পাটগ্রাম পৌর কুটির শিল্প মেলায় একদিন

riyadx2 -

আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
শনিবার, ২১ ই ডিসেম্বর ২০২৪ ইং

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে পাটগ্রাম পৌর কুটির শিল্প মেলায় কাটানো সময়ের অনুভূতি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।


শীতকাল চলে আসলেই আমাদের দেশের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মেলার আয়োজন করা হয়।আর এই মেলা গুলো আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষ খুবই সুন্দর ভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করে। আপনারা হয়তো সকলেই অবগত আছেন যে, বেশ কিছুদিন আগে আমরা পাটগ্রাম ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমাদের পাটগ্রাম ঘুরতে যাওয়ার মূল কারণ হলো পাটগ্রাম উপজেলার বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করা। আমরা সেদিন সারাদিন ধরে পাটগ্রাম উপজেলার বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করে পাটগ্রাম উপজেলার মধ্যে প্রবেশ করি। পাটগ্রাম উপজেলার মধ্যে প্রবেশ করে জানতে পারলাম, সেখানে এক বিশাল কুটির শিল্প মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা এটা জানতে পেরে বেশ খুশি হলাম। এরপর আমরা সকলেই মিলে কুটির শিল্প মেলার দিকে হাঁটতে শুরু করলাম।

আমরা অল্প কিছু সময়ের মধ্যে পাটগ্রাম কুটির শিল্প মেলায় পৌঁছে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখতে পারলাম, ফুল সাউন্ড দিয়ে গান বাজনা চলছে। আমরা প্রবেশ করার জন্য টিকিট কাউন্টারে গিয়ে চারজন চারটি টিকেট কেটে নিলাম।টিকেট মূল্য ছিল খুবই কম, দশ টাকা মাত্র। এরপর আমরা সকলেই মিলে এক সাথে মেলার মাঠে প্রবেশ করলাম। মেলার মাঠে প্রবেশ করে দেখতে পারলাম, প্রায় সব ধরনের জিনিস পত্রের দোকান বসেছে।আর এই মেলা টি অল্প জায়গায় মধ্যে বসেছিল তাই, খুব একটা বেশি দোকান পাট ছিল না। আমরা প্রথমে মেলার মধ্যে প্রবেশ করে সকলে মিলে বেশ কয়েকটি পিক তুললাম।

এরপর আমরা মেলার চারদিকে ঘোরাঘুরি করতে শুরু করলাম। এরপর আমরা সকলেই মিলে মেলার দোকান গুলোতে ঘোরাঘুরি করছিলাম। বেশিরভাগ দোকান গুলো ছিল কুটির শিল্প জিনিস পত্রের। যেহেতু এই মেলা টি কুটির শিল্প কে কেন্দ্র করে, তাই এই মেলার মধ্যে বেশির ভাগ দোকান ছিল কুটির শিল্পের। আমরা সকলেই মিলে কুটির শিল্পের জিনিস গুলো দেখছিলাম। দেখতে বেশ ভালোই লাগছিলো আমার কাছে।রং বেরঙের জিনিস পত্রের জিনিস গুলো দেখতে একটু বেশি ভালো লাগে। তবে, আমরা কেউ এই মেলা থেকে কোন ধরনের কেনাকাটা করিনি। কেননা, সেদিন আমাদের ঘোরাঘুরি করতে করতেই টাকা শেষ হয়েছিল।

যেহেতু আমরা মেলার মধ্যে প্রবেশ করেছি, তাই আমরা ভাবলাম কিছু খাওয়া দাওয়া করে বেরিয়ে যাবো। এরপর আমরা চলে গেলাম মেলার একদম পশ্চিম দিকে, সেখানে রয়েছে বেশ কয়েকটি খাবারের দোকান। আমরা একটি খাবারের দোকানে প্রবেশ করলাম সেখানে আমরা খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবার চলে আসি মেলার মাঠে। মেলাটি খুবই ছোট পরিমাণ জায়গার মধ্যে হওয়ায় তেমন একটা বেশি দোকান বসতে পারেনি। যাইহোক, তবুও ঐ এলাকার মানুষ খুবই সুন্দর ভাবে এই মেলা টি উপভোগ করার চেষ্টা করেছে। আমরা যেহেতু দুপুর বেলায় এই মেলার মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলাম, তাই তখন তেমন একটা ভীড় ছিল না এই মেলার মধ্যে। তবে, বিকাল বেলা এবং সন্ধ্যা বেলা এই ধরনের মেলা গুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভীড় জমে যায়।

মেলা থেকে বের হওয়ার সময় আমরা চলে গেলাম একটি ঘড়ির দোকানে একটি ঘড়ি কেনার জন্য। আমরা ঘড়ির দোকানে গিয়ে দেখতে পারলাম অনেক ধরনের ঘড়ি রয়েছে।ঘড়ি গুলো দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। আমাদের একটি ঘড়ি পছন্দ হয়েছিল, কিন্তু দামে তাদের সাথে আমাদের মিলে নাই।তাই আমরা আর সেদিন এই মেলা থেকে ঘড়ি কিনতে পারিনি। এরপর আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে মেলার মধ্যে ঘোরাঘুরি করলাম। মেলার মধ্যে ঘোরাঘুরি করে আমরা মেলা থেকে বের হয়ে আসি। আমরা সকলেই মিলে মেলার মধ্যে খুবই সুন্দর সময় উপভোগ করছিলাম। আমরা মেলা থেকে বের হয়ে পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে চলে আসি।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ক্যামেরা পরিচিতি
DeviceiPhone 11
Camera11+11 MP
CountyBangladesh
LocationRangpur, Bangladesh

Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।