স্বাধীনতা দিবস

rakibal -

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে ভালোই আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে “স্বাধীনতা দিবস” শীর্ষক একটি লিখনি উপস্থাপন করছি। কথা না বাড়িয়ে তাহলে শুরু করা যাক।


source

আজ ছাব্বিশে মার্চ দুই হাজার চব্বিশ। মহান স্বাধীনতা দিবস। আমার প্রাণপ্রিয় দেশ বাংলাদেশে আজ এই দিবসটি পালিত হচ্ছে। ঊনিশশত একাত্তর সালের ছাব্বিশে মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হন।

গ্রেফতারের পূর্ব মহুর্তে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এ কথা আমরা সকলেই জানি। তাইতো প্রতিবছর মার্চ মাসের ছাব্বিশ তারিখ আমরা অর্থ্যাৎ বাঙ্গালিরা স্বাধীনতা দিবস পালন করি।

এই দিনটিতে আমাদের দেশে সরকারী ছুটি থাকে। কিন্তু সকল সরকারি, আদা-সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি উৎযাপন করে থাকে।

বিদ্যালয়ে কোমলমতি শিশুদের স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর জীবনি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।


source

আমি প্রাইমারী স্কুলে পড়াকালীন প্রথম স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে জানতে পারি। কিন্তু স্বাধীনতার ইতিহাস কিংবা স্বাধীনতা দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে তেমন অবগত ছিলাম না।

তখন স্বাধীনতা দিবস মানেই বুজতাম স্টেডিয়ামে যেতে হবে, সেখানে প্যরেড করতে হবে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হবে। যখন তৃতীয় শ্রেণিতে ছিলাম আমার যতদূর মনে পড়ে স্বাধীনতা দিবসের দিন স্টেডিয়ামে ডিসপ্লে অনুষ্ঠানে একটি নাটকের একটি চরিত্রে আমি অভিনয় করেছিলাম।

স্বাধীনতা দিবসের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই স্কুলে অনুশীলন শুরু হয়। প্যরেড এবং ডিসপ্লে অর্থ্যাৎ নাটক অথবা অন্যান্য অনুষ্ঠানের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের বাছাই করতে থাকে স্কুলের স্যার এবং ম্যাডামরা মিলে।

আমি প্রথমবার প্যরেডে নাম দিলে আমাকে সেখানে স্যার সিলেক্ট করেননি। কেননা আমি তখনো সাইজে অনেক ছোট ছিলাম।

যাইহোক আমার একটু মন খারাপ হয়েছিলো কিন্তু পরবর্তীতে ডিসপ্লে অংশে নাটকের একটি চরিত্রে আমাকে সিলেক্ট করেছিলো।

সেবার ডিসপ্লেতে আমরা দ্বিতীয় স্থান অধীকার করেছিলাম এবং পুরস্কার নিয়েছিলাম ডিসি স্যারের হাত থেকে। এগুলো এখন শুধুই স্মৃতি।

এখন স্বাধীনতার মানে অনুধাবন করি, অর্থ বুঝি। তাই যারা স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছিলো তাদের জন্যে মনের ভেতর শ্রদ্ধবোধ এমনিতেই জেগে ওঠে।


source

কেননা তারা যুদ্ধ করেছিলো, শহীদ হয়েছিলো বলেই আজ আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। বিশ্বের বুকে স্বাধীন স্বার্বভৌম দেশ হিসেবে আমাদের দেশ স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই এই স্বাধীনতা আমাদের প্রত্যেকের জন্যেই গর্বের।

আজ আমরা সকলেই স্বাধীনতার বরাই করি। এটি অবশ্য দোষের কিছু নয়। কিন্তু যারা স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে এর অপব্যবহার করে তাদের থেকে আমাদের দেশকে মুক্ত করা জরুরি।

কেননা তারা প্রকৃতপক্ষে আমাদের এই স্বাধীনতাকে ঢাল স্বরুপ ব্যবহার করে। স্বাধীনতার তকমা গায়ে লাগিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়।

যেমন বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে সিন্ডিকেট তৈরি করছে। তাদের কেউ কিছু বললে তারা স্বাধীনতার দোহাই দিচ্ছে। তারা বলছে স্বাধীন দেশে আমরা ব্যবসায়ীরাও স্বাধীন।

পণ্য উৎপাদনে আমাদের খরচ যেমন আমরা তেমনটাই মূল্য নির্ধারণ করছি। কিন্তু এটি ডাহা মিথ্যা কথা। স্থানীয় বাজারগুলোতে খোঁজ করলে দেখা যায় যারা প্রকৃত উৎপাদনকারী তারা নামমাত্র মূল্যেই বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী পাইকারদের হাতে তুলে দিচ্ছে।


source

কিন্তু যারা প্রকৃত সিন্ডিকেট কারী তারা বিভিন্ন পণ্যের মজুত করে বাজারে পন্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।

এটি তো গেলো শুধু একটি মাত্র উদাহরণ। এমন আরো অনেক উদাহরণ রয়েছে আমাদের চারপাশে। কিন্তু এটি কখনো একজন বিবেকবান মানুষের কাজ হতে পারে না।

দেশে আইন-কানুন রয়েছে। সরকার ব্যবস্থা রয়েছে। স্বাধীনতার নামে নিজের ইচ্ছেমত যা খুশি তা করা কখনই কাম্য নয়, বিশেষ করে যে কাজগুলোতে মানুষের ক্ষতি হয়।

যাইহোক পরিশেষে বলবো আসুন সকলে স্বাধীনতার যথাযথ অর্থ নিজেদের জীবনে প্রয়োগ ঘটাই। স্বাধীনতা পেয়েছি কিন্তু রক্ষা করতে পারছি কীনা এই বিষয়ে সকলে একটু চিন্তা করি। সন্তানদের স্বাধীনতার বিষয়ে সঠিক জ্ঞান দান করি।

আজ আর নয় বন্ধুরা, ভালো থাকবেন সবাই।