অনলাইন গেইম ফ্রী ফায়ার কেড়ে নিলো একটি সতেজ প্রাণ

riyadx2 -

আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
মঙ্গলবার, ১৭ ই ডিসেম্বর ২০২৪ ইং

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে ফ্রী ফায়ার কিভাবে এক জন ছেলের জীবন কেড়ে নিয়েছে, তা শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।


সোর্স

আপনারা হয়তো কম বেশি সকলেই ফ্রি ফায়ার অনলাইন গেইম সম্পর্কে অবগত আছেন। বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের একটি জনপ্রিয় গেইম হচ্ছে ফ্রি ফায়ার গেইম।আর এই গেইমের কারণে আজ পৃথিবী থেকে কোটি কোটি ছাত্র ছাত্রীরা ধ্বংসের পথে অগ্ৰসর হচ্ছে। আপনারা হয়তো সকলেই এই গেমটি সম্পর্কে অবগত আছেন।করণা ভাইরাসের সময়ে কম বেশি সকল ছাত্র ছাত্রীরা বাড়িতে বসে ছিল।আর তারা অ্যাসাইনমেন্ট এর নাম করে বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে মোবাইল কিনে এবং সেই মোবাইলে ফ্রী ফায়ার নামক টি ইন্সটল করে।গ্ৰামের এলাকায় এই কাজ টি একটু বেশি ঘটেছিল।এক পর্যায়ে তারা এই গেইমের মধ্যে অনেক বেশি আসক্ত হয়ে পড়ে।আর এই গেইমের আসক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়া খুবই কঠিন একটা ব্যাপার।

আপনারা হয়তো সকলেই ভাবতে পারেন, কিভাবে ফ্রী ফায়ার গেইমের মধ্যে মানুষ মারা যায়! এটি তো একটি ভার্চুয়াল অনলাইন গেইম। আসলে এই প্রশ্নের উত্তর টি পাওয়ার জন্য আমার পুরো পোস্ট টি পড়তে হবে। যাইহোক, বেশ দুই বছর আগে আমাদের গ্ৰামের এক ছেলে ফ্রি ফায়ার নামক এই গেইমের জন্য একটি সতেজ প্রাণ হারিয়েছিলেন।তার মৃত্যুর আজ দুই বছর পূর্ণ হলো। তাকে আজ আমার খুবই মনে পড়ছে। আসলে সে আমার এক প্রিয় আনকেল ছিল। বেশিরভাগ সময় আমরা একসাথে ঘোরাঘুরির মাধ্যমে কাটিয়েছিলাম।গত দুই বছর আগে যখন আমি তার মৃত্যুর কথা শুনতে পারি তখন আমি অনেক বেশি ভেঙে পড়ে গিয়েছিলাম।

আপনারা যারা জীবনে একবার হলেও ফ্রি ফায়ার নামক গেইম টি খেলেছেন কিংবা অন্যের খেলা দেখেছেন, তারা হয়তো প্রত্যেকেই অবগত আছেন যে, ফ্রি ফায়ার গেইমের মধ্যে নৃত্য নতুন ফিচার যুক্ত করতে হলে কিছু পরিমাণ ডায়মন্ড টপ আপ করতে হয়।আর এই ডায়মন্ড গুলো ব্যবহার করে এই গেইমের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের জিনিস পত্র ক্রয় করা যায়।সেই অনুপাতে আমার আনকেল একজন ফ্রি ফায়ার আসক্ত মানুষ ছিলেন।সে সব ফ্রি ফায়ার গেইমের মধ্যে টপ আপ বিভিন্ন ধরনের জিনিস পত্র ক্রয় করতেন। আমিও তার খেলা মাঝে মাঝে দেখতাম। যাইহোক, হঠাৎ একদিন সে ফ্রী ফায়ার নামক গেইমের মধ্যে ডায়মন্ড টপ আপ করার জন্য তার বন্ধুর কাছে বাইকের মাধ্যমে যাচ্ছিলেন।

আর সে ছিল একজন নতুন বাইক ড্রাইভার। সবেমাত্র নতুন বাইক কিনেছে।তার বন্ধুর কাছে ডায়মন্ড টপ আপ করতে যাওয়ার পথে সে একটি ভ্যানের সাথে মারাত্মক ভাবে এক্সিডেন্ট করে এবং মেডিকেল নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই সে পরলোক গমন করেন।আমি যখন শুনতে পেয়েছিলাম যে, সে আর পৃথিবীতে নেই, তখন আমার কাছে অনেক বেশি খারাপ লেগেছিল। কেননা, আমরা সব সময় ছোট বেলা থেকেই এক সাথে ঘোরাঘুরি করতাম।এক সাথে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করতাম।আর সে ছিল বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান।তার বাবা মা তাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন।আর তার বিয়ের কথা ও চলছিলো।তার বাবা মা দুজনেই বৃদ্ধ লোক।

তার দুনিয়া থেকে চলে যাওয়ার কথা তার বাবা মা শুনতে পেরে অনেক বেশি ভেঙ্গে পড়ে যায়। আসলে ভেঙ্গে পড়ে যাওয়ার এ কথা। যেহেতু তাদের একমাত্র আদরের সন্তান ছিল। এখান থেকে একটি জিনিস শিক্ষা নেয়া যায়, সেটি হচ্ছে বাইক চালানোর সময় খুবই সাবধানতা অবলম্বন করে বাইক রাইডিং করতে হবে এবং যত গুলো অনলাইন গেইমের মধ্যে আসক্তি রয়েছে, তার সব গুলো থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তাহলেই জীবন সুন্দর হবে।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।