আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফী শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।
- উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি টি দেখতে পারছেন, এটি মূলত সিলেটের জাফলং থেকে ধারণ করা একটি ফটোগ্রাফি।এটি বাংলাদেশের সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার অন্তর্গত একটি পর্যটন কেন্দ্র। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ এই জায়গা সম্পর্কে অবগত আছেন। এছাড়াও আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের ও বেশ কিছু মানুষ এই জায়গা সম্পর্কে অবগত আছেন। যারা এই জায়গার মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলেন , তারা হয়তো ফটোগ্রাফি টি দেখেই ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন।আর যারা এখন পর্যন্ত এই জায়গার মধ্যে ঘুরতে যাননি, তারা অবশ্যই এই জায়গার মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। আমরা বেশ কিছু দিন আগে আমাদের বেশ কয়েকজন বন্ধু বান্ধব সহ এই জায়গার মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলাম। জায়গা টি বেশ সুন্দর।
রংপুর টু ঢাকা হাইওয়ে রোড |
- উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি টি দেখতে পারছেন, এটি মূলত রংপুর টু ঢাকা হাইওয়ে রোড। বাংলাদেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি বড় বড় হাইওয়ে রোড রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রংপুর টু ঢাকা হাইওয়ে রোড। যারা উত্তর বঙ্গের মধ্যে বসবাস করে থাকেন, তারা হয়তো প্রত্যেকেই এই রোড সম্পর্কে অবগত আছেন। বিশেষ করে যারা রংপুর বিভাগের তারা সকলেই এই রোডের মধ্য দিয়ে চলাচল করেছেন।আর যারা এখন পর্যন্ত কোন দিন রংপুর আসেননি, তারা চাইলে ঘুরতে আসতে পারেন আমাদের প্রাণপ্রিয় রংপুরে।আমি বেশ কিছুদিন আগে মিঠাপুকুর থানার মধ্যে একটি কাজের মধ্যে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমার কাজ শেষ করে বাড়ি আসার পথে এই ফটোগ্রাফি টি ধারণ করেছিলাম।
- উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি টি দেখতে পারছেন, এটি মূলত শীতকালের কুয়াশা ভেজা সকালের ফটোগ্রাফি। আপনারা হয়তো সকলেই অবগত আছেন যে, বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের উত্তর বঙ্গের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে কুয়াশা পড়ছে।আর দীর্ঘ কয়েক দিন ধরে সূর্যের কোন দেখা নেই। বিশেষ করে যারা উত্তর বঙ্গের মধ্যে আছেন, তারা হয়তো প্রত্যেকেই এই বিষয়ে অবগত আছেন।আমি গত দুই দিন আগে সকাল বেলা কলেজের মধ্যে যাওয়ার সময় ধারণ করেছিলাম। সেদিন একটু বেশি পরিমাণে কুয়াশা পড়েছিল।আর এই কুয়াশায় দুর থেকে তেমন কিছু দেখা যাচ্ছিল না।আর এমন কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশের মাঝে ঘোরাঘুরি করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনাদের কাছে এমন কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশের মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে কেমন লাগে, তা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন আমাকে।
- উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি টি দেখতে পারছেন, এটি মূলত সিলেটের সাদা পাথরের ফটোগ্রাফি। আপনারা হয়তো সকলেই সিলেট সাদা পাথর জায়গা টি সম্পর্কে অবগত আছেন।এটি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ নামক এলাকায় অবস্থিত। বাংলাদেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি বড় বড় পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে সিলেট সাদা পাথর জায়গা টি অনেক বেশি সুন্দর। যারা এই জায়গার মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলেন, তারা হয়তো প্রত্যেকেই এই বিষয়ে অবগত আছেন।আর যারা এখন পর্যন্ত কোন দিন এই জায়গার মধ্যে ঘুরতে যাননি, তারা অবশ্যই এই জায়গার মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আসলে এই সব জায়গায় ঘোরাঘুরি করলে মন মস্তিস্ক একদম ফ্রেশ হয়ে যায়।
- উপরে আপনারা যে ফটোগ্রাফি টি দেখতে পারছেন, এটি মূলত সূর্যাস্তের ফটোগ্রাফি । শীতকালে সূর্যাস্তের দৃশ্য টি অনেক বেশি ভালো লাগে।আর বিশেষ করে গ্ৰাম এলাকার প্রাকৃতিক দৃশ্যের মধ্য থেকে সূর্যাস্তের ফটোগ্ৰাফি টি দেখতে একটু বেশি ভালো লাগে। আপনারা হয়তো সকলেই জানেন যে, শীতকালে গ্ৰাম এলাকার সৌন্দর্য অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়।আমি বেশ কিছুদিন আগে বিকাল বেলা আমাদের মাঠের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে ঘুরতে গিয়ে দেখতে পারলাম পশ্চিম দিকে সূর্যটি অনেক বেশি সৌন্দর্য ধারণ করেছে।আর তৎক্ষণাৎ আমি এই ফটোগ্রাফি টি সেখান থেকে ধারণ করেছি এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। ফটোগ্রাফি টি কেমন হয়েছে তা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন আমাকে।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।