কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। আজ শনিবার। একাই অফিস করতে হয়েছে। তবুও বলা যায় আজ একটু দ্রুতোই আমাদের সার্ভিস শেষ হয়েছে। পরে আবার বাইকটা একটু দেখালাম। বাসায় এসে খাওয়া দাওয়া করে এই লিখতে বসলাম। যদিও ব্যস্ততার কারণে মাঝে মাঝেই পোস্ট গ্যাপ হয়ে যাচ্ছে। তবুও চেষ্টা করে যাচ্ছি সময় সুযোগ পেলেই পোস্ট করে ফেলার।
আমি আসলে খাওয়া পাগল একজন মানুষ। প্রচন্ড খাই আমি বলতে গেলে। এমনো হয় যখন বাইক ছিলো না তখন আমি ৫ টাকা ভাড়া বাঁচাতে ২ কিলোমিটার রাস্তা হাঁটতাম। আর হাঁটতে হাঁটতে ৩০ টাকা খেয়ে ফেলতাম 🤣🤣🤣। এখন যে বাইক নেওয়ার পর এমনটা করিনা বিষয়টা এমন নয়। এখনো করি। তবে অন্য ভাবে। একটু উদাহরণ দেই। তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে আপনাদের। আমাদের এরিয়া থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে হচ্ছে এক চাপটি পিঠার দোকান। মানে অনেক এলাকা ঘুরে যেতে হয়। ওনার চাপটির দাম আগে ছিলো ৫ টাকা প্রতি পিছ। এখন দাম হয়েছে ১০টাকা পিছ অবশ্য। তবে কিছু করার নাই। যাই হোক। তো আমি আর আমার এক বন্ধু আছে শুভো। দুজন মিলে দুই বাইকে ১০০ টাকার তেল পুড়ায়ে যাই ১০ টাকার চাপটি খাইতে। হেহে এবার বুঝেন আমি কেমন খাওয়া পাগল। এর জন্য অনেক ফুলে গিয়েছি অবশ্য। কোনো মতেই খাওয়া কন্ট্রোল করতে পারছিনা। প্রতিদিন ভাবি ডায়েট করবো। কিন্তু আর হয়ে উঠেনা। বাসায় গেলেই ভাত খেয়ে ফেলি অনেক গুলো। আমার ডায়েট করার কথা আর মনে থাকেনা। খাবার খাওয়ার পর আফসোস হয়। কেনো খেলাম এতো গুলো ভাত। এই তো আজকেও অফিসে ভেবেছি বাসায় এসে কিছু খাবোনা। কিন্তু ঠিকি খেয়ে নিলাম। এখন আবার আফসোস হচ্ছে 😂😂😂।
তো ফেসবুক এ কিছুদিন ধরেই এড আসতো একটা ফুডকার্ট এর। যার নাম ছিলো ফ্লেভিংস। নামটা যতটা ইউনিক তার থেকে ইউনিক ছিলো ওদের মটকা মিট বক্স এর রেসিপিটা। সাধারনত মিট বক্স এ মিট আইটেম এর সাথে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর ওয়েজেস দিয়ে ভরা থাকে। তবে ওদের মিট বক্স এ নাকি শুধু মিট আইটেম গুলোই থাকে। যেমন চিকেন, চিকেনবল, চিকেন সসেজ। আর সব থেকে বেশি যেটা ভালো লাগছে ওরা প্রচুর পরিমানে চিজ ব্যবহার করে সেখানে। মোজারেলা চিজ এ ভরপুর থাকে। তাই ভিডিও আসলেই আমারো খুব মন চাইতো খেয়ে আসি গিয়ে। কিন্তু একা মানুষ কাওরে পাইনা সাথে। বন্ধুদের সাথে দুইবার প্ল্যান করেও যাওয়া হয়নি। তো গতকাল ছিলো শুক্রবার। আর আমি ডিউটি করে ছিলাম। ৮ টা ১০ এর দিকে বাসায় ফিরতে থাকি। তো মাঝ রাস্তায় যখন মহাখালী পৌছালাম তখন মনে হলো আজ একাই চলে যাই । ফ্লেভিংস থেকে ঘুরে আসি। ওদের খাবারটাও চেখে আসি। যেই ভাবা সেই কাজ। আমি সৈনিক ক্লাব দিয়ে ঢুকে গেলাম । একদম মিরপুর ১০ এ চলে গেলাম। সেখানে হোপ ইন্টারনেশনাল স্কুলের পাশেই ছিলো ওদের ফুডকার্ট।
আমার লক্ষ্যই ছিলো মিট বক্স খাওয়ার। তাই গিয়ে অনেক ভির সামলে অর্ডার দিতে সক্ষম হই। প্রচন্ড ভির ছিলো সেখানে। আমি অবাক হই। এরা সবাই নিশ্চই আমার মতন ফেসবুক এ রিভিউ দেখে আসছে। হাহা। যাক আমি বসার জায়গা পাইনি। তাই একটা মিট বক্স অর্ডার করলাম। যেটির দাম ১৮০ টাকা । আগেই বিল দিতে হলো। এরপর আমাকে একটা টোকেন দিলো। বিলের কপিও বলা চলে। এরপর অপেক্ষা। অনেক অপেক্ষার পর হাতে পেলাম কাঙ্ক্ষিত সেই মটকা মিট বক্স । উপরে চিজ এ ভরপুর। সাথে মেয়োনিজ আর সস এর একটা ছোট্ট বক্স দিয়েছে। সত্যি খেতে দারুণ ছিলো। তবে দাম হিসেবে আমার কাছে কোয়ান্টিটি একটু কম মনে হয়েছে। যাক কোনো আলু ছিলোনা। তবুও পরিমানটা আরো একটু বেশি হতে পারতো। তবে স্বাদ এ ১০ এ ১০ পাওয়ার মতন ছিলো। খাওয়া শেষে বাসায় চলে আসি।
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR