কৃষি খাতে প্রযুক্তির ছোঁয়া

riyadx2 -

আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
রবিবার, ১৭ ই নভেম্বর ২০২৪ ইং

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে কৃষি খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে কিছু তথ্য শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।


প্রাচীন কালের তুলনায় বর্তমান সময়ের কৃষি খাতে অনেক বড় ধরনের একটি পরিবর্তন হয়েছে।আর এই পরিবর্তন টি কৃষি খাত কে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রাচীন কালের মানুষ কৃষি কাজ গুলো করার জন্য যত বেশি পরিশ্রম করতেন কিন্তু বর্তমান সময়ে কৃষি কাজ গুলো করতে এতো বেশি পরিশ্রম করার প্রয়োজন হয় না। প্রাচীন কালের কৃষি কাজে প্রতিটি কৃষক হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে ফসল উৎপাদন করেছিল। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে কৃষি কাজ অনেক বেশি সহজ করে দিয়েছে। আমরা এখন খুব সহজেই মাঠের মধ্যে ফসল উৎপাদন করে ফসল বাড়িতে তুলতে পারছি।আর যতই দিন যাচ্ছে ততই কৃষি খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। আশা করছি ভবিষ্যতে এর থেকে ও বেশি সহজ হবে কৃষি কাজ গুলো।এর ফলে প্রতিটি অনেক বেশি লাভবান হতে পারবে।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের আমন ধান কাটা এবং মাড়াইয়ের কাজ চলছে।আর এই গুলো জমি থেকে কাটা এবং মাড়াইয়ের জন্য বেশ কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে ধান মাড়াইয়ের জন্য আমাদের দেশের মধ্যে বেশ কয়েক ধরণের মেশিন বের হয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে এই মেশিন গুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই এপার বাংলা এবং ওপার বাংলার মানুষ খুব সহজেই ধান মাড়াইয়ের কাজ করছে।এতে করে অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বেশি কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হচ্ছে। প্রাচীন কালে মানুষ তাদের দু হাত দিয়ে সকল ধরনের কাজ করতো। কিন্তু প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সব কিছু পরিবর্তন এনে দিয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরে আমাদের গ্ৰামের মধ্যে ধান কাটা এবং মাড়াইয়ের কাজ চলছে।ধান কাটা এবং মাড়াইয়ের জন্য বিভিন্ন জন মানুষ বিভিন্ন মেশিন ব্যবহার করে ধান মাড়াইয়ের কাজ করছে।

সেদিন আমাদের ধান মাড়াই করার জন্য একটি নতুন মডেলের মেশিন ব্যবহার করা হয়েছিল। এই মেশিনের মাধ্যমে খুব সহজেই ধান মাড়াইয়ের কাজ করছিল। এই মেশিন টি অন্যান্য সব মেশিনের তুলনায় একটু ভিন্ন। এই মেশিনের মধ্যে একটি করে ধানের আটি ঢুকে দিলে আটির ধান গুলো এক পাশ দিয়ে বের হয় আবার অন্য দিক দিয়ে ধান গুলো বের হয়।আর এই ধান গুলো সাথে সাথে বস্তা ভর্তি করার জন্য একটি সুবিধা রয়েছে। কিন্তু অন্যান্য সব মেশিনের মধ্যে দেখা যায়, ধানের আটি ঢুকে দিলে পোয়াল হয়ে বের হয়ে আসে।এটা আমার কাছে তেমন একটা ভালো লাগে না। কেননা, প্রতিটি কৃষকের ঘরে আটির প্রয়োজন অনেক টা বেশি। প্রাচীন কালে যখন কোন কৃষক ধান মাড়াই করার কাজ করতেন তখন হাত দিয়ে ধান মাড়াই করা হতো।

হাত দিয়ে ধান মাড়াই করতে অনেক বেশি সময় লেগে যেত। কিন্তু বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির আবির্ভাবের ফলে খুবই কম সময়ের মধ্যে ধান মাড়াই করা সম্ভব হচ্ছে। এটি আসলেই আমাদের কৃষকদের জন্য খুবই উপকারী একটি জিনিস।আমি আমার দাদাদের কাছে থেকে শুনেছিলাম, অতীত কালে যখন ধান কাটা এবং মাড়াইয়ের কাজ করা হতো তখন এক সিজনের ধান কাটা এবং মাড়াইয়ের কাজ সম্পন্ন হতে প্রায় দেড় থেকে দুই মাস সময় লেগে যেত। এটি আসলেই প্রতিটি কৃষকের জন্য খুবই কষ্টকর একটি ব্যাপার ছিল। প্রযুক্তি আবির্ভাবের ফলে মানুষ খুবই কম সময়ে এবং অল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন করতে সম্ভব হচ্ছে। আস্তে আস্তে কৃষি খাতে প্রযুক্তির অগ্ৰসর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আমাদের মাঠ গুলোর মধ্যে যখন ধান কাটা এবং মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়ে যায়, তখন মাঠ গুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মেশিনের ও আবির্ভাব ঘটে। এই এই সব মেশিনের সাহায্যে ধান কাটা এবং মাড়াইয়ের কাজ করা দেখতে বেশ ভালোই লাগে আমার কাছে। শুধু যে ধান কাটা এবং মাড়াইয়ের মাঝে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে, এটা না। বর্তমান সময়ে প্রতিটি কৃষি খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। তবে, বিশেষ করে ধান চাষে একটু বেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।আর ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি গুলোর ব্যবহার আরো অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।ফলে আমাদের দেশের কৃষি অনেক দূরে এগিয়ে যাবে।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ক্যামেরা পরিচিতি
DeviceiPhone 11
Camera11+11 MP
CountyBangladesh
LocationRangpur, Bangladesh

Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।