস" । এই নির্বাচনটি একদমই আমার নিজের খুশি মতো করা হয় । যাঁর লেখা আমার ভালো লাগে আমি তাঁকেই নির্বাচিত করি । প্রত্যেকের সামগ্রিক পোস্ট বিশ্লেষণ করে পোস্টের কোয়ালিটি, পোস্ট ভ্যারিয়েশন, বানান এবং মার্কডাউন এর ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করে এই বিচারপর্ব সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।


ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস - @joniprins


পুরস্কার : $২৫ এর দুটি আপভোট


ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস পুরস্কার


SERIALAUTHORUPVOTEPOST LINK
01@joniprins$25 UPVOTEপার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ভ্রমন-পঞ্চম পর্ব (পাহাড়ের মিষ্টি মিষ্টি আনারস খাওয়ার অনুভূতি)
02@joniprins$25 UPVOTEহিট অ্যালার্ট জারি, সারাদেশে হিটস্ট্রোকে মানুষ মারা যাচ্ছে

অথর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ

অথরের নাম - জনি প্রিন্স। স্টিমিট আইডি - @joniprins। জাতীয়তা- বাংলাদেশী।বাসস্থান - ঢাকা,বাংলাদেশ।পছন্দের কাজ গুলোর মাঝে অন্যতম ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া,সে সাথে এসব উনার স্বপ্ন ও।উনার লেখার হাত খুবই ভালো।স্টিমিট এ জয়েন করেছেন ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস এ।বর্তমানে উনার স্টিমিট জার্নির বয়স প্রায় ছয় বছর চলমান।


এক নজরে তাঁর বিগত সপ্তাহের পোস্টগুলি :

তাঁর ব্লগ সম্পর্কে আমার অনুভূতি :


সকালের নাস্তায় মিষ্টি জাতীয় বিভিন্ন খাবার... by @joniprins • 13/04/2024

বন্ধুরা সবাই জানেন যে বর্তমানে সবার কর্মস্থল,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বন্ধ রয়েছে। এই বন্ধ আরো দুই তিন দিন বলবৎ থাকবে।অনেকের কর্মস্থল মঙ্গল বুধবারের দিকে খুলবে,আর যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জব করে তারা হয়তো আগামী রবিবারে কর্মস্থলে যোগ দিবে। …

ঈদের সময় একটু ঘুরাঘুরি না হলে আসলে একেবারেই মজা হয় না। তবে যারা জব সেক্টরের সাথে যুক্ত রয়েছে। অর্থাৎ বিভিন্ন চাকরি-বাকরির সাথে যুক্ত রয়েছে। উনাদের জন্য আসলে ছুটি ম্যানেজ করাটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাই বিশেষ উৎসবগুলোর সময় ছুটি গুলো কাজে লাগানোটাই বুদ্ধিমানের কাজ। আর এই ছুটির দিনে একটু খাওয়া দাওয়া না করলে তো একেবারেই নয়। আমি মিষ্টি জাতীয় খাবার খুব কমই পছন্দ করি। তবে বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে অল্প সল্প মিষ্টি জাতীয় খাবার কিন্তু মুখের স্বাদটা একটু বদলে দেয়। তাই আমি সেসব অল্পসল্প খেয়ে থাকি। বিশেষ করে নকশি পিঠা তো আমাদের বাঙ্গালীদের জন্য বেশ প্রিয় একটি পিঠাই বলা চলে। পোষ্টের খাবার গুলো দেখে বেশ লোভনীয় মনে হয়েছে।

ছবিটি @joniprins এর ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে

আমাদের পহেলা বৈশাখ পালন... by @joniprins • 15/04/2024

গত কাল ঘুম থেকে উঠে মোবাইলটা হাতে নিয়ে ফেসবুক অপেন করে দেখি সবাই পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। যেদিকে যায় সেই দিকেই শুধু পহেলা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষ পালন করার উত্তেজনা। টাইম লাইনে দেখছি সবাই পান্তা ইলিশের ফটোগ্রাফি শেয়ার করছে। …

উনার এই পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব বেশি মজা পেলাম। আর আমি এই ধরনের পোস্ট পড়তে অনেক ভালোবাসি। যে সব পোস্টে নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতার সাথে একটু মজার স্বাদ ও পাওয়া যায়। আসলে এই ধরনের পোস্ট লিখতে আলাদা ব্যাপার লাগে। অর্থাৎ মনে আনন্দ থাকতে হয়,তবেই এতো মজার পোস্ট লেখা যায়। উনার এই কথাটা একেবারে ঠিক। বৈশাখ মাস আসলেই ইলিশ মাছের দাম অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়। আর আমিও পহেলা বৈশাখের দিন পান্তা ভাত দিয়ে ইলিশ মাছ খেয়েছি। এর স্বাদটা সত্যিই অন্য কোনো কিছুর সাথে মেলানো যায় না। যাকে বলে একেবারে অতুলনীয়। তবে এই জাটকা ইলিশ গুলো ও এভাবে কড়কড়া করে ভেজে খেতে কিন্তু ভালোই লাগে।

ছবিটি @joniprins এর ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে

২০০২ সালে ঘর ছেড়েছি...... by @joniprins • 19/04/2024

আমার এখনও স্পষ্ট মনে আছে। পাশের বাড়ির রাকিবার সাথে আমি প্রথম গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে গিয়েছিলাম। আমাদের গ্রামের প্রাইমারীর স্কুলটা আমাদের বাড়ি থেকে বেশি দুরে নয়। হেঁটে গেলে দশ মিনিটের মত সময় লাগবে। আর ছোট সময় যখন স্কুলে যেতাম তখন আধা ঘন্টা পয়তাল্লিশ মিনিটের উপরে সময় লাগতো। …

