বিগত ১১ মে ২০২৩ থেকে "আমার বাংলা ব্লগের" একটা নতুন ইনিশিয়েটিভ ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস চালু হয়ে আজ উইক ৫২ এ পদার্পণ করেছে । এই উদ্যোগটি এখনও অব্দি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মেই একদম নতুন ও ইউনিক । কি এই "ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস" ? আসুন জেনে নেওয়া যাক ।
ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস : প্রত্যেক সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে বুধবার অব্দি আমার বাংলা ব্লগের সকল এক্টিভ ব্লগারদের মধ্য থেকে এক জন আমার পছন্দের ব্লগার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়ে থাকে । ইনিই হন সেই সপ্তাহের "ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস" । এই নির্বাচনটি একদমই আমার নিজের খুশি মতো করা হয় । যাঁর লেখা আমার ভালো লাগে আমি তাঁকেই নির্বাচিত করি । প্রত্যেকের সামগ্রিক পোস্ট বিশ্লেষণ করে পোস্টের কোয়ালিটি, পোস্ট ভ্যারিয়েশন, বানান এবং মার্কডাউন এর ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করে এই বিচারপর্ব সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।
SERIAL | AUTHOR | UPVOTE | POST LINK |
---|---|---|---|
01 | @md-razu | $25 UPVOTE | ডাই: রঙিন কাগজ দিয়ে ফুল তৈরি |
02 | @md-razu | $25 UPVOTE | শৈশবে আম খাওয়ার স্মৃতিময় গল্প |
নাম মোঃ রাজু আহমেদ। ইউজার আইডি - @md-razu। পড়াশোনা করছেন বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে, মেকানিক্যাল এ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং করছেন। তিনি একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে তিনি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন সে সাথে উনার ভালোলাগার ঝুলিতে রয়েছে ফটোগ্রাফি করার রান্না করা বই পড়া কবিতা পড়া সহ ইত্যাদি।সেই সাথে উনি খেলাধুলা করতেও বেশ ভালোবাসেন। ইস্টিমেট প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়েছেন ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে। বর্তমানে স্টিমিট জার্নির বয়স প্রায় চার বছর+ চলমান।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি বরাবরই আমাকে খুব মুগ্ধ করে নযেমন পাল তোলা নৌকা থেকে আকাশ দেখা কিংবা নদীর তীরে দাঁড়িয়ে মেঘে ঢাকা আকাশ দেখা সত্যিই খুব দারুন একটি ব্যাপার। আর উনার ফটোগ্রাফির কথা যদি বলি। তাহলে এক কথায় অনবদ্য। কারণ এতো দারুন ফটোগ্রাফি আসলে সচরাচর দেখা যায় না বিশেষ করে নদীর পাড়ে দুটো নৌকা বাধা রয়েছে ওই ছবিটা সত্যিই অসম্ভব দারুন।বিশেষ করে আকাশের প্রতিচ্ছবিটি যখন পানিতে পরেছে, সে দৃশ্যটা দেখতেই যেনো একেবারে অপরূপ লাগছে। আর যে কোনো আগাছার ছবিও যে এতো সুন্দর হতে পারে। সেটা উনার ফটোগ্রাফি না দেখলে বুঝাই যেতো না। সব মিলিয়ে উনি দারুন ফটোগ্রাফি করতে পারেন।
ছবিটি @md-razu এর ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে
