বিগত ১১ মে ২০২৩ থেকে "আমার বাংলা ব্লগের" একটা নতুন ইনিশিয়েটিভ ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস চালু হয়ে আজ উইক ৪৮ এ পদার্পণ করেছে । এই উদ্যোগটি এখনও অব্দি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মেই একদম নতুন ও ইউনিক । কি এই "ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস" ? আসুন জেনে নেওয়া যাক ।
ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস : প্রত্যেক সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে বুধবার অব্দি আমার বাংলা ব্লগের সকল এক্টিভ ব্লগারদের মধ্য থেকে এক জন আমার পছন্দের ব্লগার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়ে থাকে । ইনিই হন সেই সপ্তাহের "ব্লগার অফ দা উইক : ফাউন্ডার'স চয়েস" । এই নির্বাচনটি একদমই আমার নিজের খুশি মতো করা হয় । যাঁর লেখা আমার ভালো লাগে আমি তাঁকেই নির্বাচিত করি । প্রত্যেকের সামগ্রিক পোস্ট বিশ্লেষণ করে পোস্টের কোয়ালিটি, পোস্ট ভ্যারিয়েশন, বানান এবং মার্কডাউন এর ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করে এই বিচারপর্ব সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।
SERIAL | AUTHOR | UPVOTE | POST LINK |
---|---|---|---|
01 | @emon42 | $25 UPVOTE | এসএসসি-১৯!! |
02 | @emon42 | $25 UPVOTE | কবিতা আবৃত্তি ;( সোনার তরী- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর )!! |
অথরের নাম - ইমন হোসেন। স্টিমিট আইডি - @emon42। তিনি একজন বাংলাদেশী। বর্তমানে পড়াশোনা করছেন। উনার পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে লেখালেখি করা এবং তিনি ফুটবল খেলা অনেক পছন্দ করেন। উনার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। সে সাথে উনার ফটোগ্রাফীর হাত ও খুব ভালো।স্টিমিট এ জয়েন করেছেন ২০২০ সালের আগস্ট মাস এ।বর্তমানে উনার স্টিমিট জার্নির বয়স প্রায় ৪ বছর চলমান।
উনার এই লেখাটি সত্যি কথা বলতে মন ছুঁয়ে গিয়েছে। কারন এই লেখার সাথে আমি নিজেকে খুব ভালোভাবে মেলাতে পারছি। কারণ আমারও একই অবস্থা, প্রকৃতি থেকে যেনো আমরা অনেক বেশি দূরে সরে যাচ্ছি দিনকে দিন। আর এই দূরে সরে যাওয়াটা মোটেও আমাদের সকলের জন্য মঙ্গলজনক নয়। কারণ প্রকৃতির সান্নিধ্যে একটা মানুষ যতো বেশি থাকবে। ততই তার অন্তরের কলুষিত ব্যাপারটা দূরে সরে যাবে এবং একটা মানুষের মনে পজেটিভ বিষয়গুলো আরো বেশি করে জেগে উঠবে। তবে আমার যেমন ল্যাপটপে সারাদিন দিন কাটে। কিন্তু আমি তাও মাঝেমধ্যে চেষ্টা করি যে গ্রাম থেকে যেনো একটু ঘুরে আসা যায়। আর উনার পোষ্টের ছবিগুলো দেখেও বেশ ভালো লেগেছে। কারণ প্রকৃতির ছবি বরাবরই ভালো লাগার।
ছবিটি @emon42 এর ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে
উনার লেখাটা পড়ে বেশ খারাপ লাগলো। কারণ ঈদ কিংবা পূজাতে আসলে সকলেই নিজের পরিবারের সাথে অনেক বেশি আনন্দ উল্লাস করি এবং এই উৎসবগুলো আসলে পরিবার ছাড়া একেবারেই অসম্পূর্ণ। কারণ আমরা আর বাকি সারাটা বছর ই কাজে ডুবে থাকি। কিন্তু এই সময়গুলোতে যেহেতু ছুটি থাকে। সেহেতু পরিবারের সাথে কাটানো টাই সবচেয়ে আনন্দের মনে হয়। কিন্তু যাদের আসলে বাবা-মা কেউই নেই, তাদের ঈদ কিংবা পূজা বলতেও কিছু নেই। সে সাথে আমি উনার সাথে একেবারেই একমত। আমাদের চারপাশে এমন কোনো মানুষ যদি থেকে থাকে। তবে আমাদের উচিত আমাদের উৎসবগুলোতে তাদের শামিল করা। কারণ এতে হয়তো তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
