বিলুপ্ত প্রায় জলাশয় (প্রথম পর্ব)

ritzy-writer -

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


আমরা যখন ছোটো ছিলাম তখন আমাদের মহল্লায় প্রায় পাঁচ-ছয়টি পুকুর ছিলো। সংখ্যাটা হয়তো আরও বেশি হতে পারে। এর ভিতরে দু তিনটি পুকুর ছিলো বিশাল বড়। যার ফলে আমাদের ছোটবেলায় কখনো পুকুরে গোসল করার ইচ্ছা হলে সেটা সাথে সাথেই পূরণ করতে পারতাম। বেশ কিছুদিন থেকেই চিন্তা করছিলাম মেয়েটাকে সাঁতার শেখানো দরকার। কিন্তু চিন্তা-ভাবনা করেও সাঁতার শেখানোর মতো আশেপাশের কোন পুকুরের অস্তিত্ব পেলাম না।


আমাদের সময়ে মফস্বল শহর গুলিতে পর্যাপ্ত জলাশয় ছিলো। আর এখন আমাদের পুরো মহল্লায় একটা ছোট ডোবাও নেই। পুকুর তো অনেক পরের ব্যাপার। বর্তমানে আমাদের দেশে এই বিষয়টা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। দেশের শহরাঞ্চলে জলাশয়ের পরিমাণ আশঙ্কা জনক হারে কমে গিয়েছে। তবে এই সমস্যা তো একদিনে হয়নি। দিনের পর দিন ধীরে ধীরে প্রত্যেকটা জলাশয় বসতবাড়িতে পরিণত হয়েছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন যে জলাশয় গুলো ছিলো সেগুলো তো আগেই ভরাট হয়েছে। আর সরকারি যে জলাশয়গুলো ছিলো সেগুলোও প্রায় হারিয়ে যাওয়ার পথে।


এখন যখন দেশের বেশিরভাগ শহর প্রায় জলাশয়শূন্য হয়ে গিয়েছে তখন সবার টনক নড়েছে। কিন্তু এই সমস্যা তো একদিনে তৈরি হয়নি। দিনের পর দিন অবৈধ দখলের কারণে দেশের শহরাঞ্চলে জলাশয় গুলো সব হারিয়ে গিয়েছে। শুধু যে পুকুরগুলি হারিয়ে গিয়েছে তা নয়। শহরের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া শাখা নদীগুলো এখন দখল এবং দূষণে মৃতপ্রায়। কিছুদিন আগে আমাদের দেশে বেশ কয়েকটা বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এই অগ্নিকাণ্ডের আগুনগুলি নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের লোকজনদেরকে গলদখর্ম হতে হয়েছে। যখন আগুন নেভানো শেষ হয়েছে তখন তারা প্রত্যেকেই বলেছে পর্যাপ্ত পানির উৎসের অভাবে আগুন নিভাতে দেরি হয়েছে।



আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90

---|---

স্থান | ফরিদপুর


ধন্যবাদ