মানুষের ভেতরের রূপ চেনা খুবই কঠিন//পর্ব-২

rayhan111 -

আসসালামু আলাইকুম/🌺

হ্যা লো বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভাল আছি। আমি @rayhan111 🇧🇩 বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ থেকে।


আমাদের এই সমাজে অনেক ভালো মানুষ রয়েছে। যারা ভাল মানুষের মুখোশ পরে থাকে, কিন্তু তাদের অন্তরে জঘন্যতম একটা মানুষ বসবাস করে। আর এই সকল মানুষকে চেনা খুবই কষ্টকর হয়ে যায়। আসলে যে মানুষ খারাপ সে যদি সবার সাথে খারাপ ব্যবহার করে তাহলে মানুষ তাকে চিনতে পারে। যে সে একজন খারাপ মানুষ। কিন্তু ভালো মানুষের মুখোশ পরে যারা সমাজের মধ্যে থাকে তারা সবচাইতে ভয়ানক। এই মানুষগুলোর বাহিক রূপ দেখে চেনা যায় না। কিন্তু ভেতরের রূপ ভয়ংকর খারাপ। আর এই ধরনের মানুষের কারণে একটি সংসার একটি পরিবার এবং একটি জীবন শেষ হয়ে যায়। তাই আপনাদের মাঝে একটি গল্প শেয়ার করতেছিলাম আজকে সেই গল্পেরই দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি।


source

তারপরে মাসুদ স্যার এর ব্যবহার অনেকটাই খারাপ হতে থাকে। সুমাইয়া আপু তখন জিজ্ঞেস করে আপনার বাবা-মা যদি না আসে, তাহলে আমার সাথে কথা বলে দিন। আমি তাদের সাথে কথা বলব। তখন আপনি কোন ভাবেই তার কথার জবাব দিতে ছিল না। তখন সুমাইয়া আপু এবং সুমাইয়া আপু বাবা এবং ভাইদের মনের সন্দেহ হয়। যার কারণে হসপিটালে মাসুদ স্যার চাকুরি করে সেই হসপিটালের স্যারদের বলে মাসুদ স্যারের গ্রামের বাড়ির ঠিকানা জোগাড় করে।আর সুমাইয়া আপুর ভাই এবং বাবা, মাসুদ স্যারকে না জানিয়ে তার গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো।


বিষয়টি সন্দেহজনক ছিল, যার কারণে সুমাইয়া আপুর বাবা এবং ভাই এই দুজনে, আর কাউকে না জানিয়ে তারা সিদ্ধান্ত নিল মাসুদের গ্রামের বাড়ি যাবে এবং তারা রওনা দিল। আসলে তাদের মনে অনেক চিন্তা ভাবনা ছিল, কারণ তাদের একটা আদরের মেয়ে ছিল, আর এই মেয়ে নিয়ে কত স্বপ্ন ছিল। আর মেয়ের ব্যবহার ছিল অসাধারণ, সবাই প্রশংসা করত, এরকম একটা মেয়ের বিয়ে দিয়ে তাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে এটা বাবা কখনোই কল্পনা করিনি। তাই যখন তাদের গ্রামের বাড়ির পাশে আসলো তখন সুমাইয়া আপুর বাবা সবাইকে জিজ্ঞাস করতে লাগলো, আসলে এমন ভাবে এসে জিজ্ঞেস করছে যে তার সাথে বিয়ে দেবে নতুন সম্পর্ক করবে। যার কারণে আনমনা ভাবে জিজ্ঞেস করতে লাগলো। প্রথমে তাদের বাড়ির ঠিকানা মতে তাদের বাড়িতে পৌঁছালো।


গ্রামের একজনকে জিজ্ঞেস করাতে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসলো। আসলে মাসুদ স্যারা সেই গ্রামের প্রভাবশালী লোক ছিল। তার বাবাও ছিল ডাক্তার, এক নামে গ্রামের সকল মানুষ চেনে এবং সুমাইয়া আপুর বাবা এবং ভাই তাদের গ্রামের বাড়িতে এসে দেখতে পেল অনেকটাই তারা ধনী এবং তাদের অর্থ সম্পদের অভাব নেই। তার বাবাকে দেখতে পেল বাড়িতেই রয়েছে। তখন জিজ্ঞেস করল আপনি কি বাড়িতেই থাকেন নাকি বিদেশে থাকেন। তখন মাসুদের বাবা বলল যে না আমি তো গ্রামে থাকি। অবসরপ্রাপ্ত আমি, আগে সরকারি একটা হসপিটালের ডাক্তার ছিলাম, এখন আমি অবসরপ্রাপ্ত সারাদিন আমার গ্রামের এই বাড়িতেই সময় কাটে। তখন জিজ্ঞেস করলো আপনারা কোথা থেকে এসেছেন।তখন তারা বললো সিরাজগঞ্জ থেকে এসেছি। আপনাদের সম্পর্কে একটু জানার জন্য, তখন মাসুদের বাবা বলল ঠিক আছে আমার রুমে চলুন আসলে মাসুদের বাবা খুবই ভালো মানুষ ছিলেন।


তখন সুমাইয়া আপুর বাবা বলল যে আপনার কয়টা ছেলে। তখন মাসুদ স্যারের বাবা বলল যে আমার তো একটাই ছেলে ও ডাক্তার। বগুড়াতে রয়েছে, আপনাদের সিরাজগঞ্জের পাশেই। বগুড়া জিয়া মেডিকেলে চাকরি করে। তখন বলল যে আপনার ছেলে তো ডাক্তার আপনার ছেলেকে কি বিয়ে করাইছেন নাকি করাবেন। তখন মাসুদ স্যারের বাবা বলল কি বলেন আমার ছেলেকে তো বিয়ে করিয়েছি। আমার ছেলের একটা মেয়েও রয়েছে, তখন এই কথাটা শুনে সুমাইয়া আপুর বাবা এবং ভাই যেন আকাশ থেকে মাটিতে পড়ল। একদম বোবা হয়ে গেল। কোন কথাই বলতে পারছিল না। তাদের মাথার উপরে যেন আকাশ ভেঙে পড়ল, কি হলো এটা।


সুমাইয়া আপুর বাবা কোন কথাই বলতেছিল না তখন। তাদেরকে চা-বিস্কুট খেতে দিল এবং এই মাসুদ স্যারের বউ এসে তাদেরকে চা-বিস্কুট খেতে দিল এবং তাদের মেয়েটাও আসলো। মেয়ের বয়সও পাঁচ বছর। আসলে এই বিষয়টা তাদেরকে কতটা কষ্ট দিয়েছে তারা যেন কোন কথাই বলতে পারছিল না। তখন মাসুদ স্যার বলল আমরা কিছু খাব না। আপনাদের সাথে আমরা পরবর্তীতে কথা বলব। আপনার মোবাইল নাম্বারটা দিন এবং আপনি অবশ্যই আমাদের সিরাজগঞ্জ আসবেন। আপনার সাথে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা রয়েছে। অনেক কিছু জানতে চাইলেও তখন সুমাইয়া আপুর বাবা কিছুই বলল না। তারা যেন মাথা নিচু করে সিরাজগঞ্জের দিকে রওনা দিল তো বন্ধুরা পরবর্তীতে কি হয়েছিল, সেইটুকু আপনাদের সাথে আগামী পর্বে শেয়ার করবেন ইনশাআল্লাহ।🙏🤲🙏


আমার পরিচয়

আমার নাম মোঃ রায়হান রেজা।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবাসি। আমি পেশায় একজন সহকারী মেডিকেল অফিসার ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে🌹💖🌹।

👉 বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