আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
রবিবার, ১৫ ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং
আপনারা হয়তো এখন পর্যন্ত অনেকেই হ্যামেস্টার কমব্যাট সম্পর্কে অজানা রয়েছেন।হ্যামেস্টার কমব্যাট হচ্ছে টেলিগ্ৰাম বট দ্বারা পরিচালিত একটি মিনি গেইম।এই গেইমের মধ্যে বেশ কিছু উপায়ে হ্যামেস্টার কমব্যাট এর নিজস্ব কয়েন আর্নিং করা যায়।যেমন, হাতের আঙ্গুল দিয়ে বার বার ট্যাপ করে, বিভিন্ন ধরনের সোসাল মিডিয়ার ছোট ছোট টাস্ক গুলো পূরণ করে কয়েন অর্জন করা যায়। বর্তমান সময়ে হ্যামেস্টার কমব্যাট এর মতো টেলিগ্ৰামের মধ্যে বেশ কিছু মিনি গেইম রয়েছে, সেগুলো সব গুলোই হ্যামেস্টার কমব্যাট এর মতোই।আমি হ্যামেস্টার কমব্যাট টেলিগ্ৰাম কমিউনিটির মাধ্যমে জানতে পারলাম, তারা তাদের নিজস্ব টোকেন টি টন নেটওয়ার্কের উপর ডিপ্লয় করে বিভিন্ন ধরনের এক্সচেঞ্জের মধ্যে লিস্ট করবে।আরো একটি এনাউন্সমেন্ট পারলাম যে, তাদের এই টোকেন টি ২৬ শে সেপ্টেম্বর লিস্টিং এর তারিখ।
দীর্ঘ তিন মাস ধরে আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে হ্যামেস্টার কমব্যাট নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা চলছে। বিশেষ করে গ্ৰাম এলাকার টং দোকান গুলোর মধ্যে যুবক ছেলে মেয়েরা এই গেইম নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা ও সমালোচনা করছে। আবার অনেকেই এই গেইম নিয়ে অনেক বড় ধরনের স্বপ্ন দেখছেন। যেমন: এই গেইম এর টাকা দিয়ে গাড়ি করবো, বাড়ি করবো কিংবা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করবো।আমি এই রকম কথা গুলো আমাদের এলাকার বিভিন্ন ধরনের জায়গা থেকে বেশ কিছু দিন থেকে শুনে আসছিলাম। কিন্তু জিনিস টা আমি এখন পর্যন্ত ভালো ভাবে বুঝতে পারছিলাম না, কেন তারা এই মিনি গেইম নিয়ে এতো এতো স্বপ্ন দেখছে।আদৌ কি তাদের স্বপ্ন গুলো পূরণ হবে! এগুলোই ভাবছি বেশ কিছু দিন ধরে আমি।
আপনি একটি জিনিস লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন, একজন রিক্সা চালক থেকে শুরু একজন বাস ড্রাইভার পর্যন্ত এই গেইমের মধ্যে আসক্ত হয়ে পড়ছে। হয়তো তারা কোন এক স্বপ্ন দেখে এই গেইম গুলো খেলছেন।এই গেইমটি সকলের নিকট ছড়িয়ে পড়ার মূল কারণ হলো, গুজব। আসলে আমরা বাঙ্গালীরা গুজবে বিশ্বাসী। আমরা কোন একটি বিষয় যাচাই বাছাই না করেই সেই বিষয়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ি। একটি জিনিস লক্ষ্য করলে আপনি আরো ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন বিষয়টি, সেটি হচ্ছে এই গেইম খেলতে কোন যোগ্যতা লাগে না। সেজন্য মূর্খ মানুষ থেকে শুরু করে অনেক বৃদ্ধ বয়সের লোক পর্যন্ত এই গেইম টি খেলছেন। শুধু মাত্র আঙ্গুল দিয়ে চাপলেই কয়েন অর্জন হচ্ছে। আসলে টাকা উপার্জন যদি এতো সহজ হতো তাহলে, মানুষ টাকার জন্য নিজের জীবন কে উৎসর্গ করতেন না।
বর্তমান সময়ে হ্যামেস্টার কমব্যাট এর ইউজার সংখ্যা প্রায় একশো মিলিয়ন এর কাছাকাছি। তাদের কে যদি তারা এক ডলার করে পে করে তাহলে তাদের একশো মিলিয়ন ডলার চলে যাবে। আসলে আমার মতে তারা কখনোই এতো পরিমাণ ডলার ইউজার দের কে পেমেন্ট করতে সক্ষম হবেন না। কেননা, একশো মিলিয়ন ডলার হিসাব করলে বাংলাদেশী টাকায় অনেক। একটি প্রজেক্টের যদি তারা এয়াড্রপ অ্যালোকেশন এ একশো মিলিয়ন ডলার দেয় তাহলে পরবর্তী কাজ গুলো করতে তাদের কি পরিমাণ খরচ হবে, সেটা আপনারাই একবার চিন্তা করে দেখুন। আসলে আমরা বাঙ্গালী জাতি, আমাদের এক্সপেক্টেশন সব সময় অনেক বেশি থাকে। একটি টোকেন লঞ্চ করতে হলে, আমার জানা মতে, অনেক গুলো স্টেপে ডলার খরচ করতে হয়, যেমন: এক্সচেঞ্জ লিস্টিং, লিকুইডিটি অ্যাড, কমিউনিটি এয়াড্রপ ইত্যাদি।
তারা যদি তাদের ইউজার দের কে পেমেন্ট করে, তাহলে তারা অবশ্যই পেমেন্টের অনেক গুলো ক্রাইটেরিয়া নিয়ে আসবে। আমার মতে তারা এমন কিছু করতে পারে, যেমন: এয়ারড্রপ পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট একটি এমাউন্টের কয়েন থাকতে হবে, তাহলে এয়ারড্রপ এ এলিজেবল হবে।আর যদি নির্দিষ্ট এমাউন্টের কয়েন না থাকে তাহলে এয়ারড্রপ এ নট এলিজিবল। এছাড়া এর বাইরে ও ক্রাইটেরিয়া যোগ করতে পারেন, যেমন: যারা দীর্ঘদিন ধরে এই গেমটি খেলছেন, শুধু তারাই এয়ারড্রপ পাবেন।আর বাকিরা সব নট এলিজিবল। আমার ধারণা এমন কিছু নিয়ম তারা করতে পারে। এটা শুধু মাত্র আমার একটি ধারণা। আপনাদের সকলের ধারণ কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Vote@bangla.witness as witness