ছবিটি @emon42 এর ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে
উনার পোস্টের সেই বাচ্চাটির জবাবটি আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে। আসলে আমার নিজেরও বক্তব্য তাই। অর্থাৎ আমিও বোকা হতে চাই। কারণ মানুষ রীতিমতো আমাকে সারাক্ষণই ঠকাতে থাকে এবং এটা আমার কাছে বর্তমানে একেবারে সচরাচর সাধারণ একটা ব্যাপার হয়ে গিয়েছে। তবে আমার একটা জায়গা থেকেই বেশ ভালো লাগে যে, আমি আসলে কাউকে ঠকাই না। কারণ লোক ঠকানো ব্যাপারটা আমার কাছে খুব বেশি ছোটলাকি মনে হয়। আর বোকা মানুষ হয় সবসময় নিজেরাই ঠকে যায়। কিন্তু কাউকে ঠকানোর মতো চিন্তা ভাবনা কিংবা কুটবুদ্ধি তাদের মাথায় আসে না। তাই খারাপ চালাক হওয়ার চেয়ে বোকা হওয়াটাই শ্রেয়।
ছবিটি @emon42 এর ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে
উনার এই কথাটি একেবারেই ঠিক। আসলে আমরা আমাদের এই ব্যস্ততা পূর্ণ জীবনে কারো বিশেষ দিনগুলো মনে রাখার কথা যেনো আমরা ভুলেই গিয়েছি। আর আমাদের এই ডিভাইসের যুগ আসার পর থেকে তো আরও বেশি মনে রাখার প্রয়োজন মনে করি না। কারণ ওই যে আমাদেরকে আমাদের ডিভাইস, আমাদের বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটই তো মনে করিয়া দেয় ই। এতে হয়তো আমাদের জীবনযাত্রা অনেকটা সহজ হয়ে গিয়েছে। আমাদের মেমোরি হয়তো আজ অনেকটা বেচে যাচ্ছে। কিন্তু সবচেয়ে কমে যাচ্ছে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও যত্ন। কারন আমার মতে শুধুমাত্র একটা নোটিফিকেশন এর জন্য যদি একটা মানুষের বিশেষ দিন মনে রাখতে হয়। তবে সে ক্ষেত্রে সেই মানুষগুলোর মধ্যে ভালোবাসা নামক কোনো কিছু সৃষ্টি ই হয়নি।
ছবিটি @emon42 এর ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে
প্রথমে এই লেখাটি পড়ে আমি যে কথাটি বলতে চাই। সেটা হলো একাকীত্বকে উপভোগ করা ভালো। কিন্তু একাকীত্বকে সারা জীবনের জন্য বরণ করে নেওয়া কখনোই ভালো নয়। কারন আপনি যখন অনেক বেশি সময় ধরে একা থাকবেন। তখন দেখবেন যে আপনার নিজের মধ্যে অনেকগুলো খারাপ চিন্তা ভাবনার উদয় হচ্ছে। যেগুলো আপনি চাইলেও সরাতে পারছেন না। আর সেই জায়গায় যদি আপনি অন্য কারো সাথে থাকেন। তাহলে দেখবেন যে সেই সব নেগেটিভ চিন্তাভাবনা গুলো আপনার একটু কম হয় মাথায় আসছে। লেখাটি পড়ে আমার কিছুটা খারাপ ই লাগলো। কারণ ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। আর এই ঈদের দিনটাতে মানুষের একটু ঘুরাঘুরি করা উচিত। কিন্তু মানুষের মন সব সময় এক রকম থাকে না। আর পরিস্থিতির সাথে সবসময় তাল মিলিয়ে চলাও যায় না। তবে আমি এটা আশা করছি যে, উনি দ্রুতই একাকীত্ব কাটিয়ে উঠবেন। কারণ জীবন একটাই।
ছবিটি @emon42 এর ব্লগ থেকে নেওয়া হয়েছে
সব মিলিয়ে উনার লেখাগুলোর ধরণ আমার কাছে বেশ অন্যরকম মনে হয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যৎ এও তিনি এই ধারা বজায় রাখবেন। সে সাথে উনার পোস্টের ছবি,মার্কডাউন,বানান সব কিছুই বেশ ভালো ছিলো। আশা করি ভবিষ্যৎ এও তিনি আমার বাংলা ব্লগের সাথে এভাবেই যুক্ত থাকবেন।
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR