আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
শনিবার, ১৬ ই নভেম্বর ২০২৪ ইং
রমনা ফেরি ঘাট বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় অবস্থিত।আর আপনারা হয়তো অনেকেই অবগত আছেন যে, কুড়িগ্রাম জেলা টি একটি নদীমাতৃক জেলা। কুড়িগ্রাম জেলার চারপাশে দিয়ে বেশ কয়েকটি নদী প্রবাহিত হয়েছে।আর এই প্রতিটি নদী আকারে বিশাল। আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে বেশ কিছু জেলায় অনেক বড় বড় নদী রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কুড়িগ্রাম জেলা। কুড়িগ্রাম জেলা টি ছোট হলেও নদীর দিক থেকে এই জেলা টি অনেক জেলার থেকে এগিয়ে রয়েছে। এই বিষয়ে হয়তো আমরা ইতোমধ্যে সকলেই অবগত আছি। বিশেষ করে যারা কুড়িগ্রাম জেলার আশেপাশে বসবাস করে থাকেন, তারা হয়তো প্রত্যেকেই এই বিষয়ে অবগত আছেন। যাইহোক, রমনা ফেরি ঘাট টি ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে অবস্থিত।আর বাংলাদেশের মধ্যে যে কয়েকটি বড় বড় নদী রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র নদ।
বেশ কিছুদিন ধরে ভাবছিলাম কোথাও ঘুরতে যাবো, কিন্তু যাওয়ার মতো তেমন একটা জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অবশেষে আমরা আমাদের গ্ৰামের বেশ কয়েকজন ছেলেরা সহ চিলমারী রমনা ফেরি ঘাটে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করি। আসলে আমরা প্রায় প্রায় আমাদের গ্ৰামের ছেলেরা সহ বিভিন্ন ধরনের জায়গায় ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আমাদের গ্ৰামের প্রতিটি ছেলের সাথে আমার বন্ডিং বেশ ভালো। যাইহোক, আমরা আমাদের গ্ৰামের বেশ কয়েকজন ছেলে বের হয়ে পড়লাম চিলমারী রমনা ফেরি ঘাট যাওয়ার জন্য। সেখানে মূলত আমরা বাসের মাধ্যমে চিলমারী উপজেলা পর্যন্ত গিয়েছিলাম। আমাদের রংপুর থেকে চিলমারী যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি বাস রয়েছে। আমরা রংপুর থেকে ডিরেক্ট চিলমারী উপজেলায় পৌঁছাই।
চিলমারী উপজেলা থেকে রমনা ফেরি ঘাট যাওয়ার জন্য আমাদের কে অটোরিকশা ব্যবহার করতে হয়েছিল। কেননা, চিলমারী উপজেলা থেকে রমনা ফেরি ঘাটে কোনো ধরনের বাস চলাচল করে না। এরপর আমরা চিলমারী উপজেলায় খাওয়া দাওয়া করলাম। কেননা, রমনা ফেরি ঘাটে গেলে আর খাওয়ার সময় হবে না। যাইহোক, খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমরা একটি অটোরিকশা নিয়ে চলে গেলাম রমনা ফেরি ঘাট। চিলমারী উপজেলা থেকে রমনা ফেরি ঘাটের দুরুত্ব খুবই কম। চিলমারী উপজেলা থেকে রমনা ফেরি ঘাট যেতে আমাদের প্রায় দশ মিনিট সময় লেগেছিল।আর ভাড়া ও খুবই কম ছিল।
আমরা রমনা ফেরি ঘাটে প্রবেশ করে দেখতে পারলাম, রমনা ফেরি ঘাটের মধ্যে বেশ অনেক টা মানুষের ভীড় জমে গিয়েছে।আর আমরা যেহেতু সেখানে বিকাল বেলা গিয়েছিলাম, তাই একটু বেশি মানুষের ভীড় ছিল।আর বিকাল বেলা বিভিন্ন জায়গায় থেকে এই ফেরি ঘাটে মানুষ ঘুরতে আসেন।ফেরি ঘাট টি দেখতে বেশ ভালোই লাগছিলো। কেননা, ফেরি ঘাটের সৌন্দর্য টা কিছু টা হলেও কক্সবাজারের মতোই। তবে, ধরা যায় এটি মিনি কক্সবাজার। যদি ও বা এখন পর্যন্ত কোন দিন কক্সবাজার যাওয়া হয়নি। যাইহোক, এরপর আমরা চলে গেলাম ফেরি ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা ফেরি গুলোর উপরে। সেদিন সেখানে এক সাথে দুটো ফেরি দাঁড়িয়ে ছিল।আর ফেরি দুটি আকারে বিশাল বড়।ফেরি গুলোর উপরে উঠার পর ব্রহ্মপুত্র নদ কে একদম সাগরের মতো দেখা যাচ্ছিল।
আমরা বেশ কিছু সময় ফেরির উপরে ঘোরাঘুরি করলাম এবং ফেরির একদম উপরে উঠে পড়লাম। ফেরির উপর থেকে পুরো নদী কে একটি বিশাল সমুদ্র সৈকত মনে হচ্ছে। আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে সমুদ্রের বিশাল সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। এরপর আমরা ফেরি থেকে নিচে নেমে পড়লাম। নিচে এসে দেখতে পারলাম ফেরি ঘাট টি সুন্দর করে সাজানোর জন্য কাজ চালাচ্ছে। হয়তো আর অল্প কিছু সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে। তখন রমনা ফেরি ঘাটের সৌন্দর্য আরো অনেক টা বৃদ্ধি পাবে। তবে, আমি এর আগেও এই জায়গার মধ্যে একবার এসেছিলাম, কিন্তু ফেরি ঘাটের সৌন্দর্য এতো বেশি ছিল না। আসলে, যতই দিন যাচ্ছে ততই বেশি ফেরি ঘাটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Device | iPhone 11 |
---|---|
Camera | 11+11 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness