আমার জীবনের একটা স্পেশাল মূহুর্ত

rituamin -

আসসালামু আলাইকুম,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই সুস্থ আছেন। ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

আজ আমি আপনাদের সাথে আমার জন্মদিনের কেক কাটার মূহুর্ত শেয়ার করছি। গত কষ্ট তো শেয়ার করেছিলাম আমার মেয়ের জন্মদিনে কেক কাটার মুহূর্ত। আজ আমারটা শেয়ার করার পালা।

আমার জন্মদিনের কয়েকদিন আগে আমার ফুফাতো বোন দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছে।আমার মন অনেক খারাপ ছিল।আমার তেমন ভাবে মনেও ছিল না জন্মদিনের কথা।কিন্তু কিছু মানুষ যে আমার জন্মদিনের কথা মনে রাখবে এটা ভাবতেই পারি নি।প্রথমত বৌদি আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায়।তারপর সারাদিন আমার কিছু কিছু বন্ধু উইশ করছিল।কিন্তু বিগত সময়ে যতটা ভালো লাগা কাজ করছিল এবার তা হয় নি।আমার বোনের কথা সারাদিনই মনে পড়ছিল।

তবে আমার জামাই আমাকে উইশ করেনি। কিন্তু সে যে আমার জন্মদিন মনে রেখেছে এটাও আমি ভাবতে পারিনি। আমি ভেবেছিলাম এবার হয়তো ভুলে গেছে কিন্তু প্রত্যেক জন্মদিনে এসে আমাকে কিছু না কিছু সারপ্রাইজ দিয়ে থাকে বিয়ের পর থেকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয় নি। সন্ধ্যার পর বাইরে গিয়ে আমার জন্য কেক নিয়ে এসেছে আর ফুল এনেছে । ও যে মনে করে এসব কিছুই এনেছে আমিতো আশাই করিনি। ইচ্ছে করছিল না যে কেকটা কাটি কিন্তু আমার মেয়ে সে তো অনেক কিছু বোঝে কেক দেখে তো পাগল হয়ে গেছে। সে কিভাবে কতক্ষণ একেকটা কাটবে এজন্য অস্থির হয়ে গেছে।আমার তেমন কিছু ভালো লাগছে না তা কোনভাবে বোঝাতে পারছি না। অনেকট বাধ্য হয়ে আমাকেও তাদের সাথে যোগ দিতে হয়েছিল।

তবে এবারের জন্মদিনে একজন স্পেশাল মানুষ আমাদের সাথে এই প্রথম ছিল তিনি হচ্ছেন আমার শাশুড়ি মা। আমার জন্য কেক এনেছে দেখে খুশি হয়েছিলেন।তাকে সাথে নিয়ে কেক কেটে সবাইকে দিলাম।আমার ছেলে তো ক্রিম দিয়ে পুরো শরীর মাখিয়ে ফেলেছে। আমিও দিয়েছিলাম ফুরফুরা শরীরে লাগিয়ে একেবারে ভূত হয়ে গিয়েছিল।

এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ধন্যবাদ সবাইকে।