বাংলাদেশের মাওয়া ঘাটের ইলিশের কথা কে না জানে। তাই আমিও তার ব্যতিক্রম নই। আমিও টুকটাক বেশ অনেক পোস্ট, অনেক ছবি, অনেক ভিডিও দেখেছি এ বিষয়ে এবং এখানকার ইলিশ মাছ যে অনেক মজা সেটা উনার পোস্ট দেখেই বুঝতে পেরেছি। খাবারের জন্য কিছু কিছু জায়গা রয়েছে অনেক বেশি বিখ্যাত। ঠিক তেমনটাই বোধহয় ইলিশ মাছ ভাজা কিংবা ইলিশ মাছের আইটেমের জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত হলো মাওয়া ফেরিঘাট। আর ব্যাপারটা সত্যিই বেশ দারুন যে, একেবারে গভীর রাতে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব কিংবা আপনজনদের নিয়ে এভাবে ঘুরতে যাওয়া। আর এরপরে এতো দারুন মজাদার ইলিশ খাওয়া। আর ইলিশ মাছ তো আমার সবচেয়ে প্রিয়। আর ইলিশ মাছের লেজ ভর্তা যে কত মজার হয় সেটা তো আমরা সকলেই জানি। কখনো যদি সে দিকে যাওয়ার সুযোগ হয়। তাহলে অবশ্যই সেখানকার ইলিশ ট্রাই করে দেখবো।
ছবিটি @md-razu এর ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে
বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে শুটকি মাছ রান্না অনেক বেশি মজা হয়। যদিও আমার বাসার অনেক মানুষ এই শুটকি খেতে পছন্দ করে না। কিন্তু আমার আবার শুটকি অসম্ভব পছন্দ। বিশেষ করে একেবারে ভালো মানের শুটকিগুলোর গন্ধ টাই একেবারে আলাদা। আর তার সাথে যদি হরেক রকমের সবজি দেওয়া যায়। তাহলে তার স্বাদটাই অনেকটা বেড়ে যায়। বিশেষ করে শুটকির সাথে আলু, বেগুন, শিম এসব খেতে সবচেয়ে বেশি মজা লাগে। আর উনার রেসিপিতেও দেখলাম এই উপকরণ গুলোই ব্যবহার করা হয়েছে। সেই সাথে বেশি করে টমেটো দিলে তো তার স্বাদটাই একেবারে বদলে যায়। উনার রেসিপিটি দেখে বেশ লোভনীয় লেগেছে।দেখেই মনে হচ্ছে যেনো খেতে দারুন হবে।
ছবিটি @md-razu এর ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে
প্রতিটি দেশেই এমন একটা জেলা কিংবা জায়গা থাকে। যে জায়গাটি শুধুমাত্র কাজের জন্যই বিখ্যাত হয়। অর্থাৎ সবাই কাজের সুযোগের জন্যই সেই জেলা কিংবা সেই শহরে অবস্থান নেন। আর বাংলাদেশের ঢাকা শহরটাও তার ব্যতিক্রম নয়। সে সাথে উনার অনু কবিতাটির বেশ ভালো লেগেছে। কারণ উনার অনু কবিতাটি বাস্তবের সাথে খুব মিলে যায়। বাংলাদেশের কাছে ঢাকা শহর শুধুমাত্র একটি শহর নয়। অনেকের কাছে জীবন বদলের একটি জাদুর কাঠি, আবার অনেকের কাছে জীবননাশের পন্থা। উনার লেখার ধরণ বেশ ভালো ছিলো। তবে আমি উনাকে একটি ছোট সাজেশন দিতে চাই। সেটা হচ্ছে এই পোস্টটির লেখার পরিমাণ বেশ কম হয়ে গিয়েছে। আর অনু কবিতা লিখতে হলে অবশ্যই কয়েকটা কবিতা একসাথে লেখা উচিত অর্থাৎ অন্তত চারটা।
ছবিটি @md-razu এর ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে
মুরগির মাংস ক্যাপসিকাম দিয়ে খেতে ভালোই লাগে। কারণ ক্যাপসিকাম এমন একটা খাবার যেটা আসলে সচরাচর অনেক বেশি খাওয়া হয়। আর তাতে যদি টমেটো দেওয়া হয়। তাহলে স্বাদটাও একেবারে ব্যালেন্স হয়ে যায়। এই খাবারটি বেশিরভাগ সময় রেঁস্তোরাতে গিয়ে খাওয়া হয়। অর্থাৎ ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজের কলি কিংবা পেঁয়াজ সেই সাথে টমেটো একসাথে করে মুরগির মাংস ভুনা করলে স্বাদটা ভালো আসে। আর তার আগে যদি চিকেন টা একটু গরম তেলে ভেজে নেওয়া যায়। তাহলে কিন্তু স্বাদটা আরো বেশি ভালো আসে। কারণ তাহলে উপরের লেয়ারটা একটু শক্ত হয় সে কারণে। উনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে দারুন হয়েছে। সে সাথে একটি উল্লেখযোগ্য ব্যাপার না বললেই নয়। সেটা হচ্ছে, উনার রেসিপির ছবি গুলো বেশ পরিষ্কার এবং সুন্দর।
ছবিটি @md-razu এর ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে
উনার পোস্টের কোয়ালিটি, লেখার ধরণ,ছবি সবকিছুই খুব ভালো ছিলো।আশা করছি ভবিষ্যৎ এও তিনি এই কোয়ালিটি বজায় রাখবেন।সে সাথে আশা করি ভবিষ্যৎ এও উনি আমার বাংলা ব্লগের সাথে এভাবেই যুক্ত থাকবেন।
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR