মৃত্যুর কোলে ঢলে পরলো
1 comment
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
মানুষের জীবন কতোটা আনপ্রেডিক্টেবল। এটা মাঝেমধ্যে যখন চোখের সামনে চলে আসে। তখন খুব অস্বস্তি হয়। কারণ কিছু কিছু সত্য রয়েছে যেগুলো আমরা সকলেই জানি। কিন্তু আমরা মানতে খুব একটা চাই না। অর্থাৎ ধরুন আমরা ওই সত্যগুলো খুব মানি।কিন্তু কিছু কিছু সত্য এমন রয়েছে। যেগুলোকে আসলে চোখের সামনে দেখতে মোটেও ভালো লাগে না। কারণ ওই সত্যগুলোকে আমরা ভয় পাই। আর আমরা যেগুলো কে ভয় পাই। সেগুলোকে আসলে দেখতে ইচ্ছে করেনা।
ঠিক তেমন একটি ব্যাপারই আজকে আমার সাথে ঘটেছে। অর্থাৎ আজকে আমি আমার পড়াশোনার কিছু কাজে বাইরে ছিলাম এবং অনেক বেশি খুশি ছিলাম। কারণ আমার ওই প্রজেক্ট এর কাজটি প্রায় শেষের দিকে ছিলো, সে কারণে। কিন্তু হঠাৎ করেই একটা ফোন কল যেনো জীবনটাকে কিছুক্ষণ থমকে দিয়েছিলো।
আমার একজন ফুফু জামাই হঠাৎ করেই মারা গিয়েছেন। তাও কোনো রোগ ছাড়া। অর্থাৎ উনি শুক্রবারে মসজিদের জুমার নামাজ পরার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন এবং সেখানেই হুট করেই ঢলে পরেন এবং সকলেই বুঝতে পারেননি কখন যে উনি মারা গিয়েছেন। অর্থাৎ সবাই ভেবেছিলো, হয়তো কোনো কারনে সেন্সলেস হয়েছে বা স্ট্রোক করেছেন। তাই উনাকে দ্রুত শহরের একটি ভালো হসপিটালের শিফট করা হয় এবং এর পরেই সেখানকার ডাক্তাররা তার পরিবারকে জবাব দেয় যে, উনি আর এই পৃথিবীতে নেই।
শুধু তাই নয়। এটাও জানায় যে উনার ক্যান্সার ছিলো। এবং উনি ক্যান্সারের লাস্ট স্টেজে ছিলো। যেটা আসলে কেউই জানতো না। এমনকি উনি নিজেও জানতো না। কারণ উনি মৃত্যুর আগ অব্দিও একজন সুস্থ স্বাভাবিক শরীরের মানুষ ছিলেন। কারণ আপনি চিন্তা করুন, কারো শরীর যদি খুব খারাপ হয়। তাহলে কিন্তু সে কখনোই পায়ে হেঁটে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতে পারবে না। তার মানে উনি মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্ত পর্যন্ত যথেষ্ট সুস্থ ছিলেন।
নামাজে দাঁড়িয়েই হুট করেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পরলেন আজীবনের জন্য পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন ওপারে। যেখান থেকে ফিরে আসা আর কখনোই সম্ভব নয়। আর রেখে গেলেন একরাশ স্মৃতি এবং না থাকার শূন্যতা যে শূন্যতা পূর্ণ হবে না কখনোই। হয়তো আমরা আমাদের জীবনের বিভিন্ন ব্যস্ততায় বিভিন্ন কাজে উনাকে ভুলে যাবো। কিন্তু উনার স্ত্রী উনার সন্তানেরা কখনোই উনাকে ভুলতে পারবে না। উনার ওই শূন্যস্থান যেটা কখনোই আর পূরণ হবে না। আর ঠিক এভাবেই একদিন আমাদের সকলকেই চলে যেতে হবে। আর আমি যখন এই খবরটা ফোনে পেলাম। তখন খুব কষ্ট হয়েছে। কারণ ছোটবেলা থেকেই আমাদেরকে বেশ আদর করত যত্ন করতেন। গ্রামের মানুষ হওয়াতে আমাদের জন্য সব সময় গ্রাম থেকে কিছু না কিছু নিয়ে আসতেন। কারণ গ্রামের ফলমূল, শাকসবজি খুব ফ্রেশ হয়। সে কারণে অর্থাৎ যত্নের কোনো কমতি আমাদেরকে উনি হতে দিতেন না। সেই মানুষটির পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছে এবং আমরাও একদিন এভাবেই চলে যাবো। এটাই খুব ভাবায়!
Comments