লেখাটা পড়ে মনের অজান্তেই কেমন একটা করে উঠলো। কারণ এই যে আমরা যারা আজীবন পরিবারের সাথে থাকার সুযোগ পেয়েছি কিংবা আমাদের যাদের সৌভাগ্য হয়েছে। আমরা তাদের কষ্টগুলো কখনোই বুঝবো না। এই যে উনার পোস্টে উনি উল্লেখ করেছেন,উনি বেশ ছোটবেলা থেকেই ঘর ছেড়েছেন। এটা যে একটা মানুষের জন্য কতোটা কষ্টকর, এটা সে ই বলতে পারবে। আমরা কেউ কখনোই উপলব্ধি করতে পারবো। না বিশেষ করে আমার কখনোই হোস্টেলে থাকতে হয়নি। অর্থাৎ সম্পূর্ণ পড়াশুনাটাই বাড়ি থেকে করেছি। কিন্তু কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পারছি যে, নিজের কমফোর্ট জোন ছেড়ে অন্য কোথাও বেড়ে উঠা টা আসলে কতোটা কষ্টের। কিন্তু মানুষের জীবনের খাতিরে অনেক কিছুই করতে হয়। উনার ব্যাপারটাও ঠিক তাই।

ছবিটি @joniprins এর ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে

কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি...... by @joniprins • 20/04/2024

বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়াতে প্রচুর গরম পড়েছে। আমরা সাধারনত ভারত বাংলাদেশের খোঁজখবর রাখি। শুনেছি বাংলাদেশ থেকে ভারতে গরমের পরিমান বেশি। গত কয়েকদিন যাবৎ আমাদের দেশের চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৪১ ডিগ্রীর উপরে তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে…

উনার ফটোগ্রাফি গুলোর বর্ণনাগুলো পড়ে একেবারেই যেনো মনটা তৃপ্ত হয়েছে। কারণ বেশ সুন্দর গুছিয়ে বর্ণনা গুলো লিখেছেন। বিশেষ করে ওই বৃদ্ধ ভিক্ষুকের কথাটি আমার কাছেও বেশ অন্যরকম লেগেছে। অর্থাৎ এই যে আমরা এতোটা গরমে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছি। আর এই রাস্তার মানুষগুলো কতো সহজেই কতো শান্তিতে ঘুমিয়ে পরে। যেটা আমরা অনেক সময় লাখ টাকার এসির নিচে শুয়েও শান্তিতে ঘুমাতে পারি না। হয়তো এই শান্তির ঘুমের জন্য দুশ্চিন্তা মুক্ত একটি মস্তিষ্ক লাগে,যেটা আমাদের নেই। কারণ যতো টাকা ততো চিন্তা। ওই যে একটা ছোটবেলায় গল্প পড়েছি না। সুখী মানুষের জামা আনতে বলেছিলো রাজার জন্য। আর সুখী মানুষ খুঁজে পাওয়া গিয়েছিলো পরে। তবে তার আবার জামা ছিলো না।

ছবিটি @joniprins এর ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে

পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ভ্রমন-পঞ্চম পর্ব (পাহাড়ের মিষ্টি মিষ্টি আনারস খাওয়ার অনুভূতি)...... by @joniprins • 22/04/2024

আমরা নৌকা দিয়ে পাহাড়ি এলাকায় গিয়ে বোদ্ধ পাড়া ও বোদ্ধ মন্দির পরিদর্শন করার পরে একটি উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় উঠলাম। সেখানে অনেক গাছগাছালি রয়েছে,বসার জায়গা রয়েছে। সেখানে গিয়ে বসে আমরা কিছুক্ষন রেস্ট নিলাম। অনেক পথ জার্নি করার পরে আমরা সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়লাম।…

বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি দারুন একটি জায়গা। এটা আমি বেশ অনেকবার শুনেছি এবং বিভিন্ন ছবিতে ওই পার্বত্য জেলাটি দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। তবে নিজে ঘুরে আসার খুব ইচ্ছে রয়েছে। কারণ শুনেছি বাংলাদেশের এই পার্বত্য জেলাটি খুবই সুন্দর এবং গ্রামীণ পরিবেশ। আর সেখানকার আনারসের ও বেশ গল্প শুনেছি। অর্থাৎ সাধারণ বাজারের আনারস গুলোর মতোন নাকি নয়, বেশ স্বাদের হয় এবং উনার পোস্ট পড়েও সেটা বেশ বুঝতে পারছি। এটা অবশ্য একেবারে স্বাভাবিক। কারণ সেখানে কোনো কেমিক্যাল দিয়ে কিংবা দ্রুত ভাবে ফল পাকানোর কোনো চেষ্টা করা হয় না। একেবারেই প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা ফলগুলোই বাজারে বিক্রি করা হয়। সে কারণেই সেখানকার ফল এর স্বাদ দ্বিগুণ হওয়াটাই স্বাভাবিক।

ছবিটি @joniprins এর ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে

সর্বোপরি আমি একটা কথা না বলে পারছি না। সেটা হচ্ছে উনার লেখার ধরন খুবই সুন্দর। আমি অনেকদিন পর এমন একটি ইউজার পেয়েছি। যার লেখার ধরন এতো ভালো লেগেছে আমার। সেই সাথে পোস্টের ছবি, পোস্ট এর কোয়ালিটি, মার্কডাউন এবং বানান সবকিছুই ছিলো একেবারে পারফেক্ট। আশা করছি ভবিষ্যতেও তিনি এই ধারা অব্যাহত রাখবেন এবং আমার বাংলা ব্লগের সাথেই যুক্ত থাকবেন।


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code



VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy





»»——⍟——««