বন্ধুর এইচএসসি রেজাল্ট উপলক্ষে মিষ্টিমুখ

riyadx2 -

আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বৃহস্পতিবার, ২৪ ই অক্টোবর ২০২৪ ইং

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে বন্ধুর এইচএসসি রেজাল্ট উপলক্ষে মিষ্টি খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।


আপনারা হয়তো সকলেই অবগত আছেন, যে বেশ কিছুদিন আগে আমাদের দেশের মধ্যে এইচএসসি সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। এবছর পরীক্ষায় সকলেই বেশ ভালোই ফলাফল অর্জন করছে।তবে, পূর্বের তুলনায় এবছর পাশের হার কিছুটা কম। জিপিএ ফাইভ এর সংখ্যা অন্যান্য ব্যাচের তুলনায় কিছুটা বেশি এই বছর। আমাদের একটি জিনিস প্রচলিত রয়েছে যে, রেজাল্ট ভালো হলে মানুষ কে মিষ্টিমুখ করা।এই প্রচলন টি দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসছে। আশা করছি ভবিষ্যতে ও এই প্রচলন টি বজায় থাকবে। বিশেষ করে গ্ৰাম এলাকার মধ্যে এই মিষ্টিমুখ করা প্রচলন টি একটু বেশি। তবে, বেশিরভাগ খুশির দিন কিংবা সময়ে মিষ্টিমুখ করানো হয়ে থাকে। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল, এটিও একটি খুশির খবর।তাই এই খুশি সকলের মাঝে ভাগাভাগি করার জন্য মিষ্টিমুখ করানো হয়ে থাকে।

আপনারা হয়তো মনে করতে পারেন, আমি পড়ছি অনার্সে আর আপনার বন্ধু এখনো এইচএসসিতে কেন? আসলে আমার বন্ধু বেশ কিছু সমস্যার কারণে এক বছর গ্যাফ দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তবে , এক বছর গ্যাফ দেয়ার পর ও সে এবছর জিপিএ ফাইভ অর্জন করছে।তবে, আমরা দুজন ছোট বেলা থেকেই এক সাথে লেখা পড়া করছিলাম। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হ ওয়ার পর থেকে আমরা আলাদা হয়ে যাই। মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করে আমরা আমাদের পছন্দের প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে ভর্তি হয়েছিলাম।আর আমার বন্ধু রংপুর শহরের মধ্যে একটি বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসসি সমমান পরীক্ষা দেয়। তবে, আমি উপজেলা পর্যায়ের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসসি সমমান পাস করি।

যাইহোক, সেদিন আমরা বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে রংপুর শহরের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমরা বেশ কিছু কাজ শেষ করে চলে যাই আমার বন্ধুর ম্যাসে। আসলে যার এতোক্ষণ ধরে আলোচনা করলাম সে ম্যাসে থাকে এবং সে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাডমিশনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।ম্যাসে গিয়ে তার সাথে বেশ কিছুক্ষণ সময় বিভিন্ন ধরনের গল্প করলাম। গল্প শেষে সে তার রেজাল্ট এর বিষয়ে বলে। এরপর আমরা তার কাছে তার রেজাল্টের মিষ্টি খাওয়ার জন্য অনুরোধ করলাম। প্রথমে সে আমাদের কে মিষ্টিমুখ করতে ইচ্ছুক ছিল না। পরবর্তীতে আমরা তার কাছে থেকে জোর করে মিষ্টি খাওয়ার জন্য রাজি করলাম। আসলে, বন্ধুবান্ধবদের মাঝে এরকম করাটা স্বাভাবিক বিষয়।

এরপর আমরা মিষ্টি কেনার জন্য চলে গেলাম রংপুর দর্শনা মোড়ে। রংপুর দর্শনা মোড় তার ম্যাসের একদম পাশেই।তাই আমরা সকলে মিলে এক সাথে চলে গেলাম সাইদ হাসান সুইটস এন্ড দধি ভান্ডারে।সাইদ হাসান সুইটস এন্ড দধি ভান্ডারের মিষ্টি গুলোর বেশ সুনাম রয়েছে। আমরা গিয়ে সেখানে প্রায় তিন ধরনের মিষ্টি একত্রিত করে এক কেজি পরিমাণ নিয়ে নিলাম। আমরা এর আগে ও বেশ কয়েকবার সাইদ হাসান সুইটস এন্ড দধি ভান্ডারের মিষ্টি খেয়েছিলাম। যাইহোক, এরপর দোকানদার আমাদের কে মিষ্টি গুলো প্যাকেট করে দেয়। আমরা বিল পেমেন্ট করে মিষ্টির প্যাকেট টি নিয়ে চলে গেলাম আবার আমার বন্ধুর ম্যাসে।

ম্যাসে এসে আমার মিষ্টির প্যাকেট টি খুললাম। প্যাকেট টি খোলার সাথে সাথেই আমি একটি মিষ্টি মুখে দিলাম। আসলে মিষ্টি আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার, যদিও অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া ক্ষতিকর। এরপর এক এক করে আমার সকল বন্ধু মিষ্টি খাওয়া শুরু করে দেয়। আমরা বেশ দারুন ভাবে মিষ্টিমুখ করছিলাম সেদিন।আমি সেদিন প্রায় আটটির অধিক মিষ্টি খেয়েছিলাম। আসলে, আমার ছোট বেলা থেকেই মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে।আমি আমাদের গ্ৰামের মধ্যে মিষ্টি খাওয়ার চ্যালেঞ্জ করে টাকা জিতে নিয়েছিলাম। যাইহোক, আপনারা সকলেই আমার বন্ধুর জন্য দোয়া করবেন সে যেন তার সকল ধরনের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।আর আমি আশা করছি সে তার স্বপ্ন গুলো পূরণ করতে পারবে।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ক্যামেরা পরিচিতি
DeviceiPhone 11
Camera12+12 MP
CountyBangladesh
LocationRangpur, Bangladesh

Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।